আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে উপকারিতা

আজকের এই আর্টিকেলে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে উপকারিতা যা উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি আলোচনা করার চেষ্টা করব। আমরা অনেকেই জানি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে অনেক পূর্ণ লাভ করা যায়।

বলতে গেলে বর্তমানে এই আধুনিকতার যুগে প্রায় প্রত্যেককে ইসলাম সম্পর্কে কমবেশি জানে। এখন আপনি চাইলেই খুব সহজে আয়াতুল কুরসি যদি না জানেন অনলাইনে সার্চ করে সব জায়গাতেই আপনি শিখে নিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার কাছে স্মার্টফোনটা আছে তাহলে আপনি চাইলেই যে কোন সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে মুখস্ত করে নিতে পারবে।

আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে উপকারিতা

আয়াতুল কুরসি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি আয়াত। আয়াতুল কুরসি কুরআন শরীফের দ্বিতীয় সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। আপনি তৃতীয় পারার শুরুর পৃষ্ঠাতে এই আয়াতটি পেয়ে যাবেন, সুতরাং আপনারা চাইলে কোরআন শরীফ থেকেও সরাসরি মুখস্ত করে নিতে পারে এইজন্য আপনার ভালো হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক

আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে উপকারিতা

আয়াতুল কুরসি পড়লে অনেক উপকার রয়েছে যেগুলো বলতে গেলে বলে শেষ করা যাবে না। আয়াতুল কুরসি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে একবার করে পাঠ করা তেমন কোন কঠিন কাজ নয়। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কিনে এই আয়াতটা নিমিষেই বলে দিতে পারে অর্থাৎ মুখস্ত আছে। আবার আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মুখস্ত করার শক্তি দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ যার কারণে আমরা যেকোনো সময় চাইলেই মুখস্ত করে নিতে পারি, যদি মুখস্ত না থাকি।

আয়াতুল কুরসি কুরআন মজিদের তৃতীয় পারার প্রথম পৃষ্ঠার একটি আয়াত অর্থাৎ সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। বেশির থেকে বেশি এই আয়াতটা একবার পাঠ করতে এক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। অর্থাৎ আপনি যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে একবার করে পাঠ করেন তাহলে আপনার পাঁচ মিনিট সময় ব্যয় হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। সুতরাং দৈনিক যদি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে নিয়মিত এই আয়াতুল কুরসি টা পাঠ করেন তাহলে অনেক পূন্য লাভ করতে পারবেন।

See also  তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল | তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকে না। -শুআবুল ঈমান : ২৩৯৫।

তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমান তাহলে আল্লাহ তা’আলা ইনশাআল্লাহ আপনার জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন পাহারা দেওয়ার জন্য।

সুতরাং এর জন্য আপনাকে আয়াতুল কুরসী টা খুব ভালোভাবে মুখস্ত করতে হবে যেন একটু হলেও ভুল না হয়। তো আপনি চাইলে কোন একজন ভালো আলেমের কাছে গিয়ে যদি আরবি কিংবা কোরআন শরীফ পড়তে না জানেন তাহলে শিখতে পারেন। যদি আরবি জানেন তাহলে নিজে নিজেই পড়ে নিতে পারেন কোরআন শরীফের তৃতীয় পারার প্রথম পৃষ্ঠা থেকে

তো এটা যেহেতু একটা কোরআন শরীফের আয়াত, আমরা সকলেই জানি কুরআন শরীফ পড়লে সাওয়াব অর্জন করা যায়। বলতে গেলে কোরআন শরীফ এর এক আয়াত কিংবা অধিকাংশ আয়াত করলে লস হয় না বরং সর্বদা লাভ থাকে। তাছাড়া আমরা এটাও জানি কি কুরআন শরীফের এক হরফ পড়লে দশ নেকী লাভ করা যায়। ইসলামিক পিকচার সম্পর্কে আমার অন্য আরেকটি আর্টিকেল রয়েছে।

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

ঘুমানোর আগে আয়তুল পড়লে অনেক ফজিলত রয়েছে। আপনি যদি ঘুমানোর সময় আয়তন করছি পরে ঘুমান তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহতালা আপনার জন্য একজনের নিযুক্ত করে দিবেন যে কিনা আপনাকে সারারাত পাহারা দিবে

তাই আপনি যদি দুঃস্বপ্ন কিংবা শয়তান থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাতে পারেন। এতে করে ইনশাল্লাহ আপনাকে আল্লাহতালা হেফাজত করবেন বিভিন্ন ধরনের মুসিবত কিংবা খারাপ জিন ইত্যাদি থেকে।

Leave a Comment