ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব | ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব | ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে:- আমরা অনলাইন থেকে ইনকাম করার কথা অনেকবার শুনেছি। হয়েছে আপনি যদি কাটাকাটি করেন আপনি আমার ওয়েবসাইটের মধ্যে খুব সহজেই খুজে পাবেন। আজকে আমি আপনাদেরকে অনলাইন থেকে ইনকাম করার এমন একটি উপায় শেয়ার করব যেটা কিনা বাংলাদেশ কিংবা অন্যান্য দেশের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়। অর্থাৎ আজকের এয়ারটেলে আমি আপনাদের সাথে যে ইনকাম করার উপায় শেয়ার করব সেটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং (freelancing).

আপনি কি জানেন বর্তমান অনলাইন জগতে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে কিংবা ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে চাই নিজের ক্যারিয়ার গড়তেছে। এবং প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিং করে এত টাকা উপার্জন করতে চাই যে যেটা কিনা একজন ফুলটাইম জব করে ইনকাম করতেছে না।

আমাদের মধ্যে হয়তো অনেক ব্যক্তি আছে যারা কিনা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চাই কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে সেটা হয়ে উঠে না। অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার আগেই বা অনলাইনে উপার্জন করার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অনেক জরুরী। সেগুলো আমি আপনাদেরকে নিচে শেয়ার করেছি। অর্থাৎ আজকেরে আর্টিকেল থেকে আমরা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানব সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল।

  • ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? ফ্রিল্যান্সিং কি?
  • ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়?
  • ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল?
  • ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার?
  • ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি?

আপনাকে যদি আমি উপরে দেওয়া সমস্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে দারুন দিই তাহলে অবশ্যই আপনারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। বলতে গেলে ফিলান্সিং কি এবং কিভাবে শুরু করতে হয় কোথায় শিখতে হয় এইসব বিষয়ে আপনার কাছে একদম পানির মত লাগবে।

আরো পড়ুনঃ ফাইভার একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম। How to create fiverr account bangla tutorial 2022.

অর্থাৎ উপরে যাওয়ার সমস্ত বিশ্বযুদ্ধ আপনি জানেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন আসলে কি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায় কিনা। এবং আপনি কি ফ্রীলান্সিং করে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন অর্থাৎ আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পর ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যেগুলো কিনা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য অনেক হেল্প ফুল হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল? ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি?

Table of Contents

ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? ফ্রিল্যান্সিং কি? ( What is freelancing?)

সহজ ভাষায় যদি আমি আপনাদেরকে ফ্রীলান্সিং বোঝাতে যায় তাহলে বলা চলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম কিংবা উপায় যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন থেকে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। অর্থাৎ আপনি যদি কোন একটা বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেন যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, এসইও সম্পর্কিত নানা বিষয় সম্পর্কে ইত্যাদি। তাহলে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেট কানেকশন এবং ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি একজন চাকরিজীবী প্রতিদিন সকাল থেকে নির্দিষ্ট কোম্পানির নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী অফিসে গিয়ে সেই ধরনের কাজই করতে হয়।

কিন্তু সাধারণত যারা ফ্রিল্যান্সার কিংবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করার থাকে তারা নিজের ওপর স্বনির্ভর। তাই আমরা সকলেই জানি ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা। আমি যদি ফ্রিলেন্সিংকে ব্যবসার সাথে তুলনা করি তাহলে ভুল হবেনা। কেননা ব্যবসার মধ্যে মূলত নিজের ব্যবসাকে নিজেই পরিচালনা করে এবং সেই ব্যবসাকে সাজাই। তদ্রূপ ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যেও আপনি নিজ ঘরে বসেই ফ্রি টাইমে নিজের ইচ্ছে মত সাজিয়ে কাজ করতে পারবেন।

সাধারণত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন এক্সপার্ট লোকেরা কিংবা যাদের ভালো কাজের দক্ষতা আছে তারা ইন্টারনেটের সাহায্যে কিংবা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ কাজ খুঁজে নিয়ে কাজ করে থাকে। মূলত যারা এ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে অর্থাৎ স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার (freelancer) বলা হয়।

এখনকার সময়ে ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি আরও নানা সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্লায়েন্ট খোঁজে তাদের থেকে কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করে থাকে। অর্থাৎ ক্লায়েন্ট থেকে বিভিন্ন কাজ নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা জমা দিতে হয়। এবং ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার পর অনলাইনের মাধ্যমে টাকা বুঝে নিচ্ছেন।

