পাসপোর্ট করার নিয়ম | পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

পাসপোর্ট এটি একটি ফার্সি শব্দ অর্থাৎ এই শব্দটি মূলত উৎপত্তি হয়েছে ফারসি ভাষা থেকে। তাছাড়া আপনি যদি কোন একটা দেশে বৈধভাবে ভ্রমন করতে কিংবা অন্য কোন কাজে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই যে জিনিসটা প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট।

তাই আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে এবং আমরা সকলেই জানি কোন একটা কিছু করার আগে সেই বিশেষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা লাগে।

ঠিক তেমনি আপনি যেহেতু পাসপোর্ট করবেন তাই অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তা ছাড়া এটি কিভাবে করতে হয় সব কিছুই বিস্তারিত হবে জানতে হয়।

আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম 

আপনি পৃথিবীর যে দেশে যান না কেন পাসপোর্ট হচ্ছে একটি আপনার পরিচয় পত্রের মত। সাধারণত আমরা সকলেই জানি কোন একটা দেশের মধ্যে কোন একটা কাজ করার ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে।

যেমন আপনি যদি কোন একটা সিম ক্রয় করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি এন আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু আপনি যদি সেই দেশের নাগরিক না হন এবং আপনি অন্য কোন দেশ থেকে ভ্রমণ করে আসছেন।

পাসপোর্ট করার নিয়ম | পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট করার নিয়ম | পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

তো আপনি যেহেতু সেই দেশের নাগরিক নয় তাই আপনার কাছে অবশ্যই এনআইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকবে না। তো এখন যদি আপনি সেখান থেকে সিম কিংবা অন্য কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে কিভাবে খুলবেন?

তার একমাত্র উপায় হল পাসপোর্ট অর্থাৎ আপনার কাছে এনআইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার সত্ত্বেও যদি আপনি কোন একটা দেশে তাদের দেশে এভেলেবেল সিম ক্রয় করতে চান তাহলে আপনি আপনার পাসপোর্ট দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন।

আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট না থাকে এবং আপনি যদি কোন একটা দেশে প্রবেশ করেন পাসপোর্ট ছাড়াই তাহলে আপনাকে অপরাধী বলে গণ্য করা হবে।‌ অর্থাৎ আপনি যেকোনো মুহূর্তে লাঞ্ছনা কিংবা এট্যাক হতে পারেন

অর্থাৎ আপনি যদি কোন একটা দেশে পাসপোর্ট ছাড়াই প্রবেশ করেন তাহলে আপনাকে অনুমতিবিহীন বলে গণ্য করা হবে। যেমন নও পথে, হেঁটে আরো নানা উপায় অনুমতিবিহীন প্রবেশ করা যায়। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে অল টাইম।

তাই আমাদেরকে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে কি কি প্রয়োজন এবং কিভাবে করতে হয় এইসব বিষয় নিয়ে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই আজকে আমরা জানবো পাসপোর্ট করার নিয়ম কি কি এই বিষয় সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম।বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড। বিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত

তবে তার আগে আমরা আরেকটা বিষয় জানবো সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট আসলে কি। তাহলে চলুন সেই বিষয়টাও একটু জেনে নিয়ে আসি। পাসপোর্ট কি এটা নিচে দেওয়া হল।

Table of Contents

What is a passport?

পাসপোর্ট ওই দলিলকে বলা হয় যেটা কিনা কোন একটা দেশের অনুমতি স্বরূপ। বাংলাদেশী পাসপোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কোন একটা দেশে ভ্রমণ কিংবা চাকরির অনুমতি পত্র।

যেটা কিনা বাংলাদেশ সরকার মূলত জন্ম কিংবা অভিবাসন সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের যারা পাসপোর্ট এর জন্য সঠিকভাবে আবেদন করে তাদেরকে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট যেখান থেকে দেওয়া হয় সাধারণত সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস কিংবা অন্য দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়।

সহজ বাসায় বলতে গেলে এমন একটি বই যেটাতে কিনা আপনার পরিচয় এবং আপনার দেশের পরিচয় এবং আপনি যে তাদের দেশে ভ্রমণ করতেছেন কিংবা কোন একটা চাকরির উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সেটার অনুমতি পত্র সবগুলোই দেওয়া থাকবে

বাংলাদেশের মধ্যে যে সমস্ত পাসপোর্ট রয়েছে সবগুলো দিয়েই আপনি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইসরাইলে আপনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট কিংবা ভিসা দিয়ে যেতে পারবেন না।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কি কি কাজ করা যায় | মালয়েশিয়া ভিসা কবে থেকে শুরু হবে

How many types of passports? পাসপোর্ট কয় প্রকার?

