ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো :- বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং সবার কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। আপনি বিদেশ বলেন কিংবা দেশ প্রত্যেক জায়গাতেই freelancing শব্দটা খুবই পরিচিত।
এমন লোক আছে যারা কিনা এই শব্দটার সাথে পরিচিত আবার এমন অনেক লোক আছে যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং নিজের আয়ের উৎস বলে মনে করে থাকে এবং প্রতিনিয়ত ইনকাম করে থাকে। এমনকি এমন অনেক লোক যারা কিনা নিজেদের সংসার কিংবা নিজের খরচ মেটাই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে।
বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা বাংলাদেশের মধ্যে খুব জনপ্রিয় কিংবা এই কাজটা খুব পপুলার কেননা বাংলাদেশের মধ্যে পড়ালেখা অনেকের অনেক বেশি কিন্তু চাকরি পাওয়াটা খুব কঠিন। তাই অনেকে ই ফ্রিল্যান্সিং কিংবা মুক্ত পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই।
যেহেতু অনেকেই এই পেশার সাথে যুক্ত হতে চাই তাই অনেকেই এই পেশাটা শিখতে চাই অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেই google এর মধ্যে সার্চ করে থাকে।
মূল কথা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটা পদক্ষেপ ছাড়িয়ে যেতে হবে। এখানে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে আপনাকে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে তাই আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সময় দিতে হবে যার কারণে আপনাকে বেশ কয়েকটা স্টেপ ছাড়িয়ে যেতে হবে।
ঠিক তার কারণেই আজকের এই নিবন্ধন আমি আপনাদের সাথে সেই বিষয়টা আলোকপাত করার চেষ্টা করব। যে আপনারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না হয়ে নিজেই কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আর যে সমস্ত লোক ফ্রিল্যান্সিং করে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে আমাদের সমাজের মধ্যে এমন অনেক লোক খুঁজে পাওয়া যায় যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধুমাত্র অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করাকেই বুঝে থাকে। আসলে মূলত এখানেই ফ্রিল্যান্সিং অনলাইন কিংবা অফলাইন উভয়টাতে হতে পারে।
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কিছু কাজ কিংবা বলতে গেলে ৯৫% কাজ অনলাইন এর মধ্যে হয়ে থাকে তাই ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা অনলাইন এর সাথে বেশ পরিচিত কিংবা সংযুক্ত। এই পেশাটা বেশিরভাগ অনলাইন হওয়ায় দেশে-বিদেশি অনেক ক্লাইন্টের সাথে সাক্ষাৎ হওয়া যায় কিংবা অনেক কাজ পাওয়া যায়।
আপনি যদি সঠিক গাইডলাইন ফলো করে নিয়মিত কাজ করেন এবং কাজ শিখতে থাকেন বলতে গেলে আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি অনেক লোক আছে যারা কিনা প্রতি মাসে ২০০০ ডলারের উপরে ইনকাম করে থাকে যেটা কিনা সরকারি চাকরির চাইতে দ্বিগুণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট সম্পর্কে আমার আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে। সুতরাং আপনারা জেনে নিতে পারেন।
এখানে আপনি হয়তো মনে করতেছেন আমি যদি আজ থেকেই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় যুক্ত হই তাহলে কি আগামী মাস থেকেই লক্ষাধিক টাকা ইনকাম হবে? এর উত্তর হচ্ছে হতেও পারে নাও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে দক্ষতা থাকতে হবে এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্লাইন্ট সংগ্রহ করা এবং তাদেরকে ভালো কাজ উপহার দিলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন আর এমনিতেই পারবেন না। আর আপনাকে বিশেষ করে টাকা ইনকাম করার জন্য পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
