ঈদের নামাজ কি? ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত। বিস্তারিত

অলরেডি আমাদের রমজানের শেষে খুশির ঈদ চলে এসেছে। ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে খুশির দিন এই দিনে মুসলমানরা একজন অন্যজনের বাড়ি বেড়াতে যায় এবং আরও নানা উৎসব পালন করে থাকে। তো আবার অনেকেই এর সম্পর্কে গুগল কিংবা ইউটিউবে নানা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঈদের নামাজ নেই অর্থাৎ অনেকেই প্রশ্ন করেন ঈদের নামাজ কি?ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম,ঈদের নামাজের নিয়ত,ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব,ঈদের নামাজ কয় রাকাত ইত্যাদি আরও নানা বিষয় সম্পর্কে। 

১/ ঈদের নামাজ কি? ২/ ঈদের নামাজ কয় তাকবীর ৩/ ঈদের নামাজ কত রাকাত ৪/ ঈদের নামাজের নিয়ত ৫/ঈদের নামাজের ইমামতির নিয়ত ৬/ ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব? ঈদের নামাজ পড়া কি? ঈদের নামাজের হুকুম কি। ৭/ মহিলাদের ঈদের নামাজ আছে কি।মেয়েদের ঈদের নামাজ আছে কিনা। ৮/ ঈদের নামাজে ইকামত আছে কি। ৯/ ঈদের দিন ইশরাকের নামাজ। ১০/ ঈদের নামাজ কার উপর ওয়াজিব। ১১/ ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত।




তো আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন কিংবা ঈদের নামাজ পড়ার আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন। তো অবশ্যই আমাদেরকে ঈদের নামাজ পড়ার আগে সবকিছু জেনে নেয়া দরকার। তাই আমি মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই করে আজকের আর্টিকেলটি লিখতেছি। সুতরাং আপনি যদি ঈদের নামাজ থেকে শুরু করে সম্পর্কে যাবতীয় জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ঈদের নামাজ কি?

ঈদের নামাজ যেটা কিনা সালাতুল (صلاه العيد) কিংবা সালাতুল ঈদাইন (صلاه العيدين) নামে পরিচিত। সালাতুল ঈদ কিংবা صلاه العيد এটা হচ্ছে একবচন এবং সালাতুল ঈদাইন কিংবা صلاه العيدين এটা হচ্ছে বহুবচন। সুতরাং ঈদের নামাজ হচ্ছে এমন একটা নাম আছে যেটা কিনা মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় উৎসবে বিশেষ নিয়মে পড়ে থাকে। ঈদের নামাজ সাধারণত মুসলমানরা দুইটি উৎসবে পড়ে থাকে ১/ঈদুল ফিতর ২/ঈদুল আযহা। ঈদের নামাজ সাধারণত কোন একটা বরাদ্দকৃত খোলা জায়গা কিংবা যাদের সেই বরাদ্দকৃত খোলা জায়গা নেই তারা মসজিদে পড়ে থাকে। ঈদের নামাজ জামাতের সাথে পড়া জরুরী। আশাকরি ঈদের নামাজ কি প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে 2022।মালয়েশিয়া কি কি কাজ রয়েছে।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর। ঈদের নামাজ কত তাকবীর।

ঈদের নামাজে আমাদের অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হবে। ঈদের নামাযের তাকবীর প্রসঙ্গে আপনি যদি জানতে চান তাহলে এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। আমরা জানি যে ঈদের নামাজে অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হয়। সাধারণত হানাফী মাযহাব মতে আমরা অতিরিক্ত ৬টি তাকবীর দিয়ে থাকি, প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তিনটা এবং দ্বিতীয় রাকাতে তিনটা। এবং শাফেয়ী মাযহাবে অতিরিক্ত ১২টি তাকবীর দেওয়া হয় তারা প্রথম রাকাতে ৭টি এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫টি অতিরিক্ত তাকবীর দিয়ে থাকে। হাম্বলী এবং মালেকী মাযহাবে অতিরিক্ত ১১টি তাকবীর দেওয়া হয়, তারা প্রথম রাকাতে ৬টি অতিরিক্ত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫টি অতিরিক্ত তাকবীর দিয়ে থাকে।

