সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত | সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ

 আমাদের বাংলাদেশে হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং আপনি বাংলাদেশের যে জেলাতে যান না কেন পর্যটন কেন্দ্র দেখতে পাবেন অনেক হাজার হাজার। তার মধ্যে অন্যতম একটি নাম হচ্ছে সাজেক ভ্যালি।আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করব। যেমনঃ সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ, সাজেক কোন জেলায় অবস্থিত, সাজেক কোথায় সাজেক সম্পর্কে আরো নানা বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা। তাই আপনি যদি এই বিষয় সর্ম্পকে সম্পূর্ণরূপে জানতে চান আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে ভুলবেন না। তাহলে চলুন জেনে আসি সবগুলোই বিস্তারিত

সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত

সাজেক ভ্যালি

বর্তমান সময়ের ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের সবচেয়ে মজার জায়গা হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। সাজেক বেলি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন যেটা কিনা মূলত রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। আপনি এর উচ্চতা সম্পর্কে জানলে অবাক হয়ে যাবেন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা হচ্ছে 1800 ফুট । এটি যদিওবা রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে অবস্থিত কিন্তু আপনি এখানে যদি যেতে চান তাহলে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থেকে যাতায়াত করতে অনেক সহজ হবে ভৌগলিক কারণে। এখন যদি খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে 70 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। আর আপনি যদি দীঘিনালা থেকে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু মাত্র 40 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

বয়স্ক ভাতা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন | বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন 2022

কাঁচা ছোলা ও বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান | জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম

সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত | সাজেক দর্শনীয় স্থান

সাজেক ভ্যালিতে আপনি সারি সারি মনোরম পাহাড় দেখতে পাবেন দেখতে পাবেন সাদা তুলোর মতো মেঘের ভ্যালি যেটা তো আপনাকে মুগ্ধ অবশ্যই করবেই। সাজেক সম্পর্কে যদি আমি আপনাদেরকে ধারণা কি অর্থাৎ সাজেকের দর্শনীয় স্থান এবং সেখানে কি দেখবেন? তাহলে আমি আপনাদেরকে বলবো সাজেক ভ্যালি এমন এক জায়গা বা আশ্চর্যজনক স্থান যেখানে কিনা আপনি ১ দিনে প্রাকৃতিক ৩ রুপের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবে। হতে পারে আপনি একই সময়ের মধ্যে কখনো খুব গরম অনুভুতি করতেছেন আবার কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পয়সার কিংবা আবার কিছুক্ষণ পর দেখতে পাবেন বৃষ্টি হয়ে যায় এমন অনেক সময়। হয়তোবা আবার কিছুক্ষণ পর দেখতে পাবেন আপনার চারপাশ ঘিরে রেখেছে যেটা কিনা খুব মনমুগ্ধকর একটি দৃশ্য।

পর্যটকদের সাজেক ভ্যালিতে আসার মেইন পয়েন্ট হচ্ছে কংলাক পাহাড়। যেটা কিনা মুহূর্তের মধ্যেই পর্যটক এর চোখ কেড়ে নেই তার মনোরম দৃশ্য। সাজেক ভ্যালির একদম শেষ গ্রাম অর্থাৎ কংলাক পাড়া এটি একটি লুসাই জনগোষ্ঠী দ্বারা অধিষ্ঠিত একটি পাড়া। কংলাক পাহাড় থেকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখতে পাবেন কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল সহ ভারতের লুসাই পাহাড়। আপনার যদি কমলা ঝর্না দেখতে ইচ্ছে হয় আপনি খুব সহজেই রুইলুই পাড়া থেকে মাত্র 2 ঘন্টা ট্রেকিং করে পৌঁছে যেতে পারবেন । খুব সুন্দর মনোরম দৃশ্য এই জন্য এটি আবার অনেকেই ফিদাম তৈসা ঝরনা কিংবা সিকাম তৈসা ঝর্না নামেও পরিচিত।