সাধারণত আমরা যে সমস্ত পাসপোর্ট দেখতে পায় সেগুলো হচ্ছে তিন প্রকার। অর্থাৎ মাত্র তিন প্রকারের পাসপোর্ট এভেলেবল রয়েছে। যেগুলো কিনে আমি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে দিয়ে দিয়েছিঃ-

  1. হাতের লেখা
  2. মেশিন দিয়ে রিডেবল করা
  3. ই পাসপোর্ট

হাতের লেখা পাসপোর্ট কি?

হয়তো আমরা অনেকেই একটা বিষয় সম্পর্কে শুনেছিলাম সেটা হচ্ছে হাতের লিখে জন্ম নিবন্ধন। ঠিক তেমনই হাত রেখে পাসপোর্ট ও হাতের লিখে জন্ম নিবন্ধনের মতো।

কেননা হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন যেগুলো ছিল সেগুলো মূলত আগেরকার সময়। কিন্তু এখন সেগুলো অ্যাভেলেবেল অর্থাৎ পাওয়া যায় না মোটেও। কেননা এখন ডিজিটাল জন্ম সনদ বের হয়ে গেছে।

ঠিক তেমনি হাতে লিখা পাসপোর্ট ও আগেরকার সময় প্রচলন কিংবা এভেলেবেল ছিল। কিন্তু এখন সেগুলোকে মেশিন দিয়ে রিটেবল করা হচ্ছে। অর্থাৎ এখন আর হাতের লেখা পাসপোর্ট এভেলেবেল নে

মূলত যেটা কিনা বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কোন প্রকার হাতে লেখা পাসপোর্ট ইস্যু করতেছে না। তাছাড়া যে সমস্ত পাসপোর্ট হাতে লেখা ছিল সেগুলোকে আবার নতুনভাবে মেশিন দিয়ে রিটেবল করা হচ্ছে।

বিশেষ কথা হচ্ছে আপনার কাছেও যদি আগেরকার সময়ের সেই হাতের লেখা পাসপোর্ট এভেলেবল থাকে তো আপনি খুব দ্রুত সেগুলোকে মেশিন দিয়ে রিটেবল করে ফেলুন। কেননা যে কোন সময় আপনাকে সেটা দিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কি?

মেশিন রিটেবল পাসপোর্ট কিংবা এম আর পি পাসপোর্ট আছে এমন একটি পাসপোর্ট যেটা কিনা মূলত মেশিন দিয়ে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার পাসপোর্টের যে সমস্ত তথ্যাদি রয়েছে সবগুলো মেশিন কিংবা কম্পিউটারের মধ্যে যত্ন সহকারে থাকবে।

অর্থাৎ সহজ বাসায় বলতে গেলে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট যেটা কিনা শুধুমাত্র মেশিন করতে হয়। অর্থাৎ যেটা কিনা শনাক্ত করতে হলে মেশিন এর প্রয়োজন পড়ে।

বাংলাদেশের মধ্যে এই সিস্টেমটা চালু হয় মূলত ২০১০ সালে। অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে এমআরপি কিংবা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। এই পাসপোর্ট এর মধ্যে আপনি কোথাও আপনার যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত ভাবে খুঁজে পাবেন না।

See also  অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র

কেননা আপনার একটি পাসপোর্টের বিশেষ অংশে কোডেড আকারে আপনার যাবতীয় ইনফরমেশন কোড করা থাকবে। মূলত যেটা কিনা শুধুমাত্র মেশিন দিয়ে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। যার কারণে এখনকার সময়ে বুয়া পাসপোর্ট জনিত যে সমস্ত অপরাধ রয়েছে সেগুলো অনেকটায় কমে গেছে

পাসপোর্ট আবেদন কয় প্রকার | পাসপোর্ট এর খরচ কত

মূলত সাধারণত দুই ধরনের পাসপোর্ট এর আবেদন করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে (১) সাধারণ (২) জরুরী। মূলত এই দুই প্রকার এর পাসপোর্ট এর উপর নির্ভর করেই মূল্য অর্থাৎ খরচ নির্ভর করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ জন্ম সংশোধন অনলাইনে আবেদন।

নিয়মিত পাসপোর্টঃ আপনি যদি সাধারন অর্থাৎ নিয়মিত যে পাসপোর্টটি করা হয়ে থাকে সেটি করেন তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫ টাকা। যেটা কিনা আপনি ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু আপনি যদি নিজে করেন তাহলে হয়তো দুই তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে আপনাকে সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট করতে হবে। তবে হয়তো আপনি ২১ কর্মদিবস এর মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন।