আমরা বাংলা ভাষাভাষী যারা অর্থাৎ আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি। তো আমাদের দেশে যেহেতু হানাফী মাযহাবের অনুসারী বেশি এবং তাকদীরের সংখ্যাও কম সে ক্ষেত্রে আমরা ৬ তাকবীর কেই অনুসরণ করতে পারি। কেননা এই ক্ষেত্রে আমাদের নামাজের তথা ঈদের নামাযের তাকবীর গণনা করতে সুবিধা হবে বিশেষ করে আমরা যারা হানাফী মাযহাবের অনুসারী। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন মাযহাব মতে তথা ৬/১১/১২ যে তাকবীর গুলো বর্ণিত হয়েছে সেগুলো সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড

ঈদের নামাজ কত রাকাত।

আমরা যেহেতু ঈদের নামাজ সবাই পড়তে পছন্দ করি বা পড়া জরুরী। তাই আমরা সকলেই জানতে চাই ঈদের নামাজ কত রাকাত এসম্পর্কে তাই আপনি যদি ঈদের নামাজ কত রাকাত এটা না জানেন তাহলে এখনি জেনে নিন। ঈদের নামাজ হচ্ছে মাত্র দুই রাকাত

See also  কোরআন থেকে মেয়েদের নামের তালিকা ২০২৩

ঈদের নামাজের নিয়ত বাংলা।

আমাদেরকে কোন একটা ইবাদত করার পূর্বে অবশ্যই নিয়ত করা জরুরি। কেননা হাদীসে আছে সমস্ত আমলই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। তো আপনিও যদি ঈদের নামাজ পড়তে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই ঈদের নামাজের নিয়ত শিখে নেওয়া জরুরী। তো এখনি জেনে নিন ঈদের নামাজের নিয়ম। সাধারণত নিয়ত অর্থ হচ্ছে মনের ইচ্ছা পোষণ করা সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের ভাষায় করা ভালো। ঈদের নামাজের নিয়ত হচ্ছেঃ- আমি এই ইমামের পিছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সাথে আদায় করতেছি।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট।

ঈদের নামাজের ইমামতির নিয়ত।

অনেকেই মনে করে থাকেন হয়তো ঈদের নামাজের ইমামতির নিয়ত এর সময় কোন একটা নির্দিষ্ট দোয়া আছে। কিন্তু আমি বলব এখানে কোন প্রকার নির্দিষ্ট দোয়া‌ নেই বরং আপনি ইমামতি করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুধুমাত্র ইমামতির নিয়ত করবেন অর্থাৎ আপনি যে কিছু লোকের ইমাম হয়েছে সেটা ইচ্ছে পোষণ করলে হবে। অর্থাৎ আমি ঈদের নামাজ পড়াচ্ছি অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সাথে কিছু লোকের ইমামতি করতেছি।

ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব? ঈদের নামাজ পড়া কি? ঈদের নামাজের হুকুম কি।

এখন আমরা জানবো ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব নাকি ফরজ নাকি সুন্নত অথবা ঈদের নামাজের হুকুম কি। সাধারনত বছরে আমরা দুইবার ঈদ উদযাপন করি। আমাদের ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতর। স্যার আমরা সকালে ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের নামাজ কিংবা ঈদের নামাজ দিয়েই আমরা ঈদের উৎসব শুরু করে থাকি। এই ঈদের নামাজের হুকুম কি ক্ষেত্রে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে এখানে ইসলামিক স্কলার বলতে ইমামদের কে বুঝানো হয়েছে। মতানৈক্যের মধ্যে একাধিক মত পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে 2022।

মালিকী এবং শাফী মাযহাবে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সালাত আদায় করার বিধান হচ্ছে অর্থাৎ হুকুম হচ্ছে এটা সুন্নতে মুয়াক্কাদা (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ)।

হাম্বলী মাযহাব মতে ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরের নামাজ হচ্ছে ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ কোন একটা এলাকা থেকে যদি কিছু লোক ঈদুল আযহা কিংবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করে সে ক্ষেত্রে সেই গ্রামের অন্যান্য লোকদের থেকে ঈদের নামাজের জিম্মাদারী চলে যাবে।