সাজেক বেলি এমন এক জায়গায় যেটা কিনে দিন হোক কিংবা রাত সব সময় আপনি বুঝতে পারবেন এটা হয়তো মনে হয় শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন কোন একটা জায়গাতে যায় সেটা দেয়ার যাওয়ার ইচ্ছে করো না কিন্তু সাজেক ভ্যালি এমন এক জায়গা আপনি যতবার যান না কেন আরো যাওয়ার ইচ্ছে জাগবেই। আপনি যদি কোন সময় সাজেক ভ্যালিতে যান তাহলে অবশ্যই সকালের মনোরম দৃশ্য টি মিস করবেন না। কেননা এই সকালবেলায় মেঘের খেলা এবং সূর্যোদয়ের আলোর মেলা মূলত এই সময় বেশি দেখা যায়। তার জন্য আপনাকে সকালবেলা খুব সকালে উঠে আপনাকে চলে যেতে হবে সূর্যোদয়ের সময় হেলিপ্যাডে। কেননা মূলত হেলিপ্যাড থেকেই সূর্যোদয়ের সেই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা অনেক সহজ।

আপনি যদি সাহায্য করে কোন একটা উঁচু জায়গা তে উঠে সূর্যাস্তের এসে মনোরম দৃশ্য দেখেন তাহলে সূর্যাস্তের সেই রঙিন রূপ আপনাকে বিমোহিত করবেই। আর আপনি যদি আপনার প্রাণ জুড়াতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সন্ধ্যার পর কোটি কোটি তারার মেলা অবশ্যই দেখতে হবে।

See also  রবি নাম্বার কিভাবে দেখে । রবি নাম্বার দেখার উপায়

তাছাড়া আপনি ঘুরে ঘুরে দেখে নিতে পারবেন সাজেক ভ্যালির চারপাশের অবস্থা এবং অধিবাসীদের জীবনযাপন। অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে তাদের জীবন যাপনের অবস্থা দেখে। আর আপনি যখন সাজেক ভ্যালির সে জায়গাটা ঘুরে ফিরে চলে আসবেন তখন হাজাছড়া ঝর্ণা, দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ, এবং দীঘিনালা বনবিহার ইত্যাদি দেখতে ভুলবেন না।

সাজেক কোন জেলায় অবস্থিত

আবার অনেকেই জানতে চান সাজেক আসলে কোন জেলার মধ্যে তো তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি। “সাজেক ভ্যালি” এটি চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত এটি এমন একটি গ্রাম যেটা কিনা সর্ব উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। আর আপনি যদি এখানে দীঘিনালা থেকে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাইজ 40 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে।

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ

আমরা সকলেই জানি এবং আমিও পরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সাজেক ভ্যালি কোন জেলার মধ্যে অবস্থিত। অর্থাৎ এটি রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে অবস্থিত একটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। যদিও বা এটি রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যে অবস্থিত কিন্তু আপনি যদি এখানে সহজে যেতে চান তাহলে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থেকে যেতে পারেন। কেননা এখান থেকে যেতে শুধুমাত্র আপনার প্রায় 40 কিলোমিটার মত পথ অতিক্রম করতে হবে। তাছাড়া রাঙ্গামাটি জেলা থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রায় 70 কিলোমিটার মত পথ অতিক্রম করতে হতে পারে।

আর আপনি যদি একজন ঢাকার অধিবাসী কিংবা প্রতিবেশী হয়ে থাকেন এবং আপনি সাজেক ভ্যালিতে যেতে চান অথবা ঢাকা থেকে যেতে চান তাহলে হানিফ, সৌদিয়া, শ্যামলী এবং শান্তি পরিবহন ইত্যাদি সহ আরো অনেক গাড়িতে করে আসতে পারেন। আপনি যদি কোন একটা এসি ছাড়া বাসে করে আছেন সেই ক্ষেত্রে আপনার 620 টাকা খরচ পড়তে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি বেশি বাসে করে আছেন সে ক্ষেত্রে সেন্ট মার্টিন হুন্দাই রবি এক্সপ্রেস, হানিফ এন্টারপ্রাইজ সহ আরো নানা জাতীয় বাসে করে আসতে পারেন। অর্থাৎ আপনি কি এসি বাসে আছে করে আছেন সেক্ষেত্রে আপনার গাড়ি ভাড়া 1000 থেকে 1500 টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর অনেক সময় দেখা যায় এইসব বাসগুলো রাত দশটার দিকে এদিকে রওয়ানা হয়। আর বিশেষ করে আপনি যদি শান্তি পরিবহন করে আসেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা হবে কেননা শান্তি পরিবহন একেবারে দিঘীনালা পর্যন্ত যায় সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে 680 টাকা মত।