আপনি এই বিষয়টা লিখে সার্চ করেছেন মানেই আমি মনে করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বেশ কয়েকটা মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল। আপনি যদি ভালো ইংরেজি রেডিং পড়তে জানেন তাহলে অনলাইনে বিভিন্ন ইংলিশ ওয়েবসাইট থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং যুক্ত হওয়ার জন্য কিংবা শেখার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে যেমন বলতে পারেন আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য গুগলের সার্চ করেছেন ঠিক তখনই অনেকগুলো ওয়েবসাইট থেকে আপনি এখানে প্রবেশ করেছেন শেখার জন্য। এটাও একটা ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যম হতে পারে।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না এমন জিনিস খুব কমই থাকে। সুতরাং অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে গুগলের মধ্যে সার্চ করে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমন অনেক ব্লগার আছে যারা কিনা সম্পর্কে নিয়মিত টিপস এন্ড ট্রিকস দিয়ে থাকে। তবে যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে, তাই সেখান থেকে আপনি যে সেক্টরের কাজ করতে চান সেটা লিখে সার্চ করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই প্রশ্নটা করার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে আসলে যে, আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি? বিশেষ করে যারা নতুন তারা এই প্রশ্নটা করে থাকে। আসলে ভাই আপনি যেহেতু শিখবেন তার আগে আপনাকে কি জিনিস এটা জেনে নিতে হবে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং পেশা টা আপনার পছন্দ হতে পারে কিংবা পছন্দ নাও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ব্যবসায়ের ধারণা | বর্তমান সময়ের লাভজনক ১০ টি ছোট ব্যবসায়ের ধারণা
তো আমি আপনাকে রিকমেন্ট করব আপনি যেহেতু নতুন কিংবা বিগেইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তো আপনাকে এমন একজন ব্যক্তির থেকে শেখা উচিত যে কিনা ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি সফল মানুষের হাত ধরে চলেন তাহলে আপনিও সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনেক নামিদামি ফ্রিল্যান্সার যাদের কিনা অনেক বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এমন অনেক ইউটিউবার আছে অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সার ইউটিউবার যারা কিনা কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং করে আবার কেউ গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি করে থাকে।
সুতরাং সেই অনুযায়ী অনেকেই তাদের সফলতার কিছু দিকনির্দেশনা ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে পাবলিশ করে থাকে। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিতে শিখতে চান এবং যেকোনো সময় শিখতে চান তাহলে তাদেরকে ফলো করতে পারেন। তবে এমন অনেক সফল ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা কিনা পেইডভাবে আপনাকে শিখিয়ে থাকে।
সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং শিখার অন্যতম একটা মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা এই ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন টিপস অফার করে তাকে সেগুলো আপনি দেখে নিতে পারেন তবে পেইড হলে একটু ভালো।
তবে আপনাকে সেই সাথে নিজেই নিজেকে প্র্যাকটিস করতে হবে। অর্থাৎ আপনি একবার বাইয়ার হয়ে যাবেন একবার সেলার হয়ে যাবেন। বায়ার হয়ে আপনি নিজেই সেলারকে কাজ দিবেন অর্থাৎ নিজে কি নিজে কাজ করিয়ে নিবেন প্র্যাকটিস মোতাবেক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোক দেখা যায় যারা এখানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিংবা কোর্স করার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে তাকে, একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য যাতে করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারে।
আসলেই কি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায়? হ্যাঁ, তবে এর জন্য আপনার প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে ধৈর্য ধরতে হবে। এমন অনেক লোক আছে যারা কিনা মাসিক লক্ষাধিক ডলার ইনকাম করে। তো আপনি যদি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে দুঃখের জন্য ফ্রিল্যান্সার হতে হবে কোনো একটা স্পেসিফিক বিষয়ের উপর।
এখন আসি মূল কথায়, আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছে যারা কিনা বিভিন্ন এডভার্টাইজ দেখে তাদের ভিডিও র ডেকোরেশন দেখে অনেকেই তাদের কোর্স করে ফেলেন। আসলেই কি আপনি যার কোর্স করতেছেন সে কি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার? সে ফ্রিল্যান্সিং করে কতটা সফল? এই বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রবি মিনিট চেক কোড 2022 | কিভাবে রবি মিনিট চেক করতে | Robi minutes check code 2022
অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি আপনি যদি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে চান কোন একটা কোর্স করার মাধ্যমে তাহলে এই অনলাইনের জগতে অবশ্যই আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে। কেননা এমন অনেক প্রতিষ্ঠানে আছে যারা কিনা নিজেরাই জানে না কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক নানা বিষয়। তবে হ্যাঁ এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা ভালো কোর্স অফার করে থাকে।
বর্তমান সময়ে খুব একটা জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কিনা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স অফার করে থাকে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং। আর সেই ইনস্টিটিউট এর নাম হচ্ছে ওয়েব কোডার আইটি আমি নিজেই তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ১০৫ তম ব্যাচের একজন স্টুডেন্ট। তাদের অনেক ভালো ভালো দক্ষ হয়েছে যারা কিনা আশা করি আপনাকে খুব ভালোভাবেই সবকিছু শিখিয়ে দিবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বর্তমানে সময়ে এমন অনেক লোক আছে যারা কিনা এখনও পর্যন্ত ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার জোগাড় করতে পারে নাই। যার কারনে তারা চায় মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতে।
তবে আদৌ কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় কিংবা করা যায় এ বিষয়টি তারা জানে না। ঠিক তারই ভিত্তিতে এখন আমি সেই বিষয়টা আপনাদের সাথে আলোকপাত করার চেষ্টা করব। তো আপনাকে অবশ্যই আমি রিকমেন্ট করব আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ইউটিউব ভিডিও দেখে, আর্টিকেল পড়ে, বিভিন্ন কোর্স করে শিখতে পারবেন।তবে আপনি ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার দিয়ে যেভাবে শিখতে পারবেন সেভাবে পারবেন না। কেননা মোবাইল দিয়ে যদিও বা অনেক কিছু করা যায় তারপরেও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো কিনা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব নয়।
তবে এখানে আমি আপনাদের সাথে যে ইনস্টিটিউটে শেয়ার করেছিলাম এর আগে অর্থাৎ ওয়েবক কোডার আইটি, সেখানে যদি আপনি কোর্স করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার টাকা লাগবে।
কেননা তারা কোর্স করিয়ে ইনকাম করতে চাই না বরং তাদের স্টুডেন্টদেরকে ভালো কিছু দিতে চায়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কিনা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে থাকে, তার মধ্যে অনেকের হয়তো তাকে ইনকাম করার ইচ্ছে তাদের ছাত্রদেরকে কিছু শিখার ইচ্ছে নয়।
তবে হ্যাঁ, আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন ঠিক আছে কিন্তু প্র্যাকটিস করার জন্য অবশ্যই ল্যাপটপ-কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেকগুলো কাজের ধরন রয়েছে যেমন ব্লগিং, ইউটিউবিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, SEO, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি।
তবে এখানে আপনি ব্লগিং কিংবা ইউটিউবিং ইত্যাদি এই সমস্ত ছোটখাট বিষয়গুলো মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার থাকতে হবে ডেফিনেটলি।
মোট কথা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো কি না আপনি মোবাইলের মধ্যে করতে পারবেন যেমন ব্লগিং ইত্যাদি। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি করার জন্য আপনার অবশ্যই একটা ল্যাপটপ কম্পিউটার থাকা লাগবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ছোট করে কাজ মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব প্রফেশনালি ভাবে করার জন্য অবশ্যই একটি ল্যাপটপ কম্পিউটারের প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি?
অনেকে আছেন যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ সহ জানতে চান। বিশেষ করে যারা কিনা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, যেমন অনেকে আছেন সে কি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং টা শুরু করবে সে বিষয়টাও জানে না।
তো আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কি কি কাজ করা যায় এই বিষয়টা না জানেন তাহলে আপনার একটু সমস্যা হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা একদমই কম কিংবা বলতে গেলে মোটেও নেই। সুতরাং যে সমস্ত কাজের চাহিদা নেই সেগুলো আপনি শিখলে তেমন ভালো কিছু করতে পারবেন না।
