আপনি যদি একজন গাড়িচালক হয়ে থাকেন এবং বিশ্বের যে কোন জায়গাতে গাড়ি চালাতে চান বাংলাদেশ হোক কিংবা অন্য যে কোন রাষ্ট্র প্রত্যেক দেশেই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে।
কোন একজন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স বিআরটিএ থেকে সংগ্রহ করার জন্য অবশ্যই তিন স্তরের পরীক্ষায় সফল হতে হয়। অর্থাৎ কোন একজন ব্যক্তিকে driving licence দেওয়ার জন্য বিআরটিএ প্রথমত তিন স্তরের পরীক্ষা মোবাইল নিয়ে থাকে।
সেই পরীক্ষা নেওয়ার ভিত্তিতে সাধারণত একজন ড্রাইভার অনেক ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানতে পারে। আপনাকে তারা সবগুলো জানিয়ে দেওয়ার পরেই একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ আজওয়া খেজুর চেনার উপায় | ভালো খেজুর চেনার ৫ টি উপায়
তাই আপনি যদি একজন গাড়িচালক কিংবা ড্রাইভার হয়ে থাকেন তাহলে তো আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? Driving licence চেক করার নিয়ম,brta gov bd ড্রাইভিং লাইসেন্স,ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম, driving licence ডাউনলোড ইত্যাদি সহ আরো নানা বিষয় সম্পর্কে ইনশাআল্লাহ।
তাই আপনি যদি এই সব বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং সামনে একটা গাড়ি কিনবেন কিংবা ড্রাইভার হবেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারী এবং হেল্পফুল। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
আরো পড়ুনঃ নগদ একাউন্ট দেখার কোড | নগদ উপবৃত্তির টাকা দেখার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? What is a driving license?
যখন আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স নামক শব্দটা সমূহ তখন আমাদের মাথায় একটা জিনিস সর্বপ্রথম ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে, এক মুঠো কাগজ নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কিংবা এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘোরাঘুরি করা।
অনেক ব্যক্তি এমন আছে যারা কিনা এসব সমস্যার কারণে তাদের সেই প্রয়োজনীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স করা থেকে বিরত থাকে। আসলে মূল কথা হচ্ছে যদি কোন একজন ব্যক্তির সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এপ্লাই করে তাহলে এটা খুব সহজ একটা বিষয়।
তাই আপনি একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করতে চাইলে এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এসব বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? Driving licence হচ্ছে ড্রাইভ করার অনুমতি পত্র। অর্থাৎ এমন একটা মাস্টার কার্ডের মত একটা কার্ড যেটাতে মূলত আপনাকে ড্রাইভ করার অনুমতি দেয়া থাকে।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে এমন একটি কার্ড যেটার মাধ্যমে আপনি এক বা একাধিক গাড়ির ড্রাইভ করতে পারবেন। আপনি যে ড্রাইভিং করতেছেন সেটার একটা অনুমতি পত্র থাকা দরকার যেটাই হচ্ছে মূলত ড্রাইভিং লাইসেন্স।
আরো পড়ুনঃ আজওয়া খেজুরের দাম এবং অনলাইন ক্রয় করার নিয়ম ইত্যাদি
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আপনারা স্মার্ট কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হবে
- রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক কিংবা মেডিকেল কর্তৃক প্রয়োজন হবে
- ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নির্ধারিত ফরম প্রয়োজন হবে
- ফি প্রদান করেন রশিদ
- এক কপি স্টাম্প এবং 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো প্রয়োজন হবে
- ফি প্রয়োজন হবে এক ক্যাটাগরি 345 টাকা, দুই ক্যাটাগরি 518 টাকা
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম কালেক্ট করুন
দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তির আলো সব দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্থাৎ বিআরটিএ এর অফিশিয়ালি যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখান থেকে আপনারা চাইলে ইন্টারনেট এবং আপনার স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করেই অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
তবে আমি আপনাদেরকে রিকমেন্ড করব যেন আপনারা সরাসরি তাদের অফিসে যোগাযোগ করে ফর্মটা কালেক্ট করেন। এবং আপনার নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে আপনার কাজটা কমপ্লিট করে ফেলুন।