জরুরী পাসপোর্টঃ আপনার যদি কোন একটা দেশে বেশি প্রয়োজন অর্থাৎ খুব দ্রুত যেতে হচ্ছে তাহলে আপনি জরুরী পাসপোর্ট এটা অবলম্বন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনাকে তারা খুব তাড়াতাড়ি করে দেয়ার চেষ্টা করবে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই খরচ বেশি পড়বে

তাই আপনি যদি জরুরী পাসপোর্ট এর আওতায় চলে যান তাহলে আপনাকে খরচ দিতে হবে ৮ হাজার ২৫ টাকা। যেটা কিনা আপনাকে ২ কর্ম দিবসের মধ্যে সুপার এক্সপ্রেসের মাধ্যমে পাসপোর্ট হওয়ার ডেট দিয়ে দিবে। তাছাড়া এটা যদি আপনি নিজে করেন তাহলে হয়তো ১৫ থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ১০ টাকায় ৪০ মিনিট রবি | Robi 40 minutes 10 taka | ৬ টাকায় ১০ মিনিট রবি কোড

পাসপোর্ট করার নিয়ম

এখন আমরা মূল বিষয়ে আলোচনা করব। অর্থাৎ আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত আমরা যে বিষয়টা নিয়ে সাজিয়েছিলাম অর্থাৎ আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে।

তো এ পর্যন্ত তো আমরা অনেক কিছু জানলাম কিন্তু এখনো পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে কোথাও কোনো কিছু বলা হয়নি। তবে পাসপোর্ট কি এবং ফি কত এসব বিষয় নিয়ে হয়তো আপনি একটু হলেও ধারণা পেয়েছে।

তাহলে আর দেরি না করে আমাদের মূল বিষয় আলোচনা করা যাক। তাই আপনি যদি নতুন একটা দেশে অনুমতি পত্র অর্থাৎ ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকার এবং হেল্পফুল হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

পাসপোর্ট করার নিয়ম বিস্তারিত বলার আগে আমরা আগে তার বেসিক কিছু জেনে নিই। অর্থাৎ আপনাকে কোন কোন স্টেপ অতিক্রম করতে হবে নতুন একটা ভিসা কিংবা পাসপোর্ট করার জন্য। যেগুলো কিনা নিচে দেওয়া হলঃ-

  • আপনার পাসপোর্ট বেদে খরচ জমা দিতে হবে (ফি দিতে হবে )
  • যে সমস্ত কাগজ আদি প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে
  • ভিসা কিংবা পাসপোর্ট আবেদনের যে ফর্মটি রয়েছে সেটা পূরণ করতে হবে এবং সংগ্রহ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট ফরম এবং সংযুক্তের সত্যায়িত করতে হবে
  • আবেদন ফরম সুন্দর করে ফিলাপ করে অফিসে জমা দিতে হবে
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করতে হবে
  • পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে নিতে হবে
  • পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে 

আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমি নিচে উপর দেওয়ার সবগুলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি যদি পাসপোর্ট করার নিয়ম আদি এবং কিভাবে করতে হয় সবকিছুই বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া সবগুলোই ভালোভাবে পড়ুন।

তার জন্য অবশ্যই আপনাকে স্টেপগুলো ফলো করতে হবে অর্থাৎ কোথায় কখন কিভাবে করবেন সবগুলো।

আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পদ্ধতি।

স্টেপ ১ :- পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া

পাসপোর্ট করার জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টি লক্ষ্য নিয়ে কিংবা আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে ফি জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে অফলাইন এবং অনলাইন দুই মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।

এখানে অফলাইন বলতে বোঝানো হয়েছে আপনি সরাসরি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের অফিসে গিয়ে ফি জমা দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনাকে আশা করি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

এখানে অনলাইন বলতে বোঝানো হয়েছে আপনি যদি অনলাইনে আবেদন করেন তাহলে সেখান থেকে অনলাইনে আপনার পাসপোর্ট ফি প্রদান করবেন। 

অর্থাৎ আপনি যদি অনলাইনে সরাসরি পাসপোর্ট করার আবেদন করেন সেখানে অনলাইন এর মাধ্যমিক কিভাবে ফি প্রদান করবেন সেগুলো বিস্তারিতভাবে এবং স্টেপ বাই স্টেপ বলে দেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ মাস্টার কার্ড করার উপায় | মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