তবে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা কিনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে অনেক বেশি। যেমন বর্তমানে সময়ের একটা অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বলতে গেলেই বর্তমান সময়ে এটার অনেক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চাইলে আপনি এই পেশাটা নিতে পারেন।
এখন আমি আপনাদের সাথে বেশ কয়েকটা চাহিদা সম্পন্ন স্কিলস কিংবা কাজ সম্পর্কে বলতে চাচ্ছি যেগুলো কিনা আপনারা শিখতে পারবেন। আশা করি শিখলে আপনার উপকারে আসবে তো তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ…/p>
এখন আমি আপনাদের সাথে সংক্ষেপে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি যে সমস্ত সচরাচর কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। তবে এই কাজগুলো ছাড়া আরও অনেক কাজ রয়েছে ছোটখাটো যেগুলো কিনা আশা করি এর চেয়ে চাহিদা কম।
তো এখন আমি আপনাদের সুবিধার্থে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত শেয়ার করার চেষ্টা করব তো তার জন্য অবশ্যই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।
গ্রাফিক্স এন্ড ডিজাইন | graphics and design
বর্তমান সময়ের খুব চাহিদা সম্পন্ন একটা ফ্রিল্যান্সিং স্কিলস কিংবা কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইন। বর্তমান সময়ে আপনি যেদিকেই তাকান না কেন ডিজাইনের কিছু কার সাজি অবশ্যই দেখতে পাবেন।
যেমন আপনি যদি কোন একটা ব্র্যান্ডের কাপড় পরিধান করেন অবশ্যই সে ব্র্যান্ডের লোগো তৈরি করার জন্য ডিজাইনিং এর প্রয়োজন পড়েছে। বলতে গেলে বর্তমান সময়ে ডিজাইনিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে।
আশা করা যায় আপনি যদি এই স্কিলসটা অর্থাৎ গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইন শিখেন তাহলে মার্কেটপ্লেস কিংবা মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে প্রচুর পরিমাণে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেননা আপনি যদি কোন একটা হোটেলের মধ্যেই যান সেখানেও দেখতে পাবেন ডিজাইনের অনেক কার সাজি। তাদের হোটেলের ডেকোরেশন করানোর জন্য কিংবা চমৎকার করে তোলার জন্য অবশ্যই তাদের বিরানির প্যাকেট ইত্যাদির মধ্যে লোগো লাগিয়ে থাকে।
যদিওবা আমাদের দেশের মধ্যে এই সমস্ত জিনিসের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না কিন্তু আপনি যদি ইউরোপ আমেরিকার দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে সেখানে সমস্ত বিশেষ দিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিশেষ করে যেহেতু অন্যান্য অনলাইনের মধ্যে কেনাকাটা বেশি হয়ে থাকে তাই তারা বিভিন্ন প্যাকেট ইত্যাদির মধ্যে লোগো ডিজাইন করে দেই খুব সুন্দর ভাবে।
সুতরাং আপনি চাইলে এই স্কিলসটা হাতে নিতে পারেন এবং মনোযোগ সহকারে শিখে নিতে পারেন। ডিজাইনিং শিখার জন্য বাংলাদেশের মধ্যে অনেক ইনস্টিটিউট রয়েছে সেখান থেকে আপনারা শিখে নিতে পারেন। তবে চাইলে আপনি ফ্রিতে শিখে নিতে পারেন বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে স্টেপ বাই স্টেপ।
ডিজিটাল মার্কেটিং | digital marketing
বর্তমান সময়ের খুব চাহিদা সম্পন্ন একটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। দিন দিন এটার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে আশা করা যায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ডিজিটালি ভাবে মার্কেটিং কর একে বুঝাই। যেমন বর্তমান সময়ের একটা ডিজিটাল সেক্টর হচ্ছে ফেসবুক সুতরাং আপনি যদি ফেসবুকের মধ্যে মার্কেটিং করেন তাহলে সেটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।
ফেসবুকের মধ্যে মার্কেটিং মানে আপনার মনে করেন একটা কোম্পানি আছে সেই কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করে বিক্রি করতেছেন। আর সেটাই হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং।
মার্কেটিং দুইভাবে করা যায় একটা হচ্ছে অর্গানিক মেথড অপরটা হচ্ছে ফেইড মেথড। অর্গানিক মেথটের উপকারিতা হচ্ছে আপনি একবার খুব ভালোভাবে এসইও অপটিমেজ আপনার মার্কেটিংটা যদি করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার প্রচুর পরিমাণে সেলস আসবে এবং কোন পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে না।