যখন আপনার ফি প্রদান করা থেকে শুরু করে আপনার ফরম ফিলাপ করা এবং ফর্ম জমা দেওয়ার সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। তখন পরবর্তী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই আপনার ফোন নাম্বার এ জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষা বিষয়ক সকল ইনফরমেশন।
আরো পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় কি? দ্রুত চিকন হওয়ার উপায় | চিকন হওয়ার ঔষধ
অর্থাৎ আপনাকে মৌখিক এবং ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ তারা আপনাকে যাচাই-বাছাই করবে আপনি ড্রাইভার হবার যোগ্য কিনা আপনি রাস্তার মধ্যে কি গাড়ি চালাতে পারবেন নাকি পারবেন না ইত্যাদি।
এই সমস্ত কার্যক্রম যখন শেষ হয়ে যাবে তখন আবার আপনাকে আরেকটি ফরম নিয়ে আপনার সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে যেন আপনি স্মার্ট কার্ডের মত আপনার driving licence পেয়ে যান।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে
- রেজিস্টার্ড ডাক্তার মেডিকেল কর্তৃক প্রয়োজন হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- পুলিশের তদন্ত প্রয়োজন হবে
- নির্ধারিত ফি প্রয়োজন হবে (ফি কত হবে অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন)
- আবেদনকৃত ব্যক্তির 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো | ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম
এখন আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু শুরু করতে যাচ্ছি। অর্থাৎ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানব এবিষয়ে সম্পর্কে। আপনি যদি এই বেশি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল।
সাধারণত driving licence check করার পদ্ধতি রয়েছে 2 টি। হঠাৎ একটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে অন্যটা হচ্ছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা এটা চেক করে নিতে পারবেন।
তবে আমি আপনাদের কি কমেন্ট করব আপনারা যেন এসএমএস এর পদ্ধতিটি অবলম্বন করে আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেন।
কেননা আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পরবর্তী তিন মাসের পরেই আপনার ইনফরমেশনগুলো সফটওয়্যার মধ্যে এড করা হবে। বা অন্য কোন টেকনিক্যাল সমস্যার কারণেও আপনার লাইসেন্সটা অ্যাপ্লিকেশন এ এড নাও হতে পারে।
তাই আপনি অযথা টাইম পাস না করে এসএমএসের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা। তবে আপনার মনের ইচ্ছা আপনি যেটা দিচ্ছে সেটাতে চেক করতে পারেন। তবে আমি আপনাকে রিকমেন্ড করব যেন এসএমএসের মাধ্যমে যাচাই করেন।
আরো পড়ুনঃ ঈদুল আযহা নামাজের নিয়ম | ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত
এসএমএসের মাধ্যমে চেক করার নিয়ম | ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো
তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ফোনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করতে হবে এবং নতুন এসএমএস লেখার অপশন টা চয়েস করতে হবে। এবং সর্বপ্রথম লিখতে হবে DL এবং তারপরে আপনার রেফারেন্স নাম্বার টা টাইপ করতে হবে।
একানে রেফারেন্স নাম্বার বলতে বোঝানো হয়েছে যেটা কিনা আপনি বিআরটিএ কতৃক প্রদত্ত সংগ্রহ করেছেন। যেটা কিনা তাদের দেওয়া আপনার রশিদ এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
যখন আপনি তাদের সম্পূর্ণ কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন অর্থাৎ ফর্মটা ফিলাপ করে জমা দিবেন এবং ফি প্রদান করে ফেলবেন। তখন আপনাকে তারা একটা প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ প্রদান করবে।
যেই রশিদ এ কিনা আপনার রেফারেন্স নাম্বার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করার তারিখ উল্লেখ থাকবে। তো আপনি এসএমএস লেখার সময় প্রথমে DL দিবেন তারপর আপনার রেফারেন্স নাম্বার টা টাইপ করবেন।
আরো পড়ুনঃ এসএসসি রেজাল্ট চেক | SSC result দেখার নিয়ম
তারপর উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে 16969 এই নাম্বারে। এবং মেসেজ পাঠানোর পরবর্তী পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আপনাকে ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা।