বিশেষ করে ভিসা কিংবা পাসপোর্ট এর যে সমস্ত ফি হয়েছে সেগুলো আপনি কত দিনের ভিতরে পেতে চান সেটার উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনি যদি কম সময়ের ভিতরে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে টাকা একটু বেশি দিতে হবে।

এখানে পাসপোর্ট কম কিংবা বেশি দিনের ভিতরে পাওয়ার দুইটি অপশন রয়েছে একটা হচ্ছে ২১ দিন কিংবা এর চেয়ে বেশি। আরেকটা হচ্ছে ২-৩ দিনের ভিতরে যেটা কিনা আপনার একটু খরচ বেশি পড়বে ২১ দিন সেটার তুলনায়।

তাহলে এখন আমরা জানবো সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে অর্থাৎ অফলাইনের মাধ্যমে কিভাবে আপনি আপনার পাসপোর্ট ফি প্রদান করবেন। তাহলে এখন সামান্য একটু সময় নিয়ে সেটা একটু জেনে নিয়ে যাক।

ব্যাংক এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি জমা দেয়ার নিয়ম

আপনি যদি আপনার পাসপোর্টের জন্য সরাসরি অফলাইন অর্থাৎ তাদের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন তাহলে আপনাকে ব্যাংকের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে হবে।

যার জন্য তারা আপনাকে একটা স্লিপ দিবে যেটাতে কিনা আপনার ফি কত এটা বিস্তারিতভাবে দেয়া থাকবে। আপনাকে এমন একটা স্লিপ দেওয়া হবে যেটাতে কিনা আপনার যাবতীয় তথ্য পূরণ করে আপনাকে আপনার ফি সরাসরি ব্যাংকে দিতে হবে।

আপনি যখন সরাসরি অফলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকে গিয়ে আপনার পাসপোর্টের ফি প্রদান করবেন তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে দুই পার্টের একটা রশিদ প্রদান করবে। একটা পার্ট হচ্ছে কাস্টমারের জন্য অপর আরেকটা হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসের জন্য। যেটা কিনা আপনার আবেদন ফরমে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ বাটন ফোনে উপায় একাউন্ট খোলার নিয়ম 2022

ব্যাংকে ফি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণীয় বিষয়

  • আপনি যে কেন্দ্র থেকে পাসপোর্ট করাবেন সেই কেন্দ্রের কোন একটা ব্যাংক থেকে ফি প্রদান করলে একটু ভালো হয়।
  • সহজেই ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার স্লিপ এর নাম এবং পাসপোর্ট এর নাম এক দেওয়া অত্যন্ত ভালো।
  • ব্যাংকে টাকা দেয়ার ৬ মাসের ভিতরে যদি আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন না করেন তাহলে আপনাকে আবার নতুনভাবে টাকা দিতে হবে অর্থাৎ ফি দিতে হবে।
  • মানি রশিদ এর যে ট্রানজেকশন নাম্বারটি রয়েছে সেটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তাই এটি খুব যত্নভাবে সংরক্ষন করার চেষ্টা করুন
  • টাকা জমা দেওয়ার পরে যে রশিদ টা দেওয়া হবে সেখানে যে সমস্ত বিষয়াদি লেখা আছে সবগুলো ভালোভাবে পড়লে বিস্তারিতভাবে জানা যাবে আশা করি।
See also  হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | হারানো আইডি কার্ড পাওয়ার উপায়

যে সমস্ত ব্যাংক পাসপোর্ট ফি গ্রহণ করে থাকে

  • # premium Bank
  • # Sonali Bank
  • # trust one bank
  • # one bank
  • # Dhaka Bank

অনলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে আপনার ফি প্রদান করতে চান তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম তাদের অফিসিয়ালি যে ওয়েবসাইট টা আছে সেটাতে প্রবেশ করতে হবে। এবং সেটাতে যাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ সঠিক তথ্যগুলো ফিলাপ করতে হবে।

আপনি সেখানে পেমেন্ট করার বিভিন্ন অপশন পেয়ে যাবেন যেমন ব্যাংক, নগদ, রকেট এবং বিকাশ ইত্যাদি। এই সমস্ত ব্যাংক আপনার ফি হিসেবে ২-৩ টাকা কিংবা ৫ টাকা পর্যন্ত কাটতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর বেশিও কাটতে পারে।

অনলাইনের মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর সেখানে একটি পেজ কিংবা রশিদ পেয়ে যাবেন সেটা আপনাকে দুইটা প্রিন্ট করতে হবে। একটা আপনার জন্য নিয়ে নিবেন আরেকটা পাসপোর্ট অফিসে জমা দিবেন।

