পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪
আমরা যখন বাংলাদেশে কিংবা নিজের দেশ থেকে কোন একটা দেশে সফর বা অন্য যেকোনো কাজের জন্য পাড়ি জমাতে চাই সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়ে বলতে গেলে পাসপোর্ট হচ্ছে একটি এনআইডি কার্ডের মত। কেননা আপনার কাছে যদি লিগেল একটি যেকোনো দেশের পাসপোর্ট থাকে সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই সেই দেশে বিচরণ করতে পারবেন।
আপনার পাসপোর্টটি পুলিশ ভেরিফিকেশন এর পর কখন হাতে পাবেন। এবং আপনার পাসপোর্টটি কি সম্পূর্ণ কমপ্লিট হয়েছে এসব কিছু আপনি ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন। কেননা আমরা সকলেই জানি বর্তমান যুগ হচ্ছে 50 পার্সেন্ট অনলাইনের যুগ। তাই আপনি যদি পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তার জন্য আপনি নিচে দেওয়া সমস্ত ধাপগুলো ভালোভাবে ফলো করুন।
১/ আপনি যদি ঘরে বসেই আপনার পাসপোর্ট চেক করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম কোন একটা ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ক্রোম ব্রাউজার ইউজ করেন তাহলে আপনার জন্য অনেক সহজ হবে। তো এখন আপনি কোন একটা ব্রাউজার কিংবা ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে টাইপ করুন passport.gov.bd এটা লিখে যখন ব্রাউজার সার্চ করবেন তখন আপনাকে একটা নতুন পেজে নিয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ssc রেজাল্ট দেখবো। সকল বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট দেখার নিয়ম।
২/ উপরে দেওয়া ওয়েবসাইটটি কোন একটা ব্রাউজারে ওপেন করার পর আপনার সামনে একটা নিচের ছবির মত পেজ ওপেন হবে। যেখানে আপনাকে সর্বপ্রথম খালি ঘরে পাসপোর্ট অফিসের স্লিপ নাম্বার দিতে হবে। এবং দ্বিতীয় ঘর যেটি রয়েছে সেখানে আপনার সঠিক জন্মতারিখ দিতে হবে। যেহেতু এটি একটি সম্পূর্ণ সরকারি ওয়েবসাইট তাই এখানে যে সমস্ত তথ্য আপনাকে প্রদান করবে সবগুলোই লিগেল। তাই এখানে কোন কিছু করার ক্ষেত্রে আপনার ভয় পাওয়ার কোনো প্রকার দরকারই নেই।
পাসপোর্ট স্লিপ নাম্বার এবং জন্মতারিখ দেওয়ার পর আপনাকে একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ সর্বশেষ নিচে যে গোলটি হয়েছে সেখানে উপরে দেওয়া কোডটি টাইপ করতে হবে। এবং সর্বশেষ আপনাকে SEARCH বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩/ এটি হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থাৎ পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম এর মধ্যে অত্যন্ত একটি সহজ পদ্ধতি। এটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট চেক করে নিতে পারবেন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। তার জন্য আমি আপনাকে একটা লিংক প্রদান করতে চাই সেখানে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনাকে কিছু তথ্য দিতে হবে পাসপোর্ট এর অবস্থা বা পাসপোর্ট চেক করার জন্য। (১) আপনাকে সর্বপ্রথম পাসপোর্ট স্লিপ এর সঠিক নাম্বারটি দিতে হবে (২) এখন আপনার সঠিক জন্ম তারিখটি টাইপ করতে হবে। তারপর নিচে দেওয়া গুল ক্যাপচাটি পূরণ করে আপনাকে চেক (check) বাটনে ক্লিক করতে হবে।
Check বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার দেওয়া সমস্ত তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে একটা নতুন পেজ ওপেন হওয়ার পর আপনার পাসপোর্ট এর সমস্ত কিছু আপনাকে দেখাবে। যেমন আপনার পাসপোর্টটি কখন হাতে পাবেন এবং আপনার পাসপোর্টটি এখনো হয়েছে কিনা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক
Passport check with passport number. আপনি যদি আপনার হাতে থাকা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে চান সে ক্ষেত্রে খুব সহজে করে নিতে পারবেন। তার জন্য আপনি অবশ্যই আর্টিকেলটি উপর থেকে পড়ে আসতে পারেন। কেননা আমি ও পরিবেশ তৈরিতে বর্ণনা করেছি কিভাবে একটি পাসপোর্ট চেক করতে হয়। তো আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এখানে উল্লেখ করে দিয়েছি।
আপনি যদি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েব ব্রাউজার থেকে কোন একটা ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। এবং ব্রাউজারে যাওয়ার পর সার্চ করতে হবে passport.gov.bd এই সরকারি ওয়েবসাইটটিতে যাবার পর আপনি খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট চেক করে নিতে পারবেন। বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি উপর থেকে ঘুরে আসুন।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ?