তাছাড়া আপনি যদি কোনো এক সময় আপনার driving licence সংশোধনের আবেদন করে থাকেন। তাহলেও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার সংশোধনকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আপডেট দেখতে পাবেন।
তাছাড়া আর কি মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি driving licence নবায়নের জন্য আবেদন করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সমস্ত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
তবে এখানে আপনাকে নিজের থেকে এসএমএস করতে হবে না বরং তাদের পক্ষ থেকে আপনাকে সবগুলোই আপডেট দিয়ে দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে।
সবগুলো কাজ কমপ্লিট করার পর অর্থাৎ ফরম ফিলাপ করে জমা দেয়ার এবং ফি প্রদান করার পর আপনাকে আবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভেরিফাই করার জন্য কোন একটা নির্দিষ্ট জায়গাতে যেতে হবে। যেটা কিনা আপনাকে তারা বলে দিবেন কোথায় আসতে হবে।
ভাই আমি ঠিক পদ্ধতি বলতে এখানে আপনার আঙ্গুলের চাপ চোখের চাপ ইত্যাদিও নিতে পারে। সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি তাদের থেকে সবগুলো ভালোভাবে বুঝে নেন। কোথায় কখন কিভাবে করতে হবে সবগুলো।
যখন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি স্মার্ট কার্ডের মত প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে আসবে তখন আপনার মোবাইলে একটা এসএমএস আসবে। অর্থাৎ এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স কোথায় গিয়ে সংগ্রহ করবেন।
আরো পড়ুনঃ কোরবানির ঈদ কবে 2022 | ঈদুল আযহা ২০২২ কত তারিখে
সফটওয়ারের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম। ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো
এখন যে বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে সবচেয়ে এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার driving licence চেক করবেন কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো এইসব প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে।
আবার অনেকে হয়তো মনে মনে একটা কথা ভাবছেন সেটা হচ্ছে এখন তো আমরা জানলাম এসএমএস এর মাধ্যমে কিভাবে লাইসেন্স চেক করতে হয়। তো আর কি পদ্ধতি যেটা রয়েছে সেটা কিভাবে।
তাই আপনারও যদি এরকম প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে আপনিও জেনে নিন এই প্রশ্নের উত্তর কি হবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
মূলত যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা হয় তার নাম হচ্ছে DL checker । মূলত এই সফটওয়্যার এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর রেফারেন্স নাম্বার দিয়েই চেক করা হয়। বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
প্রথম ধাপঃ আপনি যেহেতু অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আপনার লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা চেক করবেন তাই সেটা আগে আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্লে স্টোরে DL checker এটা লিখে সার্চ করতে হবে। আশা করি একদম শুরুতে এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনার সামনে চলে আসবে সার্চ করার পর। তবে আপনি যদি খুব দ্রুত ডাউনলোড করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ এসএসসি রেজাল্ট চেক | SSC result দেখার নিয়ম
দ্বিতীয় ধাপঃ ডিএল চেকার নামে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার পর ওপেন করতে হবে এবং নির্ভুল ভাবে আপনার জন্ম তারিখটি টাইপ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ তারপর আপনার সামনে দুইটা অপশন আসবে (1) DL number (2) reference number এই দুই অপশনের মধ্যে রেফারেন্স অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার রেফারেন্স নাম্বারটি বসিয়ে দিন। তাছাড়া আপনার কাছে যদি বর্তমান ডি এল নাম্বার উপস্থিত থাকে তাহলে সেটাও বসিয়ে দিতে পারেন।