অবশ্যই আপনি যখন কোন একটা কাজ ক্লায়েন্ট থেকে বুঝে নিবেন তখন ক্লায়েন্টের সাথে পরামর্শ করে কিংবা আপনার দাবি অনুযায়ী সেই কাজের জন্য নির্দিষ্ট একটা পেমেন্ট নির্ধারণ করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করার পরে কিংবা আপনি তার কাজটা বুঝিয়ে দেওয়ার পর আপনার নির্ধারণ করা বা নির্ধারিত টাকা বুঝে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন আপনি নিজে ঠিক করে নিতে পারবেন আপনি কোন সময় এবং কখন কাজ করতে ইচ্ছুক। এবং এটাও ঠিক করে নিতে পারবেন যে আপনি প্রতিদিন কয় ঘন্টা কাজ করতে চান এবং আপনি কি প্রতিদিন ফুলটাইম করতে চান নাকি হাফ টাইম। অর্থাৎ আপনি কি ফুলটাইম জব করবেন নাকি পার্ট টাইম জব করবেন এটাই আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে। তাছাড়া এখানে আরো নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মাস্টার কার্ড করার উপায় | মাস্টার কার্ড করার নিয়ম

তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এই কাজটি করার জন্য আপনাকে দোকানপাট দিতে হচ্ছে না অর্থাৎ কোন প্রকার জায়গা জমির প্রয়োজন নেই। কেননা সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যে সমস্ত কাজকর্ম হয়ে থাকে সেগুলো ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিংয়ের নানা কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার শুধুমাত্র আপনার বসার স্থান এবং কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ রাখার স্থান। এবং ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে যাবতীয় কাজ কমপ্লিট করে ক্লায়েন্টকে জমা দিতে পারবেন এবং এর বিনিময়ে আপনি খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তাই বলা চলে আমরা ফ্রিল্যান্সিংকে একটি ব্যবসার সাথে তুলনা করতে পারি।

সহজ ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রীলান্সিং কাকে বলে? What is freelancing?

সহজ ভাষায় যদি আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা বোঝাই তাহলে বলা চলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে চলিত এমন কিছু কাজ জানার পর কিংবা স্কিলস তৈরি করার পর অন্যের হয়ে কাজ করা। অর্থাৎ আপনি নিজ ঘরের মধ্যে বসে অন্যজনের কাজ করে দিবেন এবং তার বিনিময়ে আপনি তার থেকে টাকা নিবেন।

তাই অনলাইনের মাধ্যমে অনেক লোক তাদের কাজ করানোর জন্য অনেক লোকজন খুঁজে থাকে এবং তাদেরকে কাজ দিয়ে থাকে। এবং আপনিও যদি সেই কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি মনে করেন সেই কাজ আপনি পারবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার কাজটি আপনি করে নিতে পারবেন এবং আপনি যদি সেই কাজটা নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর বুঝিয়ে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই সে তোমাকে আলোচনা সাপেক্ষে যে টাকাটা নির্ধারণ হয়েছিল সেটা পেমেন্ট করবে।

তাই অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতার প্রয়োজন অনেক বেশি কেননা আপনি যদি কোন ক্লাইন্টকে একটা কাজ করিয়ে দেন সেই কাজটা যদি তার কাছে ভালো লাগে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেই ক্লায়েন্ট আরো কাজ দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমাদেরকে এমন কিছু স্কিলস তৈরি করতে হবে যেগুলো কিনা মানুষের সব সময় প্রয়োজন যে স্কিলস গুলি আপনার থেকে তারা ক্রয় করতে চাইবে কিংবা করাতে চাইবে।

আপনি ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে যদি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন রকম কাজ করতে পারবেন কিংবা শিখতে পারবেন যেমনঃ ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, এস ইউ, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। তাছাড়া আপনি যদি ইন্টারনেট এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন কোন বিষয়ে কাজ পাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে সার্চ করেন তাহলে খুঁজে পাবেন। অবশ্যই আমি এ বিষয়ে নিচে দেওয়ার চেষ্টা করব।

See also  143 = I Love You | 143 মানে কি | 143 অর্থ কি?

এই কাজগুলি আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য একটা নির্ধারণ সময় এর জন্য করতে পারেন। যেমন প্রতিদিন 1-2 ঘন্টা সাপ্তাহিক মাসিক কিংবা বাৎসরিক। ক্লায়েন্টের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী তারা আপনার থেকে চেয়ে নিবেন আপনার যদি সময় থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার হয়ে কাজ করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট।

অবশ্যই আমরা যদি ফ্রীলান্সিং করে ইনকাম করতে চাই কিংবা অনলাইনে উপার্জন করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের কাছে এমন একটা স্কিলস কিংবা কাজের দক্ষতা থাকতে হবে যেটা দেখে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্ট আমাদেরকে কাজ দিবে। তাই যদি আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার আগে কোন একটা বিষয় সম্পর্কে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কেননা আপনি যদি কোন একটা কাজ না জেনেই সেটা করা আরম্ভ করে দেন তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই সেই কাজের আশা কিংবা সেই কাজ থেকে সফল হওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে।

আশা করি আপনি এই পর্যন্ত জানতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে, ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি, ফ্রীলান্সিং বিষয়টা কি, ফ্রিল্যান্সিং কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। অর্থাৎ আজকের এই আর্টিকেলটি এ পর্যন্ত পড়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। তাই এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং freelancing বিষয় সম্পর্কে আরও নানা কিছু জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব। ( How to start freelancing) 