আমাদেরকে অনেক সময় পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এটা লিখে গুগোল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করার প্রয়োজন পড়ে। কারণ আমরা যখন কোন একটা কাজ করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই কাজটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা রাখা উচিত। তুই আমাদেরকে পাসপোর্ট করার আগে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এটা জানার পর এসব জিনিস জোগাড় করে রাখতে হবে। তাহলে প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য কোন একটা কাজ সহজ হয়ে দাঁড়াবে আশা করি। তো এখন আমরা জানবো পাসপোর্ট করতে আসলে কি কি প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট না করে সরাসরি আগেকার সময়ের মতো ম্যানুয়ালি ভাবে করলে যেসব জিনিস প্রয়োজন হবে সেটা বর্ণনা করা হলো।
১/সর্বপ্রথম আপনি যদি মেনুয়ালি ভাবে আপনার পাসপোর্টটি তৈরী করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্য একটি ফরম পূরণ করতে হবে। এবং ফরমটি যদি আপনি পূরণ করতে চান সেই ক্ষেত্রে এখানে ক্লিক করার পর খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ফরমটি ডাউনলোড হয়ে গেলে এখন আপনাকে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
২/ফরমের চতুর্থ পৃষ্ঠা যেটি রয়েছে সেখানে কোনো একটি সরকারি কর্মকর্তার হাতে সত্যায়িত হতে হবে।
৩/ আপনার কাছে যখন উপরে দেওয়া ফরমটি ডাউনলোড করার পর প্রিন্ট সেটাকে ভালোভাবে পূরণ করে ফেলবেন তখন আপনার দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আটা কিংবা স্টেপলার এর মাধ্যমে লাগিয়ে দিতে হবে। তবে পাসপোর্ট যিনি বানাচ্ছেন তার বয়স যদি 18 কিংবা তার নিচে হয় অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক হয় সে ক্ষেত্রে তার দায়িত্ববান বাবা কিংবা মায়ের এনআইডি কার্ডের ফটো লাগিয়ে দিতে পারেন। এবং সর্বশেষে ছবিগুলো লাগিয়ে দেওয়ার পর সেগুলো কি সত্যায়িত করতে হবে।
৪/ যে পাসপোর্ট করবেন তার এনআইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন এর ২ কপি সনদ দিতে হবে এবং সেগুলো কে সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।
৫/ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কিনে গাড়ি চালক,ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি। অর্থাৎ যার পাসপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সে যদি কোন এক কারিগরি পেশার সাথে জড়িত হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার পেশাগত সনদপত্র সত্যায়িত করার পর সেগুলোর সাথে এড করে দিতে হবে।
৬/ আপনি যদি বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ভাবে পাসপোর্ট তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে সরকারি আদেশ ইত্যাদি এগুলো সেটার সাথে এড করতে হবে।
৭/ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কিনা সরকারি কর্মকর্তা অর্থ অনেক বছর ধরে সরকারি কাজ করার পর পেনশন পেয়ে যান। তাদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ তারা যদি পাসপোর্ট করতে চাই সেক্ষেত্রে পেনশনের বুক থেকে একটা ফটো তুলে যদি সেগুলোর সাথে এড দিয়ে দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে সাধারণ ফি এর পরিমাণের চেয়ে আপনার থেকে একটু কম চার্জ করবে।
আরো পড়ুনঃ ঈদের নামাজ কি? ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত। বিস্তারিত