অপরদিকে আপনি যদি পেইড মার্কেটিং করেন তাহলে মার্কেটিংটা হবে ঠিক আছে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই টাকা খরচ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার মার্কেটিং টা ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে যতক্ষণ না আপনি টাকা খরচ করতেছেন। আপনার মার্কেটিংয়ের টাকা যখনই আপনি খরচ করা বন্ধ করে দিবেন ঠিক তখনই ফেড মার্কেটিং এর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
মোটকথা বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। যেমন বর্তমান এই অনলাইনের অনেকেই অনলাইনের মধ্যে কেনাকাটা করতে চাই। অবশ্যই এমন কোন একটা প্রতিষ্ঠানের থেকে ক্রয় করতে চাই যারা কিনা বিশ্বাসী।
সুতরাং আপনার কোম্পানিতেও যদি অনলাইনে মধ্যে মানুষের কাছে বিশ্বাস অর্জন করতে চান কিংবা আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। ঠিক তেমনি অনেক লোক আছে ইউরোপ আমেরিকাতে যাদের কিনা কোম্পানি আছে ঠিক আছে কিন্তু তারা ডিজিটাল মার্কেটিং জানেনা।
সুতরাং তাদের কোম্পানির জন্য মার্কেটিং করতে অনলাইনের মধ্যে বিভিন্ন লোক হায়ার করে থাকে। তারা অনেকগুলো লোক নিয়োগ দেয় বিভিন্ন দেশের যেমন বাংলাদেশ পাকিস্তান ইন্ডিয়া ইত্যাদি আরো অনেক। তো আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এই সেক্টরে যোগ দিতে পারেন।
রাইটিং এন্ড ট্রানসলেশন | writing and translation
বর্তমান সময়ের আরেকটা খুব জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ হচ্ছে রাইটিং এন্ড ট্রানসলেশন। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে যেমন অনেক ক্লাইন্ট আছে যারা কিনা আপনার কাছ থেকে ইংলিশ থেকে বাংলায় ট্রান্সলেশন করে নিতে চাইবে।
অর্থাৎ আপনাকে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট জোগাড় করতে হবে এবং তারা বলবে যে আমার এই আর্টিকেলটা ইংলিশ ভাষা থেকে স্প্যানিশ ট্রান্সলেশন করে দিন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দুটো ভাষায় শিখা লাগবে যেমন ইংরেজি এবং স্প্যানিশ। সুতরাং আপনি যে দুই ভাষা জানবেন সেই ভাষাগুলোর উপর কাজ করবেন। এবং সেই অনুযায়ী ক্লাইন্ট জোগাড় করবেন।
ভিডিও এন্ড এনিমেশন | video and animation
ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম আরেকটা কাজ হচ্ছে ভিডিও এন্ড অ্যানিমেশন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ডিজাইনিং শিখতে হবে ভিডিও করার জন্য অর্থাৎ ভিডিও এডিটিং আরকি। তো এ ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন অনলাইন কিংবা অফলাইন কোর্স করতে পারেন ফ্রিতে কিংবা ফেইড।
বিভিন্ন ক্লাইন্ট আছেন যারা কিনা তাদের কোম্পানির জন্য ভিডিও এডিট করে থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের এডিটরের প্রয়োজন পড়ে সুতরাং সেই এডিটর আপনি হতে পারেন। আপনাকে তারা বলবে এই ভিডিওটি এডিট করার জন্য এবং সেই বিনিময়ে আপনি তাদের থেকে চার্জ করবেন।
যেমন বিভিন্ন কোম্পানি এডভারটাইজিং করে অনলাইন এর মধ্যে সুতরাং এডভেটাইজিং করার জন্য তাদের ভিডিওর প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং ভিডিও তৈরি করার জন্য তারা আপনাকে হায়ার করবে এবং ভিডিও তৈরি করে দিবেন সে অনুযায়ী টাকা নিবেন তাদের কাছ থেকে।
মিউজিক এন্ড অডিও | মিউজিক এন্ড অডিও
ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরেকটা কাজ হচ্ছে মিউজিক এন্ড অডিও। মূলত এখানে আপনাকে বিভিন্ন voice over দিতে হবে কিংবা বিভিন্ন বয়স এডিট করতে হবে। সুতরাং আপনি যদি বিভিন্ন অডিওর নয়েস দূর করতে জানেন এবং পরিষ্কার করতে জানেন তাহলে এই কাজটা আপনি করতে পারবেন।
তবে আপনার কন্ঠ যদি ভাল হয় এবং আপনি যদি খুব ভালো বলতে জানেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই কাজের জন্য মানাবে। যেমন তারা আপনাকে একটা আর্টিকেল দিবে এবং সেই আর্টিকেলটি আপনি ভয়েস ওবার করবেন।
তবে পট যদি অডিও এডিট ইত্যাদি না জানেন তাহলে সেগুলো শিখে নিতে পারবেন। সুতরাং এই কাজের চাহিদা ও বর্তমান সময়ে অনেক বেশি পাওয়া যায়। সুতরাং আর দেরি না এই স্কিলসটা অর্জন করতে পারেন যদি আপনার পছন্দ হয়।
প্রোগ্রামিং | programming
ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আরেকটা চাহিদা সম্পন্ন স্কিল হচ্ছে প্রোগ্রামিং। প্রোগ্রামিং হচ্ছে বিভিন্ন রোবোটিং ভাষা। এটা প্রয়োজন পড়ে মূলত বিশেষ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে। ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি করার জন্য প্রোগ্রামিং জানার প্রয়োজন পড়ে যেমন সিএসএস।