বলা চলে এখন বাংলাদেশের 99 পার্সেন্ট জায়গাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রচলিত। এবং আমরা সকলেই জানি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটার প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন। অর্থাৎ আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আশেপাশে ইন্টারনেট কানেকশন আছে কিনা এটা যাচাই করতে হবে। আপনি যেখানেই কাজ করতেছেন সেখানে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন না হলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। কেননা ফ্রিল্যান্সিং এর সমস্ত কাজ হয়ে থাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেটা কিনা ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া চলেনা।

কেননা ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে আপনার কোন একটা ক্লায়েন্ট খোঁজা এবং কাজ নেওয়া কাজ জমা দেওয়া সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের প্রয়োজন। এমনকি আপনি যখন একটা ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করবেন তখন ও ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া সম্ভব নয় এটা তো আমরা সকলেই জানি।

তাছাড়া আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নতুন নতুন কাজের স্কিলস এবং নতুন নতুন প্রোজেক্টের প্রয়োজন হবে।

তার জন্য আপনি যদি আপনার কাজ এর দক্ষতা বা স্কিলস আরও বাড়াতে চান এবং আপনার স্কিলস এর প্রচার প্রসার করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে গিয়ে করতে হবে। অবশ্যই তার জন্য প্রয়োজন হবে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন। কেননা আমরা সকলেই জানি কোন একটা সোসাল প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক চালানোর জন্য আমাদেরকে ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে।ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব।

আর আপনি যখন আপনার স্কিলস মানুষদের সাথে শেয়ার করা শুরু করবেন মানুষ কিংবা ক্লায়েন্ট আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে অবগত হবে। অর্থাৎ আপনার স্কিলস অনুযায়ী যদি কোন একজন মানুষের লোকের প্রয়োজন পড়ে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই তারা আপনাকে জানাতে পারে। শুধুমাত্র এটা সম্ভব আপনার কাজের দক্ষতা প্রচার প্রসার করার মাধ্যমে। তার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কানেকশন।

এতে করে আপনার ইনকামের সোর্স আরো বেড়ে যাবে কেননা আপনার দক্ষতা যদি ফেসবুক কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার প্রসার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার আর বসে থাকতে হবে না। কেননা অবশ্যই কোন এক ব্যক্তির যদি কোন লোকের প্রয়োজন পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবগত করবে অর্থাৎ কাজ দিবে।

এক্সাম্পল হচ্ছেঃ মনে করেন আপনি ওয়েবসাইট এবং এসইও রিলেটেড কাজ করে থাকেন অর্থাৎ ওয়েবসাইট সম্পর্কে নানা বিষয়ে কাজ করেন যেমনঃ ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, এসইও (SEO), ইত্যাদি আরও নানা বিষয় সম্পর্কে। আর আপনি যে এই সমস্ত কাজ জানেন সেটা যদি আপনি সোসাল প্লাটফর্ম কিংবা অন্যান্য পদ্ধতিতে লোকজনের কাছে শেয়ার না করেন। তাহলে তারা কিভাবে জানবে যে আপনি ঐ সমস্ত কাজ করতে আগ্রহী এবং এ সমস্ত কাজের দক্ষতা আপনার রয়েছে। তাই আমাদেরকে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে। এবং আমরা অনেক সময় ইন্টারনেট কানেকশন জোগাড় না করার আগে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব

এজন্য আমরা যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে সফলতা অর্জন করতে চাই সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের কাজ সম্পর্কে মার্কেটিং করতে হবে। অর্থাৎ আমরা যে কাজটা জানি সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে প্রচার প্রসার করতে হবে আমাদের স্কিলস গুলো। সাথে সাথে আমাদেরকে অবশ্যই কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এটা সবচেয়ে একটি জরুরি বিষয়।

আমাদের অবশ্যই একটা কথা জেনে রাখা জরুরী সেটা হচ্ছেঃ অনলাইনের মধ্যে যখন কোন এক ব্যক্তি আমাদেরকে কাজ কিংবা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে তারা অবশ্যই আমাদের উপর অত্যন্ত ভরসা করে দিয়ে থাকে। তাই আমাদেরকে কাজের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

তাই আপনি যখন ভালোভাবে কাজ উপহার দেওয়ার মাধ্যমে মানুষের মন নিতে পারবেন মানুষের মন খুশি রাখতে পারবেন তখন অবশ্যই তারা খুশি হয়ে আপনাকে ফাইভস্টার রিভিউ থেকে শুরু করে আরো আপনার নানা ভালো দিকগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরবে। যার কারণে আমাদের ক্লায়েন্ট অনেকটাই বেড়ে যাবে। তাই আমাদের কি সবসময় ক্লায়েন্টদেরকে ভালো ভালো কাজ উপহার দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা আপনার কাজের মাধ্যমে যদি তারা কোন না কোন উপকৃত হতে পারে অবশ্যই তারা আপনাকে আরো কাজ দেওয়ার চেষ্টা করবে।ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব।