এবং আমাদের মাযহাব অর্থাৎ হানাফি মাজহাব মতে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহার সালাত আদায় করা ওয়াজিব। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, ইমাম শওকানী সহ আরো অনেকেই এই মত বেছে নিয়েছেন অর্থাৎ তারা এই মত পোষণ করেছেন অর্থাৎ ওয়াজিব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি এই সালাতকে তরক করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই সে গুনাহগার হবে ওয়াজিব তরক করার কারণে।

এবং আমরাও যদি কোরআন-হাদিসের দিকে নজর দিই তাহলে সেখানেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই নামাজের ব্যাপারে। আশা করি আপনি জানতে পেরেছেন ঈদের নামাজের হুকুম কি ঈদের নামায ওয়াজিব নাকি ফরজ নাকি সুন্নত।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে (You Tube) নিজের ভিডিও নিজে বা বারবার দেখলে কি হতে পারে।

মহিলাদের ঈদের নামাজ আছে কি।মেয়েদের ঈদের নামাজ আছে কিনা।

হ্যাঁ অবশ্যই মহিলাদের ঈদের নামাজ আছে। কিন্তু মহিলারা পুরুষদের মত ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের বিভিন্ন মতানৈক্য রয়েছে। সে সকল বিষয় জানার জন্য নিচে দেওয়া লেখাগুলো পড়তে পারেন

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা! মহিলাদের ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করার ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের বিভিন্ন মতানৈক্য রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের হানাফী মাযহাবের মত হচ্ছে যে, ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কার কারণে মহিলাদের ঈদগাহে গিয়ে নামাজে শামিল হওয়া টা মাকরূহে তাহরীমী বলে গণ্য হবে। সুতরাং মহিলারা এভাবে ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবে না।

See also  রোজা রেখে নখ কাটা যাবে কি | রোজা রেখে চুল কাটা যাবে কিনা | রোজা রেখে হস্তমৈথুন |

বাকি তিন মাযহাব মালেকি,শাফেঈ,হাম্বলী তাদের মাযহাব মতে যুবতী এবং রূপবতী মহিলা যাদেরকে দেখে দেখে পুরুষরা আকৃষ্ট হবে তাদেরকে ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহে গিয়ে জামাতে শামিল হওয়া মাকরুহ। তবে ঐ সকল মহিলা যারা বৃদ্ধ এবং বার্ধক্যে উপনীত হয়েছে যাদের প্রতি কোন পুরুষ আকৃষ্ট হবে না এবং ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা নেই সেই সমস্ত বৃদ্ধ মহিলারা শর্তসাপেক্ষে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে হানাফি মাজহাব ব্যতীত অন্য তিন মাযহাবে। শর্তগুলো হলোঃ (১)সেই বৃদ্ধ মহিলারা এমন কাপড়চোপড় পরিধান করবেন যে কাপড় গুলো তে কোন প্রকার আকর্ষণ করার চিহ্ন নেই বা আশঙ্কা নেই (২) এবং সেই বৃদ্ধা মহিলা এমন আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করবে না যার সুগন্ধি অন্যের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। এই দুই শর্ত সাপেক্ষে বয়স্কা মহিলারা অন্য 3 মাজহাবে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করার অনুমতি রয়েছে।

তবে রূপবতী যুবতী এবং অন্য যে সকল মহিলাদের ঈদগাহে অংশগ্রহণের কারণে কোন প্রকার ফিতনা-ফাসাদের আশঙ্কা রয়েছে সেসকল মহিলারা ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মাযহাবে নিষিদ্ধ রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ জন্ম সংশোধন অনলাইনে আবেদন।

ঈদের নামাজে ইকামত আছে কি? ঈদের নামাজে আজান আছে কি।

অনেকেই গুগোল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন ঈদের নামাজের আজান ইকামত আছে কিনা। তো আপনি যদি এই বিষয় সর্ম্পকে জানতে চান তাহলে এখনি জেনে নিন। ঈদের নামাজে কোন প্রকার আযান এবং ইকামত নেই।