সুতরাং আপনি যদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভালো কাজ পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। যদি না জানেন তাহলে ফ্রিতে শিখে নিতে পারবেন ইউটিউবে ভিডিও দেখে।
আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পর্কে। এই কাজগুলো ছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো কিনে তেমন চাহিদা পাওয়া যায় নাই। এখন আমি যে স্কিল গুলো শেয়ার করেছি এখন বর্তমানে সময়ে এগুলো চাহিদা অনেক রয়েছে।
তো আপনি যদি জানেন তাহলে তো ভালই আর যদি না জানেন তাহলে বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে কিংবা ফেইড কোর্স করে শিখে নিতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন? এবং ভালো কোন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছেন না যেটা দেখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে ভালো স্কিল অর্জন করবেন। তাহলে এখন আমি আপনাদের সাথে সেই বিষয়টি শেয়ার করব যে কিভাবে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে নিজের দক্ষতাকে আরো বাড়িয়ে তুলবেন।
আসলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর মধ্যে আপনার যত বেশি দক্ষতা থাকবে তত আপনার সফলতার চান্স বেশি থাকবে। কেননা এই সেক্টরের মধ্যে অনেক কম্পিটিশন রয়েছে সুতরাং আপনি যদি আপনার কম্পিটিটরের চেয়ে বেশি জানেন তাহলে আপনি তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবেন।
মূল কথায় আসি, বর্তমানে এই অনলাইনের জগতের মধ্যে আমরা অনেকেই প্রতারণার শিকার হই। ঠিক তেমনি কোর্সের ক্ষেত্রেও, বর্তমান অনেক ইনস্টিটিউশন আছে যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে ঠিক আছে কিন্তু সঠিক ব্যবহার করাই না বরং তারা টাকা ইনকাম করতে চায়।
তো এখন আমি আপনাদের সাথে এমন একটা ইনস্টিটিউশনের সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিব যেটা কিনা মূলত একটা বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠান। যেখানে আমি বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের একটা কোর্স করতেছি এই প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে।
আপনারা চাইলে এই কোর্সগুলোতে জয়েন হতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটি কোর্স এভেলেবেল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এডভান্স ডিজিটাল মার্কেটিং এন্ড শফিফাই । নিচে এখন আমি আপনাদের সাথে তাদের কোর্সগুলোর লিংক এবং প্রাইস দিয়ে দিচ্ছি।
| Trainer | Course Fee | link |
|---|---|---|
| Monir ahammad | 7,500/- (now) | click |
| md sujon shekh | 7,500/- (now) | click |
| Mohammad Rono | 7,500/- (now) | click |
| Trainer | Course Fee | link |
|---|---|---|
| Ziad Ibne Zakir | 2500/- (now) | click |
| Trainer | Course Fee | link |
|---|---|---|
| Shahariar ikbal | 12,000/- (now) | click |
উপরে দেওয়া কোর্স গুলো আপনারা চাইলে করতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে সবাই খুব বিশ্বস্ত একটি প্রতিষ্ঠান যারা কিনা অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবে এই কোর্স গুলো কোথায় থাকে। তবে এখানে আমি যেগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো হচ্ছে অনলাইন কোর্স।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর (FAQ)
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো pdf
আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছে যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য পিডিএফ খুজে থাকে। যার কারণে অনেক এমন ব্যক্তি আছে যারা কিনা google এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব pdf লিখে সার্চ করে থাকে।
শুধু কয়েকবার নয় বরং অসংখ্যবার মানুষ এই বিষয়টা লিখে সার্চ করে থাকে। এর উত্তর ভাই আমি আপনাকে বলি, আপনি পুরো ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটা পিডিএফ ফাইল দিয়ে শিখতে পারবেন না।
বরং আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত পিডিএফ ফাইল থেকে যতগুলো শিখতে পারবেন তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি শিখতে পারবেন আপনি গুগলের মধ্যে সার্চ করে। আপনি যদি কোন একটা বিষয় লিখে কিংবা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