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল । মোটা হওয়ার ঔষধের নাম

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার আরম্ভ করব।

আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ারকে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে বেছে নিতে চান এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান সেক্ষেত্রে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করতে পারেন। আমি আপনাদের সুবিধার্থে নিচে স্টেপ বাই স্টেপ দিয়ে দিয়েছি সব গুলো ভালোভাবে।

১/ লক্ষ সঠিকভাবে ঠিক করুন কিংবা স্থির করুন।

আপনি সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে কিছু জিনিস ঠিক করতে হবে অর্থাৎ আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ টুকু কতক্ষণ সময় ধরে করতে চান। আপনি কি 24 ঘণ্টার মধ্যে 12 ঘন্টা করতে চান নাকি 6 ঘন্টা নাকি 2 ঘন্টা। এগুলো আপনাকে ঠিক করতে হবে সবগুলো বুঝে শুনে। নাকি আপনি কোন একটা সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির সাথে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান। আপনি কি ফুলটাইম জব করবেন নাকি পার্ট টাইম জব। আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের মধ্যে কতটুকু সময় যেতে চান এবং কতটুকু সময় প্রয়োজন হবে এগুলো সব নির্ধারণ করার দায়িত্ব আপনারই। কেননা এই সমস্ত সবকিছুই ডিপেন্ড করবে শুধুমাত্র আপনার সময় কিংবা কাজের দক্ষতার উপর।

উপরের দেওয়ার সব কিছু যদি আপনি ভালভাবে ঠিক করতে পারেন তবেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি আপনার লক্ষ্য ঠিক রেখে ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করে দিতে পারবেন।

২/ আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেটা সিলেক্ট করুন।

দ্বিতীয়তঃ আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন বিষয় কিংবা কোন কাজটি করতে ইচ্ছুক ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে। অর্থাৎ আপনার কাজের দক্ষতা কিংবা স্কিন অনুযায়ী একটা কাজ বেছে নিতে হবে যেটা আপনার সহজ মনে হয়। এবং আপনাকে অবশ্যই এমন একটা কাজ বেছে নিতে হবে যার আছে বা সামনে বাড়বে বলে মনে হয়। তার মধ্যে অনেক ধরনের কাজ এভেলেবেল রয়েছে সেগুলো যদি আপনি না পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিখে নিতে হবে। যেমনঃ কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন, SEO, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি। এই কাজগুলো ছাড়া আরও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো কিনা আপনি ইন্টারনেট কিংবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ঘাঁটাঘাঁটি করলেই খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

তবে কোন একটা নিস কিংবা কাজের বিষয় সিলেক্ট করার আগে কয়েকটি বিষয় এর দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যেগুলো খেয়াল রাখলে আপনার অনেক উপকার হবে তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি সেই বিষয়গুলো নিচে বর্ণনা করে দিয়েছি। আপনি কোন একটা কাজের বিষয় কিংবা নিশ সিলেক্ট করার আগে ৪ টি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে পারেন।

  •  কোন একটা কাজের অপশন চয়েজ করার আগেই কিংবা নিস সিলেক্ট করার আগে অবশ্যই সেই কাজের দক্ষতা আছে কিনা সেটা যাচাই-বাছাই করতে হবে। কেন না আপনি কোন প্রকার কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়া যদি কোন একটা নিশ সিলেক্ট করে নেন সে ক্ষেত্রে আপনি কার ফিন্যান্সিং করতে হবে না। কেননা আপনি যদি ক্লায়েন্টদেরকে ভালো কাজ উপহার দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে তার আপনার জন্য খারাপ খারাপ রিভিউ দিবে। যার কারণে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট আপনার দিকে চলে যাবে এবং আপনাকে কাজ দিবে না।
  •  এবং কোন একটা কাজের অপশন সিলেক্ট করার আগে আর একটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সেই কাজের প্রতি আপনার গুরুত্ব কতটুকু। অর্থাৎ আপনাকে একটি পছন্দনীয় নিশ সিলেক্ট করতে হবে যে কাজগুলো করতে আপনার ভালো লাগে। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনি যখন নতুন একটা নিশ সিলেক্ট করবেন এবং সেই কাজ শেখা আরম্ভ করবেন তখন আপনার সেই কাজের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকতে হবে। কেননা আপনি যদি সেই কাজ শিখেন বা করা শুরু করে দেন সেই কাজের প্রতি যদি আপনার আগ্রহ না থাকে তখন আপনি সেই কাছ থেকে ছিটকে পড়ে যাবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
  •  আপনার কোন একটা কাজের নিশ সিলেক্ট করার আগে অবশ্যই একটা জিনিসের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কাজের চাহিদা। অর্থাৎ আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে যে কাজটি করতে চাচ্ছেন কিংবা শিখতে চাচ্ছেন সেটার চাহিদা যদি না থাকে তাহলে কাজ শিখে কিংবা করে লাভটা কি। আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কোন একটা কাজ শিখার করে যদি সেই কাজের বেলু কিংবা চাহিদা না থাকে তাহলে তো আপনার সময় নষ্ট হয়ে গেল। তাই কোন একটা কাজ শেখার আগে সেটার চাহিদা মার্কেটপ্লেসে কেমন এটা যাচাই-বাছাই করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
  •  আপনাকে এমন একটা বিষয় সিলেক্ট করতে হবে যে কাজটা করতে আপনার বিরক্তকর মনে হয় না। অর্থাৎ আপনার পছন্দনীয় কাজ কিংবা নিস সিলেক্ট করা। কেননা এর দ্বারাও আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারেন।
See also  ইউটিউব ডাউনলোড করব কিভাবে | youtube app download

আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের নিশ সিলেক্ট করার জন্য কোন কোন বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। আশা করি আপনি যদি উপরে দেওয়া চারটি বিষয় অবলম্বন করি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের নিশ সিলেট করেন তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে এবং উপকারে আসবে।

আরো পড়ুনঃ এসএসসি পরীক্ষার রুটিন ২০২২ । এসএসসি কোন কোন বিষয়ে পরীক্ষা হবে।

সবচেয়ে সহজ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যা জানতে হবে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার অগ্রগতি ও ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এবং বিশেষ করে আপনার কাজের যোগ্যতা বা স্কিলস থাকতে হবে। এবং ইন্টারনেট কিংবা কম্পিউটার সম্পর্কে বেশি কিছু জ্ঞান কিংবা নলেজ এর প্রয়োজন হবে।

যেহেতু আমরা সকলেই জানি ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে বেশিরভাগ দেখা যায় আমেরিকান কিংবা অন্যান্য কান্ট্রির ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে হয়। যেহেতু তারা বাংলা ভাষাভাষী নয় অর্থাৎ তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই তাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলা এবং ইংরেজিতে চ্যাটিং করার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। তাই আপনি যদি ইংরেজিতে তাদের সাথে চ্যাটিং কিংবা কথা বলতে না জানে সে ক্ষেত্রে আপনি ক্লাইন্ট ধরে রাখতে পারবেন না। কেননা আপনার ভাষা যদি তারা না বুঝে সেক্ষেত্রে তারা আপনার থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। তাই আপনি ভালো কাজের দক্ষ অর্জন করার পাশাপাশি ইংরেজির দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আমাদেরকে অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। তার মধ্যে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অনেক টুকটাক বিষয় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। এখন আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমন সহজ 10 টি কাজ শেয়ার করব যেগুলোর স্কিলস আপনি তৈরি করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এ প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে 7 টি উত্তর।

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ 7 টি কাজ/নিশ।

১। টি-শার্ট ডিজাইন। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

আপনি কি জানেন ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে এমন একটি নিশ রয়েছে যেটা দিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়। সেটি হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইন অর্থাৎ আপনি ঘরে বসেই টি-শার্ট ডিজাইন করে দিতে পারবেন আপনার ক্লায়েন্টদেরকে। তাই আপনি যদি টি শার্ট ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো দক্ষতা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের মধ্যে এ বিষয়টি/কাজটি বেছে নিতে পারেন।

সাধারণত আমরা যে টি-শার্টগুলো পরিধান করে থাকি সেগুলো ডিজাইন থাকে অবশ্যই আমরা কি একবারের জন্য চিন্তা করেছি এই ডিজাইনগুলো কে করেছে। অবশ্যই আমাদের মত একজন ব্যক্তি কিংবা কয়েকজন ব্যক্তি মিলিয়ে ডিজাইন এর পরিকল্পনা করেছে। হইতে আমরা যে ব্যক্তি ডিজাইনটা করেছে তাকে আমরা দেখতে পাই না কিন্তু অবশ্যই কোন এক ব্যক্তি আমাদের পরিধানকৃত টি-শার্টের ডিজাইন করেছে।

তাই আপনার যদি টি শার্ট ডিজাইন এর ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনিও ফ্রিলেন্সিং করে ইনকাম করতে পারেন। তাই যদি আপনার ডিজাইনগুলো অ্যামাজন কিংবা অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে সাবমিট করেন যেখান থেকে আপনি ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন।

আমরা জানি পুরো বিশ্বের মধ্যে অনেক ধরনের টি শার্ট কোম্পানি রয়েছে। অবশ্যই তাদের সকলের টি শার্ট ডিজাইনার এর প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ তাদের টি-শার্ট ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিজাইনার হায়ার পর তাকে। যার জন্য তারা প্রচুর পরিমাণে এমাউন্ট খরচ করে থাকে যেন তাদের টি-শার্টটা জাঁকজমক দেখায়। আপনি চাইলে তাদের টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