ঈদের দিন ইশরাকের নামাজ।

ঈদের দিন ঈদের নামাযের পূর্বে ঘরে বসে কিংবা ঈদের ময়দানে গিয়ে কোন প্রকার ইশরাক কিংবা নফল নামাজ ইত্যাদি নিষিদ্ধ। আর ঈদের নামাজের পরেও কোন প্রকার নফল নামাজ ঈদের ময়দানে তথা ঈদগাহে পড়তে পারবেন না অর্থাৎ নিষিদ্ধ। আর আপনি যদি ঈদের নামাজের পর ঈদগা থেকে বিদায় নিয়ে ঘরে গিয়ে কোন প্রকার নফল ইত্যাদি পড়েন তাহলে কোন অসুবিধা নেই।

ঈদের নামাজ কার উপর ওয়াজিব।

তো আমরা এখন জানবো ঈদের নামাজ তার উপরে ওয়াজিব। প্রত্যেক ওই ব্যক্তির উপর ঈদের নামায ওয়াজিব যার ওপর কিনা জুমার নামাজ হয়েছে। আমরা এখন জানবো জুমার নামাজ কার উপর ওয়াজিব। নিম্নে দেওয়া হল জুমার নামাজ কার উপর ওয়াজিব সেখান থেকে জেনে যাবেন ঈদের নামাজ কার উপর ওয়াজিব।

১/ মুকিম হওয়া। অর্থাৎ কেউ যদি সফল করে তাহলে তার ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব হবে না তবে অবশ্যই তাকে মুসাফির হতে হবে। আর যদি কোন ব্যক্তি কোন এক জায়গায় গিয়েছে অর্থাৎ মুসাফির হয়েছে এবং সেখানে 15 দিন বা তার বেশি থাকার নিয়ত করেছে বা ইচ্ছে পোষণ করেছে তাহলে তার উপর জুমআর নামায কিংবা ঈদের নামাজ ওয়াজিব।

২/ সুস্থ হওয়া। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অসুস্থ তার ওপর জুমার নামাজ যেমন ওয়াজিব হবে না তেমনি ঈদের নামায ওয়াজিব হবে না। যে ব্যক্তি নিজ ঘর থেকে ঈদগাহ কিংবা জুমার নামাজের জামাতে শরিক হওয়ার জন্য নিজ শক্তিতে যেতে পারবেনা তা কেউ অসুস্থ বলে গণ্য করা হবে। এবং অন্ধকেও অসুস্থদের মধ্যে গণনা করা হবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সুস্থ হবে না তার উপর জুমআর নামায ওয়াজিব নয় তেমনি ঈদের নামাযও ওয়াজিব নয়।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে 2022।

৩/ আজাদ হওয়া। অর্থাৎ যে ব্যক্তি কিংবা বাদী তার ওপর জুমার নামাজ এবং ঈদের নামায ওয়াজিব নয়।

৪/ পুরুষ হওয়া। অর্থাৎ মহিলাদের উপর জুমআর নামায ওয়াজিব নয়।

See also  জুমার নামাজের নিয়ত ও নিয়ম | জুমার নামাজ মোট কত রাকাত

৫/ ওই সমস্ত ওযর না থাকা যে সমস্ত ওজরের কারণে নিকটবর্তী পাঞ্জেগানার নামাজের জামাত তরক করা জায়েজ। সুতরাং ঐ সমস্ত ওজর যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তার উপর জুমআর নামায কিংবা ঈদের নামাজ ওয়াজিব হবে না। যেমনঃ মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হওয়া, কোন একটা রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকা (যদি আপনি মসজিদে যান তাহলে তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে) ইত্যাদি।

৬/ পন্জখানায় নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য যে সমস্ত শর্ত রয়েছে সেই সমস্ত শর্ত মৌজুদ থাকা। যেমনঃ আকেল,বালেক,মুসলমান হওয়া ইত্যাদি।

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত।

এখন আমরা জানবো ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম বা ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম,ঈদের নামাজ আদায় করার পদ্ধতি ইত্যাদি। তাই আপনি যদি এসব বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই জেনে নিতে পারবেন ঈদের নামাজ আসলে কিভাবে করতে হয়। যেহেতু ঈদের নামাজ বছর মাত্র দুইবার করা হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কিছু মন থাকে না। বলতে গেলে আমরা সব কিছুই ভুলে যায় এবং নতুন করে শিখতে হয় প্রতিবছর। তাহলে জেনে নেয়া যাক ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত। এখানে আপনাদের সুবিধার্থে নিচে প্রথমে আপনি কি করবেন সেটা ১ দিয়ে বোঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়তো আপনি কি করবেন সেটা ২ দিয়ে বুঝানো হয়েছে এরকম শেষ পর্যন্ত।