যেমন আজকের এই আর্টিকেল চাইলে আমি আপনাদেরকে পিডিএফ আকারে দিতে পারতাম। কিন্তু এর চেয়ে ভালো হবে যদি আপনি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন পিডিএফ ছাড়া ওয়েবসাইটের মধ্যেই। সুতরাং আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে পিডিএফ ফাইল এর দরকার নেই বরং ঘুরেফিরে সবগুলো একই জিনিস।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই
আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান? কিভাবে শিখবেন এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত আছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আশা করি আপনি এই সম্পর্কিত অনেক কিছু জানতে পারছেন।
মোটকথা বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং শিখার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটা বিষয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই। আমরা বই পড়তে অনেকেই পছন্দ করি যেমন গল্প উপন্যাস ইত্যাদি।
তবে তার মধ্যে ভিন্ন ধর্মীয় আরেকটা বই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই অর্থাৎ অনলাইনে ইনকাম করার বই। তবে এখানে ফ্রিল্যান্সিং এটা শুধুমাত্র অনলাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় যেহেতু অধিকাংশ কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে তাই অনলাইনের সাথে বেশ পরিচিত ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা।
আপনি কি কোন একটা বই ক্রয় করে সেখান থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান? যদিও বা একটা বইয়ের মধ্যে পুরো ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা বোকামি! কেননা আপনি একটা বইয়ের মধ্যে এই সবগুলো পাবেন না।
বরং তার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে গবেষণা করতে হবে এবং কোন একজন সফল ফ্রিল্যান্সারকে ফলো করতে হবে। এবং প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কিছু শেখার ট্রাই করতে হবে নতুন নতুন। তাহলেই আপনার যোগ্যতা বাড়বে এবং আপনার সাকসেস হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাবে।
তো আমি রিকমেন্ট করব আপনাকে অন্যান্য সোর্স থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ট্রাই করার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই থেকেও ট্রাই করার জন্য। সুতরাং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই ক্রয় করতে চান তাহলে আমাদের দেশের রকমারি নামে একটা অনলাইন বই বিক্রি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সুতরাং সেখান থেকে আপনি যদি বিভিন্ন পর্যায়ের অনলাইনে আয় কিংবা ফ্রিল্যান্সিং শেখার বুক ক্রয় করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে তাদের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন। এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো বই করে নিতে পারবেন খুব সহজে।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান
ফ্রিল্যান্সিং শিখার অন্যতম আরেকটা মাধ্যম হতে পারে আপনার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেগুলো কিনা বিশ্বাসযোগ্য। বর্তমানে এই অনলাইনে যুগে অনলাইন ভিত্তিক অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে গেছে এবং অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছে।
আমরা ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কত আশা নিয়ে কোন একটা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভর্তি হই নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে। কিন্তু ঠিক তখনও যদি তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করে এবং আমরা প্রতারণার শিকার হই? তাই আপনাকে সব সময় কেয়ারফুল থাকতে হবে অনলাইনে কোন একটা কিছু করার ক্ষেত্রে।
তবে আমার জানা মধ্যে একটা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাংলাদেশের মধ্যে সেটা হচ্ছে ওয়েব কোডার আইটি এবং টেন মিনিটস স্কুল। আপনারা চাইলে তাদের কাছ থেকে যে কোন কিছু শিখতে পারবেন। টেন মিনিটস স্কুলের মধ্যে অনেকগুলো কোর্স পাওয়া যায় তবে ওয়েব করার আইটির মধ্যে তেমন বেশি কোর্স এভেলেবল নেই তারপরেও বিশ্বাসযোগ্য।
বর্তমানে সময়ে অনলাইন ভিত্তিক এবং অফলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ওয়েব কোডার আইটি এবং টেন মিনিটস স্কুল। তো আপনারা এখানে অনায়াসে ভর্তি হতে পারেন আশা করি প্রতারণার শিকার হবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?