চতুর্থ ধাপঃ এরপর আপনাকে সর্বশেষ “সাবমিট /submit” বাটনে ক্লিক করতে হবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আপনার লাইসেন্স এর যাবতীয় ইনফর্মেশন, আপডেট কিংবা বর্তমান অবস্থা চলে আসবে। এবং সেখান থেকেই আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যাবতীয় তথ্য দেখতে পাবেন। যদি আপনার লাইসেন্সটা ইতিমধ্যেই প্রিন্ট করা হয়ে থাকে তাহলে বাম পাশে সাকসেস লেখা দেখতে পাবেন। সেখানে মূলত আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের back part এবং front part উভয়টা দেখতে পাবেন। এবং আপনার লাইসেন্সটা যদি এখনো ফ্রেইন্ড করা না হয় তখন আপনি একটা ফিন্ডিং/pending লেখা দেখতে পাবেন। এবং আশা করি আপনি এটাও দেখতে পাবেন যে আপনার লাইসেন্সটা কখন প্রিন্ট করা হবে।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কি কি কাজ করা যায় | মালয়েশিয়া ভিসা কবে থেকে শুরু হবে
রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
আবার অনেক ব্যক্তি আছে যারা কিনা গুগোল এর মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে সার্চ করে থাকে সেটা হচ্ছে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে driving licence চেক।
তো তাদের উদ্দেশ্যে বলি মূলত বিশেষ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে যে পদ্ধতিতে চ্যাট করা হয় সেটা হচ্ছে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে। তো আপনার কাছে যদি আপনার কাঙ্খিত রেফারেন্স নাম্বার টি অ্যাভেলেবল থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি অনলাইন থেকে আপনার লাইসেন্স চেক করে নিতে পারবেন।
যেটা কিনা আমি আপনাদেরকে ওপরে যে পদ্ধতিটি সম্পর্কে আলোচনা করেছি মূলত সেই বিষয়ে। অর্থাৎ প্রহরেই আমি driving licence চেক করার নিয়ম টি বর্ণনা করেছি সেখানে রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার কথাও উল্লেখ আছে।
তাই আপনি যদি এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আসতে হবে। আশাকরি সেখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন বলে মনে করি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়েছে কিনা কিভাবে জানব
আবার অনেকেই নিজেদের মধ্যে একটা প্রশ্ন করে থাকেন সেটা হচ্ছে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়েছে কিনা কিভাবে জানব। মূলত এই বিষয়টা একদম সিম্পল। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
আপনার driving licence এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে কিনা জানার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের এসএমএস অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করতে হবে।
অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করার পর নতুন এসএমএস লেখার অপশন টা চয়েস করতে হবে। এবং সেখানে লিখতে হবে সর্বপ্রথম DL তারপর আপনার রেফারেন্স নাম্বার। এবং সর্বশেষ পাঠিয়ে দিতে হবে 16969 এই নাম্বারে। ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা।
মূলত ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি হয়েছে কিনা কিভাবে জানবো এই বিষয় নিয়ে আমি খুব ভালোভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে পড়ে আসার চেষ্টা করবেন যদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান।
আরো পড়ুনঃ সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত | সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সফটওয়্যার
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার জন্য আরেকটি মেইন পয়েন্ট হচ্ছে সফটওয়্যার। কেননা আপনার যদি স্মার্ট ফোন থাকে এবং খুব সহজে আপনার লাইসেন্সটাই দেখতে চান বর্তমান অবস্থা কি। তাহলে আপনার জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব অফিশিয়ালি সফটওয়্যার।
তাই সেই সফটওয়্যার থেকে যদি আপনার লাইসেন্সটা দেখতে চান সেটা অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে। আর আপনি ডাউনলোড করার জন্য আপনার ফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে লিখতে হবে DL checker । এবং আপনি সেখান থেকেই খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ আজকের এই আর্টিকেলের যদি আপনারা কোন প্রকার ভুল দেখতে পান তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। কেননা আমার অবশ্যই ভুল হতে পারে।
উপসংহারঃ আজকের আর্টিকেল থেকে যদি আপনি সামান্য হলেও উপকারে আসেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেন আপনার একটি শেয়ারের কারণে অনেক অজানা ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে জেনে যাবে।