১/ ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম নামাজের নিয়ত করতে হবে। নামাজের নিয়ত আরবিতে করতে পারেন তবে নিজের ভাষায় করা সবচেয়ে উত্তম কেননা নিয়ত করতে হচ্ছে ইচ্ছে পোষণ করা। তাহলে এখন আমরা জানবো ঈদের নামাজের নিয়ত কি (আরবী নিয়ত:- نويت أن أصلى الله تعالى ركعتي الواجب صلوة عيد الفطر مع ست تكبيرات واجبات )

(বাংলা নিয়ত:- “আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকা’আত নামায ঈদের ছয়টি ওয়াজিব তকবীরসহ পড়িতেছি।”)

২/ এখন আপনাকে আল্লাহু আকবার বালিয়া তাহৃমা বাঁধতে হবে। অর্থাৎ যেটাকে আমরা তাকবীরে তাহরীমা বলে থাকি।

৩/ এখন আপনাকে সুবহানাকা পুরো পড়তে হবে অর্থাৎ যেটাকে আমরা ছনা বলে থাকি। তবে তা’উজ এবং তাসমিয়া পড়বেন না(আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়বেন না)।

৪/ এখন আপনাকে তিনটি অতিরিক্ত তাকবীর বলতে হবে। প্রত্যেকবার আল্লাহু আকবার অর্থাৎ তাকবীর বলার পর হাত কান পর্যন্ত উঠাবে এবং ছেড়ে দিবে ( প্রত্যেক তাকবীরের পর তিন বার সুবহানাল্লাহ বলতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ থামিবে যদি জামাত বড় হয় সে ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি থামতে পারে)। এবং তৃতীয় তাকবীর বলার পর আপনি হাত ছেড়ে দেবেন না বরং হাত বেঁধে ফেলবেন।

৫/ তৃতীয় তাকবীরের পর হাত বেঁধে আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়িয়া সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা মিলানোর পর অন্যান্য নামাজের নিয়ম প্রথম রাকাত শেষ করবে।

৬/ এখন দ্বিতীয় রাকাতের জন্য সিজদা থেকে উঠার পর সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা মিলানোর পর সাথে সাথে রুকুতে চলে যাবে না বরং এখানে বাকি তিন অতিরিক্ত তাকবীর বলবে। এবং তৃতীয় তাকবীর এর পর হাত বাঁধবে না বরং হাত ছাড়া অবস্থায় চলে যাবে।

৭/ উপরের সমস্ত কিছু করার পর অন্যান্য নামাজের নিয়ে নামাজ শেষ করিবে।

৮/ এখন খুতবা দেওয়ার সময়। অর্থাৎ নামাজের পর ইমাম মেম্বারের উপর দাঁড়াইয়া দুটি খুতবা দিবে এবং মধ্যখানে জুমার খুতবার ন্যায় কিছুক্ষণ বসিবে। ঈদুল ফিতরের খুতবার মধ্যে ছাদকায়ে ফিতরা সম্পর্কে বয়ান করা হবে। যদি মুক্তাদী ইমামের থেকে দূরে হওয়ার কারণে খুতবা শুনতে না পায় সে ক্ষেত্রে কান লাগাইয়া চুপ করে থাকবে।

৯/ ঈদের নামাজের পর বা খুতবার পর যদিও হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরামদের তাবেঈ তবে তাবেঈনদের থেকে দোয়া প্রমাণিত নয় তবুও অন্যান্য নামাজের নিয়ত দোয়া করা যেমন সুন্নাত তেমনি ঈদের নামাজের পর কিংবা খুতবার পর দোয়া করা সুন্নাত বলিয়া গণ্য হইবে।

১০/ উভয় ঈদের খুতবা অর্থাৎ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার খুতবা আরম্ভ করার সময় অবশ্যই তাকবীর বলিয়া আরম্ভ করিবে।

১১/ প্রথম খুতবায় 9 বার আল্লাহু আকবার বলিবে এবং দ্বিতীয় খুতবায় 7 বার আল্লাহু আকবার বলিবে।

আরো পড়ুনঃ চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।

Leave a Comment