২। লোগো ডিজাইন। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

আমরা সকলেই জানি ইউটিউব চ্যানেল থেকে শুরু করে প্রত্যেক ধরনের বড় বড় কোম্পানীর জন্য লোগো ডিজাইনে প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ তাদের কোনো না কোনো একটা লোগো থাকে। তাই আপনিও‌ লোগো ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনিও ফ্রিলেন্সিং করে ইনকাম করতে পারেন। কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে লোগো ডিজাইনে অনেক চাহিদা রয়েছে আশা করি চাহিদা আরো বাড়তে পারে ভবিষ্যতে।

বলতে গেলে সব ক্ষেত্রেই সব ধরনের ইউটিউব চ্যানেল সব ধরনের ফেসবুক পেজ ফেসবুক গ্রুপ সবকিছুর জন্যই একটা করে লোগোর প্রয়োজন পড়ে। তাই বলা চলে আপনি যদি লোগো ডিজাইনে কাজটা শিখান তাহলে আপনার কাজের জন্য ওয়েট করতে হবে না আশা করি।

সাধারণত এই সমস্ত লোগো ডিজাইনের কাজ করে থাকেন লোগো ডিজাইনাররা। লোগো ডিজাইন মার্কেটপ্লেসের মধ্যে সবসময় ডিমান্ড‌ থাকে। অফলাইন কিংবা অনলাইন সবক্ষেত্রেই লোগো ডিজাইনের ডিমান্ড কিন্তু অনেক। তাই আবারও বলছি আপনি যদি সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান কিংবা ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় এ বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি লোগো ডিজাইন এর কাজটা শিখা শুরু করতে পারেন।

৩। ফটো এডিটিং। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

আমরা কোন না কোন সময় নিজের ফটো কিংবা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের ফটো একটু না একটু হলেও সাজিয়েছি অর্থাৎ এডিট করেছি। তাই আপনি যদি সহজভাবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ফটো এডিটিং বেছে নিতে পারেন। এবং ফটো এডিটিং এর কাজ শেখা শুরু করে দিতে পারেন।

আমরা যদি অন্য অন্য কাজের সাথে তুলনা করে থাকি সে ক্ষেত্রে বলা চলে অবশ্যই ফটো এডিটিং অনেকটা সহজ একটা কাজ। ফটো এডিটিং এর ক্ষেত্রে আপনি যদি বেশি কিছু কাজের ধারণা অর্জন করতে পারেন সেক্ষেত্রে নিমিষেই ফটো এডিটিং এর কাজ করে নিতে পারবেন।

আমরা বিভিন্ন অনলাইন শপিং মল রয়েছে সেগুলোতে যে ছবিগুলো দেওয়া হয় সেগুলো এমনিতেই তুলে এড করে দেওয়া হয় না বরং এটাকে অনেক ধরনের ডিজাইন করা হয়। অর্থাৎ ফটো এডিটিং এর কাজ যারা জানে তারাই মূলত এই সমস্ত কাজ করে দিয়ে তাকে। তাই এ সমস্ত কাজ করার জন্য অবশ্যই ফটো এডিটরের প্রয়োজন পড়ে তাই আপনি যদি এই কাজ করে নিতে পারেন বা করতে জানেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এই কাজটি করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ বিকাশ সেভিংস কি? বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম।

৪। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

বর্তমান যুগ হচ্ছে অনলাইন জব তাই সকল ধরনের ব্যবসায়ীদের চাই তাদের ব্যবসা কি অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার প্রসার করতে। তাই তারা চিন্তা করে থাকে তাদের ব্যবসার জন্য সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য যেন তার ব্যবসার সকল ইনফরমেশন সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তার ক্লায়েন্টদেরকে শেয়ার করে। তো সেই ব্যবসায়ী তো আর কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় ডিজাইন করতে হয় ডোমেইন কোথায় থেকে ক্রয় করতে হয় হোস্টিং কোথায় থেকে ক্রয় করতে হয় এসব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না কিংবা জানেনা।

See also  অনলাইনেই মিলবে জাতীয় পরিচয় পত্র

তাই তারা তাদের ব্যবসা কে প্রচার প্রসার করার জন্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ডিজাইনার কিংবা যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানে তাদেরকে খোঁজাখুঁজি করে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে ওয়েবসাইট ডিজাইনার এভেলেবেল রয়েছে তাই তারা সেই সমস্ত জায়গায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে। তাই আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানেন কিংবা ওয়েবসাইট ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনিও এখান থেকে অনেক বড় একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।

আমরা সকলেই জানি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা অনেকটাই সহজ এবং এটার খরচটা তেমন বেশি নয়। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানেন সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের জন্য আর বসে থাকতে হবে না কেননা এ কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে মার্কেটের মধ্যে। ওয়েবসাইট তৈরি করার প্লাটফর্ম এর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেসের অবস্থান অন্যতম। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ডিজাইন কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখে নিতে পারেন এবং কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