আপনি ঢাকা থেকে যদি আসতে চান সেক্ষেত্রে ঢাকার গাবতলী সহ আরো নানা স্থানে এই সব গাড়ির কাউন্টার পেয়ে যাবেন। বিশেষ করে আপনি একটা বিষয়ের দিকে লক্ষ্য করবেন সেটি হচ্ছে যখন ছুটির টাইম চলে আসে যেমনঃ ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ইত্যাদি উৎসবের দিন গুলোতে আগে থেকেই টিকেট কেটে রাখবেন। কেননা পরে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন অবশ্যই সে দিকে একটু খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন।

এখন হচ্ছে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার সময়। আপনি যদি খাগড়াছড়িতে পৌঁছেনএবং সেখান থেকে সরাসরি সাজেক ভ্যালিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রায় 70 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য আপনি খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বর থেকে জিপ গাড়ি অথবা চান্দের গাড়ি ইত্যাদি রিজাভ করেনি সাজেক ভ্যালি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার যাওয়া-আসার গাড়ি ভাড়া যদি হিসাব করেন তাহলে 9,000 থেকে 10,500 মতো খরচ পড়তে পারে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে আপনারা প্রতিকৃতি 10 থেকে 15 জন উঠতে পারবেন অর্থাৎ প্রতি জনের প্রতি প্রায় এক হাজার টাকার মতো খরচ পড়তে পারে যাওয়া আসার খরচ।

তাছাড়া আরেকটা বিষয় হচ্ছে আপনারা যদি লোকজন কম থাকেন অর্থাৎ আপনি একা কিংবা দুই একজন আছে সে ক্ষেত্রে অন্য কোন একটা ছোট গ্রুপের সাথে কথা বলতে পারেন। অর্থাৎ আপনার এবং সেই ছোট গ্রুপ মিলে একটা গাড়ি রিজার্ভ করবেন আর কি। যদি তা সম্ভব না হয় অর্থাৎ কোন একটা গ্রুপের সাথে কথা বলতে না পারেন সে ক্ষেত্রে একেবারে একটা সিএনজি রিজার্ভ করে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া 4000 থেকে 5000 পর্যন্ত পড়তে পারে। তবে যেহেতু সাজেক ভ্যালিতে পাহাড় এবং উঁচু নিচু জায়গা বেশি তাই সিএনজি নিয়ে ভ্রমন না করায় আমার মতে ভালো।

আরো পড়ুনঃ নোকিয়া বাটন মোবাইলের দাম বাংলাদেশ

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার ভাড়ার তালিকা | সাজেক ভ্যালি প্যাকেজ

১/ সাজেক যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রেঃ আপনি পিকআপ গাড়ি কিংবা জীপ অর্থাৎ চাঁদের গাড়ি খরচ পড়বে 6000 টাকা

২/ সাজেক যাওয়া আসা এক রাত্রি যাপনঃ পিকআপ গাড়ির ক্ষেত্রে 8,300 টাকা এবং জিপ গাড়ির ক্ষেত্রে 7,700 টাকা।

See also  ইংরেজি শব্দের অর্থ কি ?

৩/ সাজেক আসা যাওয়া এক রাত্রি যাপন, আলুটিলা, রিচিং ঝর্না, ঝুলন্ত ব্রিজ ইত্যাদিঃ এই প্যাকেজটির খরচ পিকআপ গাড়ির ক্ষেত্রে 10,400 টাকা এবং জিপ গাড়ির ক্ষেত্রে 9,000 টাকা।

৪/ সাজেক আসা যাওয়া এবং দুই রাত্রি যাপনঃ পিকআপ গাড়ির ক্ষেত্রে 11,100 টাকা এবং জিপ গাড়ির ক্ষেত্রে 9,600 টাকা