স্টেপ 2 :- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন

পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে সবচাইতে মেইন পয়েন্ট হচ্ছে এই স্টেপ। অর্থাৎ আপনার সম্পর্কে তারা ভেরিফিকেশন করার জন্য তাই এখন মূলত আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টা সম্পর্কে আলোচনা করবো সেটা হচ্ছে পাসপোর্ট করতে কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে।

  • পাসপোর্ট ফরম সংগ্রহ করতে হবে ২ কপি
  • আপনার বর্তমান অবস্থাই তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা স্মার্ট কার্ড অথবা যদি এগুলো না থাকে আপনার জন্ম নিবন্ধন সত্যায়িত ফটোকপি।
  • যে সমস্ত লোক ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ড্রাইভার কিংবা পেশাগত লোকদের জন্য তাদের পেশাগত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
  • যে সমস্ত লোক সরকারের চাকরিজীবীরা আছে তাদের জন্য নো অবজেক্ট সার্টিফিকেট বা গভারমেন্ট অর্ডারের প্রয়োজন হবে।
  • নাগরিক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন হবে।

বিঃদ্রঃ আপনি যখন উপরে উল্লেখিত সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে জমা দেওয়ার জন্য তাদের অফিসে যোগাযোগ করবেন তখন অবশ্যই এগুলোর আসল কপি সঙ্গে রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা তারা আপনাকে আরো ভালোভাবে ভেরিফিকেশন করার জন্য আসল কপি দেখতে হতে পারে।

স্টেপ ৩:- আবেদন করার ফরম পূরণ

আপনি ইচ্ছে করলে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফরম যেটি রয়েছে সেটি দুইভাবে পূরণ করতে পারেন একটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে অফারটি হচ্ছে অফলাইনের মাধ্যমে। এখান থেকে আপনার যেটি ইচ্ছে সেটি বাছাই করতে পারে।

অফলাইন~আপনি যদি অফলাইন থেকে ফরম পূরণ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনাকে তাদের পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে সেখান থেকে ফরম কালেক্ট করতে হবে। আপনি যদি তাদের থেকে একটা ফরম চান তারা আপনাকে বিনামূল্যে দিতে পারে।

তাছাড়া আপনি চাইলে তাদের একটি যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে সেখান থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তবে আমার মত আপনি যদি অফলাইনে ফরম জমা দেন বা ফোন করেন তাহলে এখান থেকে অর্থাৎ তাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া ভালো।

তাই আপনি যদি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনার কাঙ্খিত ফরমটি কালেক্ট করতে ইচ্ছুক হন তাহলে এখানে ক্লিক করে সে ফরমটা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

তবে যেহেতু আমরা হাতে লিখে অফলাইনে সরাসরি তাদের অফিসে গিয়ে ফরম ফিলাপ করবো তাই অবশ্যই তিন-চারটা ফরম আপনার পাশে রাখবেন। কেন না হয়তো আপনি যেহেতু হাতে লিখতেছেন তাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনলাইন~‌ আপনি যেহেতু অনলাইন থেকে ফরমটা পূরণ করবেন কিংবা ফিলআপ করবেন তাই অবশ্যই আপনাকে তাদের অনলাইন যে ওয়েবসাইটটা আছে সেটাতে প্রবেশ করতে হবে। তো তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনাকে এখানে দেওয়া সবকিছু ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে এবং ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। কোথায় কি দিতে হবে এবং কখন করতে কি করতে হবে সবগুলো সেখানে আশা করি দিয়ে দেওয়া হবে।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর ফরম ফিলাপ করার সময় আপনার যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণভাবে দিতে হবে। এখানে আবার কোন প্রকার বোন দেওয়া চলবে না কেননা এটি একটি আপনার এন আইডি কার্ডের মত।

এবার যখন আপনার কাঙ্খিত প্রয়োজনীয় সব তথ্য সাবমিট করার পর ফরমটা ফিলাপ করে ফেলবেন তখন সেটা আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ফেলতে হবে। প্রিন্ট করার সময় অবশ্যই দুই পিঠ করে প্রিন্ট করবেন।

অর্থাৎ মূলত হাতের লেখা ফর্মটা যেভাবে প্রিন্ট করা হয় আপনারটাও ঠিক সেই ভাবেই প্রিন্ট করতে হবে। কেননা এখানে এক সেট পাসপোর্ট অফিসে প্রয়োজন হবে অফারটা পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এসবি অফিসে প্রেরণ করা হবে।