৫। এসইও (SEO) করে। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

আপনি যদি এসইওর কাজ ভালোভাবে জানেন সে ক্ষেত্রে ঘরে বসেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারবেন বলে মনে হয়। এসইও অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ কোন একটা ওয়েবসাইট কিংবা কোন একটা পেজকে গুগলের মধ্যে এসইও করে রেংক করানো। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিককেরা তাদের ওয়েবসাইট রান করানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট এক্সপার্ট হায়ার করে থাকে বা এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে থাকে।

SEO ট্রাইবুনাল এর তথ্য মতে এক গবেষণায় দেখা যায় প্রতিদিন পুরো বিশ্বের মধ্যে প্রায় 5.6 বিলিয়ন টাইমস বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে লিখে গুগলের মধ্যে সার্চ করে থাকে তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কিংবা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য। দেখে যে বিভিন্ন সময় আমরাও বিভিন্ন বিষয়ে লিখে গুগলের মধ্যে সার্চ করে থাকি।

তাই ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে এসইও এক্সপার্ট দের ভালো চাহিদা রয়েছে। কেননা সবাই চায় তাদের ওয়েবসাইট কিংবা পেজকে এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে রেংক করানোর জন্য। এসইও করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান রাখতে হয় বা জানা থাকতে হয় যেমনঃ কনটেন্ট রাইটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, অনপেজ এসইও, অফ পেজ এসইও, টেকনিকেল এস ইউ, লিংক বিল্ডিং এবং আরো বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা কোন একটা ওয়েবসাইট কিংবা পেজ গুগোল এর মধ্যে রেংক করানো অনেক একটা জটিল কাজ।

৬। ডাটা এন্ট্রি। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

ডাটা এন্ট্রি করা তেমন কোন জটিল কাজ ন। খুব সহজেই শিখে ফেলা যায় ডাটা এন্ট্রির কাজ। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ জানেন সে ক্ষেত্রে কোন একটা অফিসিয়াল জব খুব সহজেই করতে পারবেন। তাছাড়া বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে ডাটা এন্ট্রির অনেক চাহিদা রয়েছে।

যে কেউ চাইলে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে নিতে পারবেন তার জন্য প্রয়োজন হবে অবশ্যই একটা ভালো মানের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ। কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের মধ্যে বেসিক কিছু জিনিস আছে সেগুলো আপনার জানা থাকতে হবে অর্থাৎ বলতে গেলে ইন্টারনেট এর যাবতীয় বিষয়ে জানতে হবে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ এক্ষেত্রে কিছু জিনিসের দক্ষতা অর্জন করতে হয় বা স্কিলস এর প্রয়োজন পড়ে যেমনঃ ইংরেজি লিখতে পারা, অডিও শুনে শুনে সেগুলো লিখতে পারা, বিভিন্ন ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারা (এখন খুব সহজেই গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে করা যায়) এবং টাইপিং স্পিড ভালো থাকা ইত্যাদি। সাধারণত এই সমস্ত বিষয়গুলোর ডাটা এন্ট্রির কাজ এর সাথে সংযুক্ত। আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে পারেন কিংবা দক্ষতা অর্জন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারেন।

 ৭‌। কপি পেস্ট টাইপিং। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়।

আপনি খুব সহজেই সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কপি-পেস্ট টাইপিং শিখে ফেলা যায়। ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে দেখা যায় বিশেষ করে বিদেশি বায়ার/ক্লায়েন্ড বেশি থাকে। যার কারণে বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের কে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হয় বা ইংরেজি শিখতে হয় প্রচুর পরিমাণে।

তবে আপনি যদি কপি পেস্ট টাইপিং করেন সেক্ষেত্রে ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা অর্জন না করেও চাইলে এই কাজটি করতে পারবেন। ফ্রীলান্সিং জগতের মধ্যে কপি পেস্ট টাইপিং অত্যন্ত সহজ একটি কাজ এর জন্য আপনাকে টাইপিংয়ের ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো টাইপিং করতে জানেন বা কনটেন্ট রাইটিং করতে জানেন সে ক্ষেত্রে আপনি এই কাজটি খুব দ্রুত করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টকে ভালোভাবে আপনার কাজ বুঝিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনাকে এই কাজের জন্য আর বসে থাকতে হবে না।

কপি-পেস্ট টাইপিং বলতে আপনাকে বিভিন্ন ক্লাইন্ট হায়ার করবে যে এই লেখাগুলো কপি করে আমাকে দিয়ে দাও। অর্থাৎ আপনাকে বিভিন্ন লেখা কপি করে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে এবং বায়ারকে বুঝিয়ে দিতে হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে রাইটিং গুলো একই রেখে টাইপ করে তাদের কাছে সাবমিট করা।

সাধারণত এই কাজটা বাজার থেকে নেওয়া এবং বায়ারকে বুঝিয়ে দেওয়া সাধারণত ইমেইলের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকে কোন এক বায়ারের সাথে কন্টাক্ট করার পর তার কাছ থেকে ইমেইলের মাধ্যমে কাজ নিবেন এবং তাকে আবার ইমেইলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিবেন এমনটা অনেক সময় হয়ে থাকে। আপনার যদি লেখার ধরন এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে বিদেশি বায়ারদের থেকেই আপনার ভাল আউটপুট আসবে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল?