৫/ সাজেক আসা যাওয়া দুই রাত্রি যাপন, আলুটিলা, রিচিং ঝর্না, ঝুলন্ত ব্রিজ ইত্যাদিঃ এই প্যাকেজটির খরচ পিকআপ গাড়ির ক্ষেত্রে 13,200 টাকা এবং জিপ গাড়ির ক্ষেত্রে 11,400 টাকা।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ উপরে যে প্যাকেজ গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো হয়তো পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই খাগড়াছড়িতে যাওয়ার পর জিপ সম্মতি থেকে জিজ্ঞেস করে নিবেন। তাছাড়া কোনো একজন ভাল লোকের সাথে কথা বলে অথবা কোন একটি জিপ গাড়ির ড্রাইভার এর সাথে কথা বলে জেনে নিতে পারেন।

তাছাড়া আপনি যদি একা হন অথবা দুই তিনজন হন তাহলে কোন একটা ছোট গ্রুপের সাথে কথা বলে তাদের সাথে জয়েন হয়ে নিবেন। অথবা আপনারা যদি কোন একটা ছোট গ্রুপের সাথে জয়েন হতে সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে জীব সমিতির সাথে কথা বলে নেবেন। অবশ্যই তারা আপনাকে কোন একটা ছোট গ্রুপের সাথে জয়েন করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।

অথবা আপনারা যদি খাগড়াছড়ি থেকে যেতে চান সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা যাবেন এবং সেখান থেকেই সাহায্যে খুব সহজেই যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার মাত্র 30 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। যদি আপনি খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা বাসে করে যান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে প্রতি জন 45 টাকা করে। আর যদি আপনি মোটর সাইকেলে করে জানো সে ক্ষেত্রে জনপ্রতি 100 টাকা করে ভাড়া পড়বে। তাছাড়া আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে আপনি মোটরসাইকেল একেবারে রিজার্ভ করে সাজেক ভ্যালি থেকে একেবারে ঘুরে আসতে পারবেন।

অবশ্যই কোন একটা গাড়ি রিজার্ভ কিংবা ভাড়া করার আগে একটা বিশেষ দিকে লক্ষ্য করবেন সেটি হচ্ছে আপনি কোথায় কোথায় যাবেন, কি কি দেখবেন ইত্যাদি সব গুলো ঠিক করে নেবেন। তাছাড়া আপনারা কতক্ষণের জন্য গাড়ি ভাড়া করতেছেন নাকি কোন একটা পথ অতিক্রম করবেন এটা ঠিক করে নিবেন। না হলে আবার পরে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন কিংবা তর্ক বিতর্কে জড়াতে হতে পার।

আরেকটা বিশেষ জিনিসের দিকে লক্ষ্য করবেন সেটা হচ্ছে আপনি দীঘিনালা যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই 9 টা কিংবা 9:00 টার দিকে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা দীঘিনালা থেকে সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার যে রাস্তাটা রয়েছে সেটি অনিরাপদ হওয়ার কারণে আপনাকে সেনাবাহিনীর এসকোর্টে করে যেতে হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই সেখানে পৌঁছাতে হবে কেননা শুধুমাত্র দিনে দুইবার সেনাবাহিনীর এসকোর্ট পাওয়া যায়। সকাল 9:30 এবং বিকাল 2:30 মিনিটে সেনাবাহিনীর এসকোর্টের দেখা মেলে। তাই আপনি যদি সকালের সেনাবাহিনীর এসকোর্ট টা মিস করেন তাহলে আপনাকেই বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর আপনি যদি বিকালের টা মিস করেন তাহলে অবশ্যই আগামীকাল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দীঘিনালায় পৌঁছাতে যদি আপনার হাতে সময় থাকে তাহলে হাজাছড়া ঝর্ণা থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন।।

সাজেক ভ্যালি হোটেল ভাড়া | সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত

আর আপনি যদি সাহায্য নিতে যাওয়ার পরে রাত্রি যাপন করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে হোটেল ভাড়া নিয়ে রাত কাটাতে হবে না হলে আপনার অন্য কোথাও থাকতে কষ্ট হবে। তাই অবশ্যই আপনাকে সাজেক বেলি হোটেল ভাড়া সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আপনি যদি হোটেল ভাড়া নিতে চান সে ক্ষেত্রে গুগলে সার্চ করতে পারেন সেখানে আপনার সামনে কয়েকটা হোটেল কিংবা রিসোর্ট চলে আসবে সেখান থেকে আপনি তাদের সাথে কন্টাক্ট করতে পারবেন। তাছাড়া সাজেক ভ্যালিতে হোটেল ভাড়া কিংবা হোটেল খোঁজার জন্য আরেকটা বিশেষ উপায় হচ্ছে আপনি সরাসরি গুগল ম্যাপে গিয়ে সেখানে সাজেক ভ্যালি হোটেল লিখে সার্চ করতে পারি সেখানে আপনি অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন বা রিসোর্ট পেয়ে যাবেন।

সাজেক ভ্যালির উচ্চতা কত

অনেকেই সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার আগে একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে চান সেটা হচ্ছে সাজেক ভ্যালির উচ্চতা কত? আপনি যদি সেই উত্তরটা খুঁজে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন সেই প্রশ্নের উত্তর কি। সাজেক ভ্যালির উচ্চতা হচ্ছে প্রায় ভূপৃষ্ঠ থেকে 1800 ফুট।

সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য

অনেকেই আবার বোকার মত প্রশ্ন করে থাকে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য কেমন। এখন আমি তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলছি ভাই আপনি যদি সাজেক ভ্যালিতে যান তখন দেখতে পারবেন এর সৌন্দর্য কেমন। যেটা কিনা বলা সম্ভব নয় এটা হচ্ছে আল্লাহতায়ালার দেওয়া তার বান্দাদের নেয়ামতের একটি অন্যতম। তবে আপনারা যেহেতু সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য নিয়ে গুগোলে সার্চ করেন তাই তাদের কে উদ্দেশ্য করেই বলছি। আপনি যদি এর সৌন্দর্য দেখতে চান কিংবা উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাজেক ভ্যালিতে যেতে হবে। তাছাড়া আপনি মোবাইলের মধ্যেও এর সৌন্দর্য দেখতে পাবেন তার জন্য অবশ্যই আপনি ইউটিউবে সার্চ করতে পারেন সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য লিখে।

চট্টগ্রাম টু সাজেক ভ্রমণ | সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত

আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে দুটি উপায়ে যেতে পারেন (১) চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি টু সাজেক ‌(২) চট্টগ্রাম থেকে দিঘিনালা টু সাজেক। চট্টগ্রামের কদমতলী থেকে প্রতিদিন মাত্র চারটি এসি বাস যাতায়াত করে সেই বিআরটিসি বাস থেকে মাত্র 200 টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে পারেন।

তাছাড়া আপনি শান্তি পরিবহনে করেও যেতে পারেন যেগুলো কিনা চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়ে প্রতি ঘন্টা পর পর চলাচল করে। আপনি যদি সেই শান্তি পরিবহন করে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়ার খরচ পড়বে 190 টাকা করে। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি ভ্রমণ করার সময় আপনার সময় লাগবে প্রায় 4 থেকে 5 ঘণ্টার মতো।

রাঙ্গামাটি টু সাজেক ভ্রমণ

আসমি রাঙ্গামাটি থেকে যদি সাজেক যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম বাঘাইছড়ি যেতে হবে। এবং বাঘাইছড়ি আপনি দুই ভাবে যেতে পারেন (১) নৌপথে (২) সড়কপথে। তাই আপনি যদি লঞ্চ করে নৌ পথে যেতে চান রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে যেতে পারেন এবং সেখানে প্রতিদিন 9:30 টা থেকে 10:00 টা পর্যন্ত লঞ্চ ছাড়ে। তাই আপনাকে তখনকার সময়ে চলে যেতে হবে সেখানে। এখান থেকে নৌ পথে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার 150 টাকা থেকে শুরু করে 250 টাকা পর্যন্ত খরচ পড়তে পারে।

