আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ :- প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কুরআন শরীফের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আয়াতুল কুরসি এই আয়াতটি মুখস্ত রাখা। আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা এখনো পর্যন্ত কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়তে পারি না।
তাছাড়া সকলেরই চাই যেন কোরআন শরীফটা কিভাবে পড়তে পারে মুসলিম হিসেবে। যার কারনে এমনই অনেক লোক আছে যে কোরআন শরীফ পড়তে না পারার কারণে গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়াত আয়াতুল কুরসী মুখস্ত করতে পারে না।
যার কারণে অনেকেই google এর মধ্যে সার্চ করে তাকে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ। বিশেষ করে যারা কিনা আরবি পড়তে জানে তারা গুগলের মধ্যে সার্চ করে থাকে আয়াতুল কুরসি আরবি উচ্চারণ।
ঠিক তারই ভিত্তিতে আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে উভয়টা অর্থাৎ আরবি বাংলা উচ্চারণ শেয়ার করব। সুতরাং সেখান থেকে আপনারা চাইলে যারা আরবি পড়তে জানেন তারাও শিখে নিতে পারবেন আর যারা আরবি পড়তে জানে না তারা বাংলা উচ্চারণ থেকে শিখে নিতে পারবেন।
আয়াতুল কুরসি আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে যাচ্ছি আয়াতুল কুরসি কিভাবে আপনারা মুখস্ত করবেন এখান থেকে অর্থাৎ দেখে দেখে যারা পড়তে জানেন তারা আরবী থেকে মুখস্ত করে নিতে পারবেন। আর আপনি যদি আরবি পড়তে না জানেন তাহলে নিচে উচ্চারণ দেওয়া হল সেখান থেকে দেখে নিন।
তবে এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় সেটা হচ্ছে, সরাসরি আরবি বাংলায় উচ্চারণে লেখা যায় না অনেক প্রকার ভুল হয়ে থাকে। অর্থাৎ এটা যেহেতু কোরআন শরীফ তাই আপনি যদি সহীহ শুদ্ধভাবে না পড়েন অর্থাৎ ভুলভাল পড়েন তাহলে গুনাহ হবে।
তাই আপনাকে সতর্কতার সহিত কোরআন শরীফ পড়তে হবে। তাই আমি আপনাকে রিকমেন্ট করব আপনি যেন প্রচলিত যে আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ হয়েছে সেখান থেকে না শিখে সরাসরি কোরআন শরীফ থেকে আরবি পড়ে শিখার জন্য।
তবে আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন দুর্ভাগ্যবশত তারা এখনো আরবি পড়তে জানেন না অর্থাৎ কোরআন শরীফ পড়তে জানেন না। সুতরাং আপনি যদি সেই কুরআন শরীফ না জানা হতভাগা হয়ে থাকেন এবং আয়াতুল কুরসি মুখস্ত করতে চান তাহলে আমি রিকমেন্ট করবো আপনি যেন কোন একজন আলেমের কাছে গিয়ে শিখে নেন।
সুতরাং আপনি যদি কোন একজন আলেমের কাছে গিয়ে শিখেন তাহলে কোন প্রকার ভূল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমাদের এখানে প্রচলিত একটি বাংলা উচ্চারণ পাওয়া যায় সেটা যদি আপনি হিসেব করতে জানেন তাহলে তো ভালই। আয়াতুল কুরসি কোন সূরার কত নম্বর আয়াত
তবে সব সময় আমার রিকমেন্ড থাকবে আপনি যেন সরাসরি কোন একজন আলেমের এর কাছে গিয়ে শিখেন কিংবা সরাসরি কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে শিখেন। কেননা আপনার যদি বাংলা উচ্চারণে কোরআন শরীফ পড়তে গিয়ে কোন ভূল হয় তাহলে অনেক গোনাহ হবে।
আরবি উচ্চারণ :-
اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ عِنۡدَہٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ الۡعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾
উপরে আমি আয়াতুল কুরসি টার যে আরবিটা রয়েছে সেটা সরাসরি একটা কোরআন শরীফের এক থেকে কপি করে এখানে আমি দিয়ে দিয়েছি। সুতরাং এখান থেকে আপনারা চাইলে খুব সহজে শিখে নিতে পারবেন এবং যদি প্রয়োজন হয় যেকোনো সময় দেখে দেখেও পড়তে পারবেন। এখানে প্রয়োজন বলতে আমাদের তো এটা সব সময় প্রয়োজন তবে যদি কোন সময় পড়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে এখান থেকে পড়তে পারবেন।
বাংলা উচ্চারণ :- আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।
আমি একটা কোরআন শরীফের এপ্লিকেশন থেকে যে উচ্চারণটা রয়েছে বাংলার মধ্যে প্রচলিত সেটা এখানে কপি করে দিয়ে দিয়েছি। সুতরাং এখান থেকে আপনারা যদি সহিহ শুদ্ধভাবে পড়তে জানেন তাহলে পড়বেন না হয় পড়বেন না। কেননা এটা আয়তুল কুরসি টা হচ্ছে কোরআন শরীফের একটা আয়াত সুতরাং এটা যদি আপনি ভুল পড়েন তাহলে অনেক বড় গুনাহ হবে এটা খেয়াল রাখবেন। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে উপকারিতা
তাই আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি আপনি যদি সরাসরি কোরআন শরীফ কিংবা আরবি পড়তে না জানেন তাহলে আয়াতুল কুরসি মুখস্ত না করে সরাসরি কোন একজন আলেমের কাছে গিয়ে মুখস্ত করে নিন। যদি সম্ভব হয় একেবারে কোরআন শরীফটা দেখে দেখে পড়া শিখে নিন।