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল:- এই প্রশ্নের উত্তর কি আপনি জানেন গুগলে কিংবা ইউটিউবে অনেক সময় ফ্রিলেন্সিংকে হালাল এটা নিয়ে অনেক সার্চ করে থাকেন কিন্তু সঠিক উত্তর খুঁজে পান না তাহলে সঠিক উত্তর এখনি জেনে নিন।

বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা মুসলিম রয়েছে তারা ফ্রিল্যান্সিংকে হালাল এটা বেশি সার্চ করে থাকে। কেননা এখনকার সময়ে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এই দুটি শব্দ ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এক ওয়েবসাইটের তথ্য মতে বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ছয় লক্ষ তরুণ-তরুণী ফ্রীলান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং করে তাদের জীবন নির্বাহ করতেন। অর্থাৎ ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস এর মধ্যে জব করে তারা উপার্জন করতেছেন। তাই আমাদের মধ্যে যারা মুসলিম তরুণ তরুণী রয়েছে তাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? ফ্রিল্যান্সিং কি ইসলামে নিষিদ্ধ? ফ্রীলান্সিং কি হালাল ইত্যাদি।

তাই এখন আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল এ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করব। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এটা জানার আগে আমাদেরকে সর্বপ্রথম জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং আসলে কি।

ফ্রিল্যান্সিং কি? আউটসোর্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং কিঃ– সাধারণত আমরা সকলেই জানি ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা কেননা এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার কোন এক প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন এক ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করতেছে না। বরং তার নিজ ঘরে বসেই কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেছেন। তাই এটাকে সাধারণত মুক্তপেশা বলা হয়।

সাধারণত ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে তার সার্ভিসের করে তার জন্য উপার্জন করে থাকে। সে যাকে সার্ভিসটি বিক্রি করবে সেই বিদেশি হোক কিংবা দেশি একজন হোক কিংবা একাধিক।

ফ্রিল্যান্সার নিজের ইচ্ছেমতো সাপ্তাহিক একদিন দুইদিন কিংবা দুই তিন ঘন্টা কাজ করে থাকে। অর্থাৎ নিজের ইচ্ছেমতো নিজের সময় নিজের ফ্রী টাইমে তার কাজটা কমপ্লিট করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লায়েন্টকে জমা দিয়ে থাকে তাই সাধারণত এটাকে মুক্তপেশা বলা হয়।

আউটসোর্সিং কিঃ– ফ্রিল্যান্সিং অফার ফাঁস হচ্ছে আউটসোসিং অর্থাৎ কোন একটা কাজ যে করিয়ে দেয় তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার এবং যে করিয়ে নেই তাকে বলা হয় আউটসোর্সিং। সহজ ভাষায় বলা চলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে কাজ করে ইনকাম করে আর আউটসোর্সিং হচ্ছে কাজ করিয়ে সেটা দেখে সেবা উপভোগ করা।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালালঃ– মূলত ফ্রিল্যান্সিং করে যেহেতু বিভিন্ন কাজ করা হয় সেখানে বিভিন্ন প্রকার কাজ থাকে যেমন ওয়েব ডিজাইনিং, ডাটা এন্ট্রি, এস ইউ আর নানা প্রকার কাজ। এই সমস্ত কাজের মধ্যে যদি কোন প্রকার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড কিংবা ইসলামী নিষিদ্ধ কোন কাজ না হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করা হালাল। আর যদি ফ্রীলান্সিং এর মধ্যে কোন প্রকার হারাম কাজকর্ম হয়ে থাকে সেগুলো অবশ্যই হারাম জায়েজ নয় যেমনঃ কোন এক বায়ারকে ইসলামবিরোধী লেখালেখি করে দেওয়া তার বিনিময়ে উপার্জন করা ইত্যাদি আরও নানা বিষয়। তার জন্য আপনি আমাদের দেশের মধ্যেই অনেক ভালো ভালো ওলামায়েকেরাম রয়েছে তাদের থেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। অবশ্যই এটাই আপনার জন্য অত্যন্ত উপকার হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার:- এ প্রশ্নটা আমরা বিভিন্ন সময়ে করে থাকে তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই প্রশ্নের উত্তর এখানে দেওয়া হলো। সাধারণত freelancing/ ফ্রীলান্সিং 2 ভাবে করা যায় ১/ অনলাইন এর মাধ্যমে ২/ অনলাইনের মাধ্যমে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি?

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্ডকে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে অনলাইন কিংবা অফলাইনে এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যার মাধ্যমে অনলাইন কিংবা অফলাইনে এর মাধ্যমে কাজ করে ইনকাম করা যায়।

আরো পড়ুনঃ রকেট একাউন্ট চেক করার কোড 2022‌ | Rocket account check code.

Leave a Comment