এখন আপনি যে শব্দ তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটি নিয়েছেন সেটা আঠা দিয়ে আপনার ফরম এর মধ্যে লাগিয়ে নিতে হবে। এখানে যে দুইটা নিয়েছেন ফরম অর্থাৎ দুইটা প্রিন্ট করেছেন। সেই দুইটার মধ্যে দুইটা আপনার সদ্য তোলা ছবি আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।

এখন আপনি পেমেন্ট করার সময় ব্যাংক থেকে যে রশিদটি দিয়েছিল সেটি আপনার ফরমের দুইটা থেকে কোন একটাতে আঠা দিয়ে সুন্দরভাবে উপরের ডান দিকে লাগিয়ে দিতে হবে।

আবার একটা কথা মনে রাখবেন সেটা হচ্ছে আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং যে রশিদটি দেওয়া হয়েছিল সেটা ফিনের মাধ্যমে লাগাবেন না। অর্থাৎ অবশ্যই আপনাকে আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

স্টেপ ৪:- পাসপোর্ট ফরম এবং সংযুক্ত সত্যায়িত কপি

মূলত উপরে যে স্টেপগুলো বলেছিলেন সেগুলোতে মূল যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কালেক্ট করা। অর্থাৎ এখন আমি যে বিষয়টা আলোচনা করব সেটা হচ্ছে আপনি যে কাগজ গুলো কালেক্ট করেছেন সেগুলো এখন আবার সত্যায়িত করতে হবে।

আপনি যে দুই সেট ফরম প্রিন্ট করে নিয়েছেন এখন সেগুলোতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র/স্মার্ট কার্ড অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন ফিন মেরে নিতে হবে। এখন আপনাকে আপনার ফর্মের সেট দুটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।

স্টেপ ৫:- পাসপোর্ট অফিসে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে

সমস্ত ফরম এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমপ্লিট কিংবা কালেক্ট করার পরে সত্যায়িত করে ফেলেছেন এখন পরের ধাপটি হচ্ছে আপনাকে সেগুলো পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ফর্মটা অনলাইনে পূরণ করেন তাহলে আপনাকে সেটা আবার সরাসরি তাদের অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে না। তবে আপনি যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো হয় কেননা সেখান থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

আর আপনি যদি আপনার ফর্মটা হাতে পূরণ করেন তাহলে আপনি যদি সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে রিজিওনাল অফিসে জমা দিতে হবে। আর আপনার ঠিকানা যদি সিটি কর্পোরেশনের বাইরে তাহলে আপনি আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে পারেন।

সবকিছু ঠিকঠাক করে কালেক্ট করার পর আপনি সরাসরি চলে যাবেন উপরে উল্লেখিত অফিস গুলোতে। সেখানে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি এবং আসল কফি উভয়টা নিবেন। কেননা যদি আপনার আরও ভেরিফিকেশনের জন্য তারা আসল কপি চাই যেন আপনি দিতে পারেন।

যখন আপনার সিরিয়াল নম্বর আসবে তখন আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফর্ম গুলো নিয়ে সরাসরি জমা দিতে যাবেন। যদি আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর মধ্যে কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে সেটা সংশোধনের জন্য তারা আপনাকে বলে দিবে।

See also  মালয়েশিয়া কি কি কাজ করা যায় | মালয়েশিয়া ভিসা কবে থেকে শুরু হবে

কোথায় ভুল হয়েছে কিভাবে সেটা সংশোধন করতে হবে আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন এবং তারা আপনাকে সঠিকভাবে কোথায় কি করতে হবে সবগুলো বুঝিয়ে বলে দিবে আশা করি।

যদি অফিস থেকে আপনাকে কেউ কোনো জিজ্ঞেস করে তাহলে সে তার সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আবার অনেক লোক আছে যারা কিনা গাবরিয়ে অনেক ভুল উত্তর দিয়ে ফেলে। তাই আপনি প্রত্যেকটা উত্তর আত্মবিশ্বাসের সাথে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

এরপর আপনাকে তারা বলে দিবে আর কোথায় যেতে হবে অর্থাৎ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আপনার ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার আঙ্গুলের চাপ আপনার ছবি ইত্যাদি নিতে পারে। এবং সবগুলো তাদের থেকে জিজ্ঞেস করে নিন কোথায় কি করতে হবে।