হ্যাঁ অবশ্যই, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। তবে প্রফেশনালি ভাবে যদি আপনি করতে চান তাহলে অবশ্যই কম্পিউটার-ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়বে।
যদিওবা আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তবে সবগুলো পারবেন না। পারবেন বলতে এখানে যেমন ব্লগিং ইউটিউবিং ইত্যাদি করতে পারবেন তারপরেও কম্পিউটার ল্যাপটপের প্রয়োজনীয়তা বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
অনেকেই চিন্তা করে থাকেন যে আমি যেহেতু কষ্ট করে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো এবং টাকা ইনকাম করব সেগুলো খুলবো কিভাবে? এটা সাধারণ একটা বিষয়। তাই আপনাকে কোন রকম চিন্তা করতে হবে না এ বিষয়টা নিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা তোলার অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে যেমন বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ফাইবারে কাজ করেন তাহলে পেওনারে নিতে পারবেন। তাছাড়া বিকাশে চাইলেও এমন নিতে পারবেন যেগুলো আপনারা জেনে নিবেন কিভাবে করতে হয়।
তবে আপনি চাইলে মার্কেটপ্লেস এর বাহিরেও যেহেতু কাজ করতে পারবেন সেক্ষেত্রে ভিন্ন উপায়ে আপনাকে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। যেমন আপনি চাইলে পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে।
আরো বেশ কয়েকটা উপায় রয়েছে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকাগুলো তবে বর্তমান সময়ে আমার জানা মতে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত হচ্ছে পেওনার এবং পেপাল আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
আপনি চাইলেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। প্রসেসটা হচ্ছে ঠিক এরকম আপনি সেই সমস্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে একটা একাউন্ট খুলবেন এবং সেখানে আপনার কাজের স্কিলস গুলো জানাবেন এবং সেই অনুযায়ী গিগ পাবলিশ করবেন।
কোন বায়ার যদি আপনার কাজ কিংবা গিগ পছন্দ করে তাহলে আপনাকে মেসেজ করার মাধ্যমে হায়ার করবে। যে করেই হোক আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে কাজটা দেওয়ার চেষ্টা করবে যদি পছন্দ হয়।
আরো পড়ুনঃ বরিশাল কিসের জন্য বিখ্যাত | বরিশাল বিখ্যাত জায়গাগুলো কি কি
তো এখন প্রশ্ন হচ্ছে সে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো কি কি? উত্তর হচ্ছে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন অনলাইনে। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটা ওয়েবসাইট পপুলার যেমন ১. ফাইভার মার্কেটপ্লেস ২. অফওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ৩. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।
এই তিনটে ওয়েবসাইট থেকে আশা করি বর্তমান সময়ে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মার্কেট দখল করে আছে ফাইবার। সুতরাং আপনারা চাইলে সেখানে এসে কাজ করতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে আইডেন্টি ভেরিফিকেশন করতে হবে। সেগুলো আপনারা জেনে নিবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে
আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে চিন্তা করে যে, আমি যে ফ্রিল্যান্সিং শিখব সে ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে। এর উত্তর হচ্ছে এখানে কোন টাকায় খরচ করা লাগবে না বরং আপনি ফ্রিতে শিখে নিতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে? উত্তর: আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। এমনকি অনেক ভালো ভালো ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা কিনা নিজেরাই একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকস দিয়ে থাকেন।
সুতরাং আপনারা চাইলে সেখান থেকেও শিখে নিতে পারবেন। তবে আপনি যদি কোন একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে তাকে তাদের কাছ থেকেও ফেইড ভাবে শিখে নিলে আরো ভালো হয়।
যেমন আমি আপনাদের সাথে আগেই শেয়ার করেছিলাম একটা ইনস্টিটিউটের কথা আর সেটা হচ্ছে ওয়েব কোডার আইটি। তারা বিভিন্ন কোর্সের টাকার পরিমাণ বিভিন্নভাবে নিয়ে থাকে যেমন বর্তমান সময়ের চাহিদা সম্পন্ন একটা স্কিল হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
তো সেই প্রতিষ্ঠানটা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে ৭৫০০ টাকা নিয়ে থাকে। সুতরাং আপনারা সেখান থেকেই যদি কোর্স করেন এরকম টাকা খরচ পড়বে। ফেড কোর্স করলে সার্টিফিকেট পাওয়া যায় এবং আপনি যেকোন প্রশ্ন করতে পারবেন জানার জন্য।
তাছাড়া কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কাজ করার ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রেও তাদের কাছ থেকে সমাধান পেতে পারেন। তাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিট কোর্সগুলো করা আপনার জন্যই উপকার। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু কথা
ভাই, এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শব্দটা যতটা সহজ মনে করতেছেন ঠিক ততটাই কঠিন। অর্থাৎ আমি আপনাকে বলতে চাচ্ছি বছর পরিমাণে আপনাকে সময় দিতে হবে এবং কাজ শিখতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।
সুতরাং আপনি যদি একজনের সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সব সময় নতুন নতুন বিষয় শিখতে হবে এবং সেই বিষয়টা আপনার কাজের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে।
সুতরাং আমি আপনাকে আবারও বলছি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই বিষয়টা জেনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। কেননা আপনি নতুন নতুন বিষয় যতই জানবেন ততই আপনার উপকার হবে এবং একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি english translation | আমি পেয়েছি meaning in english
উপসংহারঃ আজকের এই নিবন্ধন আমি আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এই প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তারপরও অনেক মিসটেক থাকতে পারে। আর অবশ্যই ভুল হলে ক্ষমা করবেন এবং সংশোধন করার আবেদন করবেন।