আপনি যদি রাঙ্গামাটি টু সাজেক বাসে করে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সরাসরি রাঙ্গামাটি বাস টার্মিনাল থেকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার জনপ্রতি ভাড়া 200 টাকা করে হতে পারে। এবং বাস ছাড়ার সময় হচ্ছে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত। আপনার সময় 7 থেকে 8 ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে।

Isতাছাড়া সরাসরি আপনি ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম থেকে বাঘাইছড়ি যেতে পারেন। এবং আপনি বাঘাইছড়িতে কে জীপগাড়ি অর্থাৎ চাঁদের গাড়িতে করে অথবা মোটরসাইকেলে করে জনপ্রতি 300 টাকা ভাড়া নিয়ে সরাসরি সাজেক যেতে পারেন। এখানে আমি আপনাদেরকে যেসব বাড়ার কথা উল্লেখ করেছি সেগুলো বেশ কম হতে পারে।

কক্সবাজার টু সাজেক ভ্রমণ

আপনি সরাসরি কক্সবাজার থেকে খাগড়াছড়ি সাজেক যেতে পারেন। কেননা শান্তি পরিবহনের বাস মূলত কক্সবাজার এবং খাগড়াছড়ি রুটেও চলাচল করে। কক্সবাজার থেকে খাগড়াছড়ি রাত নয়টায় কিংবা দশটার সময় খাগড়াছড়ির দিকে রওয়ানা হয়। নন এসি বাসের দাম অর্থাৎ বাসের ভাড়া জনপ্রতি 550 টাকা হতে পারে।

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ এ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

  • সাজেক ভ্যালিতে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা তেমন পাওয়া যায় না তাছাড়া সেখানে সোলার পাওয়া যায়। তাই আপনার মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ যেকোনো মুহূর্তে শেষ হয়ে যেতে পারে যদি আপনি সবার ব্যাগ নিতে পারেন তাহলে আপনার জন্যই ভালো হবে।
  • বিশেষ করে আরেকটা কথা হচ্ছে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের প্রয়োজন পড়ে যেমনঃ কথা বলা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ইত্যাদির ক্ষেত্রে। তাই সেখানে বিশেষ করে রবি, এয়ারটেল এবং টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়।
  • যেহেতু সাজেকে যাওয়ার পথ বা রাস্তা যেটা রয়েছে সেটা অনেক আঁকাবাঁকা এবং উঁচু-নিচু তাই অবশ্যই জিপ গাড়িতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
  • আপনি সাজেক যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার গাইড নেওয়ার প্রয়োজন নেই
  • আশেপাশের যে প্রতিবেশি কিংবা অধিবাসী রয়েছে তাদের কাছ থেকে ছবি তোলার সময় অর্থাৎ তাদেরকে ছবি তোলার সময় অবশ্যই তাদের অনুমতি নিয়ে তুলবেন। না হয় পরে আবার ঝামেলা হতে পারে
  • যদি আপনি ছুটির দিন অর্থাৎ ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর ইত্যাদির মতো খুশির দিনে কিংবা দিবসে যান তাহলে ঝামেলা এড়াতে আগে থেকে রুম বুকিং করে ফেলুন। না হয় পরে আবার রুম ছাড়া থাকতে হবে।
  • যদি আপনার সাজেক ভ্যালিতে 2/3 দিন থাকার ইচ্ছে হয় তাহলে অবশ্যই গাড়ি ভাড়া করার সময় যাওয়ার জন্য ভাড়া করুন। অর্থাৎ গাড়ি বসিয়ে রাখবেন না শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য বারা করবেন আসার সময় অন্য আরেকটা গাড়ি নিয়ে আসবেন। না হলে আবার আপনার টাকা দিতে জবর হয়ে যাবে 2/3 দিন থাকলে যদি গাড়ি রেখে দেন তাহলে ভাড়া অনেক বেশি চলে আসতে পারে।

আরো পড়ুনঃ 

এসএসসি 2022 শর্ট সিলেবাস মানবিক | ssc 2022 short syllabus manobik

উপসংহারঃ সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা হয়তো আপনার একটি শেয়ারের কারণে অনেক গ্রহণকারী ব্যক্তি সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে জেনে যাবে। দোয়া রইল দোয়া করি। ধন্যবাদ

Leave a Comment