আপনার হাতে যে রশিদ রয়েছে সেখানে কোন প্রকার ভুল আছে কিনা সেটা ভালোভাবে দেখে নিন কেননা আপনার রশিদে যে ধরনের তত্ত্ব কিংবা ইনফরমেশন রয়েছে সবগুলোই মূলত আপনার পাসপোর্টে তুলে দেওয়া হবে।

তাই আপনি যদি কোন প্রকার বল সেখানে দেখতে পান খুব শীঘ্রই আপনার দায়িত্বে থাকা কোন সরকারি কর্মকর্তাকে খুব শীঘ্রই জানানোর চেষ্টা করবেন। কিভাবে সলভ করতে হবে তারা আশা করি আপনাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবে।

তবে আপনার অসচেতনার কারণে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে যায় তাহলে সেটা আর কোনভাবে শোধরানোর উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন আরেকটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে। এর জন্য আপনারা সময়ের সাথে টাকা লস হবে।

অবশ্যই আপনি রশিদ টি সংগ্রহ করে রাখবেন কেননা আপনি যখন পাসপোর্ট কমপ্লিট হওয়ার পরে পাসপোর্ট এর জন্য যাবেন তখন আপনাকে এই রশিদটি দেখার প্রয়োজন হবে। তাই রশিদটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখুন।

স্টেপ ৬:- পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে

আপনার ওপরে যদি সমস্ত কাজ কমপ্লিট হয়ে যায় এখন আরেকটি কাজ বাকি এসে সেটা হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। পাসপোর্ট করার নিয়মের মধ্যে অন্যতম একটি স্টেপ হচ্ছে এটি।

তার জন্য পাসপোর্ট আবেদনকারীর বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আসবে অথবা আবেদনকারী ব্যক্তিকে তাদের অফিসের সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হতে পারে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে যেমনঃ আপনার যদি জায়গা জমি থাকে তাহলে জায়গা জমির কাগজপত্র যদি না থাকে তাহলে ভূমিহীন একটি সার্টিফিকেট নিয়ে নিবেন, আপনার ইউটিলিটি বিলের কপি। তবে ক্ষেত্র ভেদে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু চাওয়া হতে পারে। কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তাদের থেকে জিজ্ঞেস করে নিবেন।

আপনি যে ফর আন্টি ফিলাপ করেছিলেন সেখানে যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা পার্থক্য হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে দুই জায়গাতেই ভেরিফিকেশন করা হতে পারে। আর যদি আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা এক হয় তাহলে ভিন্ন ভিন্নভাবে ভেরিফিকেশন করা হবে না এক জায়গাতেই করা হবে।

উপরে যে সমস্ত স্টেপ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সবগুলো যখন আপনি পরিপূর্ণ করে ফেলবেন তখন আপনার অফিশিয়ালি যে সমস্ত কাজকর্ম রয়েছে সবগুলি শেষ হয়ে গেছে। এখন আপনাকে শুধু অপেক্ষা করতে হবে তখন আপনার পাসপোর্টটা কমপ্লিট হবে। তাহলে এখন বাকি স্টেপ গুলো একটু জেনে নেয়া যাক কি কি করতে হবে।

স্টেপ ৭:- নিয়মিত পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করুন

এই স্টেপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা দেখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন সেটি এখন কোন অবস্থাতে রয়েছে কাজ কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে, সম্পন্ন হয়েছে কিনা এখানে দেখতে পাবেন।

এখানে বলতে আপনি অনলাইনের মধ্যেই খুব সহজেই ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে দেখতে পান। তাহলে সেটা একটু জেনে নেয়া যাক কিভাবে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখবেন।

তার জন্য আপনাকে এখানে ক্লিক করতে হবে এবং আপনাকে একটি পেজ নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে এনরোলমেন্ট আইডি এবং আপনার জন্ম তারিখটি সঠিকভাবে বসাতে হবে।

এখানে এনরোলমেন্ট আইডি বলতে বোঝানো হয়েছে যেটা কিনা আপনার রশিদের মধ্যে বিদ্যমান থাকবে। সেখান থেকে আপনি খুব সহজে আপনার এনরোলমেন্ট আইডিটা কালেক্ট করতে পারবেন।

এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে দেখতে পাবেন আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা। অর্থাৎ যেটাকে আমরা অন্য ভাষায় ভিসা চেক করার নিয়ম বলে থাকি।

তাছাড়া আপনার কাছে যদি স্মার্টফোন না থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এসএমএস এর মাধ্যমে দেখতে পাবেন। এসএমএস এর মাধ্যমে আপনি স্মার্টফোন এবং বাটন মোবাইল প্রত্যেক জায়গাতে একটি ফোন এবং সিমের মাধ্যমে খুব সহজে দেখতে পাবেন।

তাছাড়া কিভাবে আপনি আপনার পাসপোর্টটা নিজের ঘরে বসে চেক করবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি আরেকটা আর্টিকেল আমার এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছিলাম। তো আপনি যদি পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৮:- আপনার কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্টটি কালেক্ট করুন

যখন আপনার পাসপোর্টটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাবে অর্থাৎ রেডি হয়ে যাবে তখন আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে আশা করি কল করেও আপনাকে জানাতে পারে।

তবে একটা মজার বিষয় হচ্ছে আপনি নিজের ঘরে বসেই পাসপোর্ট চেক করে নিতে পারেন আপনার মোবাইল দিয়ে। যেটা কিনা আমি উপরের স্টেপ এর মধ্যে বলে দিয়েছিলাম সেখান থেকে দেখে নিন।

তো সর্বশেষ আপনি যদি কোন ভাবে জানতে পারেন আপনার পাসপোর্ট এর সম্পূর্ণভাবে রেডি হয়ে গেছে তো আপনি খুব দ্রুত অফিসে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টটি কালেক্ট করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২১ 

আসলে মূলত পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২১ এবং পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ সবগুলো নিয়ম একই। অর্থাৎ আপনি যদি এখন পাসপোর্ট করাতে যান আমাদের আজ থেকে পাঁচ বছর আগের যে সমস্ত জিনিস কিংবা যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পাসপোর্ট করেছিলাম এখনো আপনাকে সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পাসপোর্ট করতে হবে।

তাই আপনি যদি পাসপোর্ট করা নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সুন্দরভাবে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শুরু থেকে পড়ে আসুন। কেননা আমি বিস্তারিতভাবে বলে দেয়ার চেষ্টা করেছি পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কিভাবে করতে হয়।

ই পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে

আমার জানা মতে এবং আমি ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে যে সমস্ত তথ্য পেয়েছি সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই পাসপোর্ট চালু হয়েছে।

অর্থাৎ আপনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া প্রত্যেক জায়গাতে পাসপোর্ট এর সেবা এভেলেবেল পাবেন। আপনি যে জেলার হোন না কেন আপনি চাইলেই খুব সহজেই পাসপোর্ট করে নিতে পারবেন।

তবে আমার একটা সুন্দর আর্টিকেল আছে যেটা কিনা আমি এই পাসপোর্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আপনি যদি সেটা না পড়ে থাকেন তাহলে এখানে ক্লিক করে এখনি পড়ে আসুন।

পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কত টাকা লাগে?

তবে আইনগতভাবে কোন প্রকার প্রয়োজন হয় না থাকার অর্থাৎ পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে পাসপোর্ট এর জন্য কোন প্রকার আইনগতভাবে টাকার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু অনেক এমনও পুলিশ আছে যারা কিনা আপনার থেকে টাকা চাইবে তাই তারা আপনার থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত চাইতে পারে।

পাসপোর্ট পেতে কয় দিন লাগে?

আপনার আবেদনের উপর নির্ভর করে কোন সময় পাবেন কতদিন লাগবে এটা নির্ভর করবে। অবশ্যই আপনি যত টাকা বেশি খরচ করবেন তত দ্রুত আপনার পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে যাবেন।

যেমন আমি উপরে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছিলেন আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট দুই প্রকার (১) সাধারণ (২) জরুরী। এখানে আপনি সাধারণ যে কাজ করতে হয়েছে সেটা আপনার এক থেকে দুই মাস সময় নিতে পারে।

তবে এখানে জরুরি যে পাসপোর্ট রয়েছে সেটা আপনি এক সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণের চেয়ে টাকা একটু বেশি খরচ হবে। বিস্তারিত তাদের থেকে জেনে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ এসএসসি রেজাল্ট চেক | SSC result দেখার নিয়ম

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

আপনি কোন ধরনের পাসপোর্ট এর আবেদন করেছেন এর উপর নির্ভর করেই মূলত আপনার ফি প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি জরুরী পাসপোর্ট যেটা রয়েছে সেটার আবেদন করেন তাহলে আপনার একটু টাকা বেশি খরচ হবে।

আর আপনি যদি সাধারণ যে পাসপোর্ট রয়েছে সেটার তাহলে আপনার একটু টাকা কম খরচ হবে। তবে আমার জানা অতি সর্বনিম্ন টাকার পরিমান যেটা খরচ হয় সেটা হচ্ছে ৪০২৫ টাকা।

Leave a Comment