আমাদের সকলের মাঝে সবাই সাধারণত কষ্ট করে জীবন যাপন করে থাকি। কেউ হয়তো মিনিটে 500 টাকা ইনকাম করে আবার কেউ হয়তো সেকেন্ডে 500 টাকা ইনকাম করে আবার অনেকেই হয়তো সেকেন্ডে কোটি কোটি ডলার ইনকাম করে আবার অনেকেই আছে যারা কিনা প্রতি মাসে ছয় থেকে সাত হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারে না। তাই সাধারণত সবাই চায় বিশেষ করে সচ্ছল পরিবার যেগুলো আছে তারা কিছু টাকা সেভিংস করতে চাই। অর্থাৎ যেটাকে আমরা সাধারণত ডিপিএস বলে থাকি। আপনি ইচ্ছে করলে সেটা বিকাশের মাধ্যমে করতে পারবেন যেটাকে বিকাশের পরিভাষায় বিকাশ সেভিংস সার্ভিস বলা হয়ে থাকে। তো আজকে আমরা বিকাশে বিল সম্পর্কে জানতে চলেছি। তাহলে চলুন সবকিছু জেনে নেয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ চুল দ্রুত লম্বা ও ঘন কালো করার ঘরোয়া পদ্ধতি।
বিকাশ সেভিংস কি?
বিকাশ সেভিংস হচ্ছে বিকাশের সেবাগুলোর মধ্যে এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে আপনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে স্কিম শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি নির্দিষ্ট একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেভিংস স্কিম চালু করতে পারবেন।
আপনি যদি বিকাশ থেকে এই স্কিম টা চালু করেন সেক্ষেত্রে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থাৎ ৫০০/১০০০/২০০০/৩০০০ এখান থেকে আপনার নির্দিষ্ট সিলেক্টকৃত কোন একটা অ্যামাউন্ট আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে কেটে নিবে। এবং আপনার সেই সেভিংস একাউন্ট এর নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আপনার টাকা লাভ সহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি আপনার সেই টাকাগুলোর কোন প্রকার ক্যাশ আউট চার্জ কাটা হবে না।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে বিকাশের মাধ্যমে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা অ্যামাউন্ট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামা করাকে বোঝানো হয়। যেটা কিনা মেয়াদ শেষে আপনাকে লাভ’সহ দিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মোবাইলে আয় 2022।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা
আমরা কোন একটা কিছু শুরু করার আগে অবশ্যই সেটা সুবিধা কি এবং এটা করলে কি ভালো হবে নাকি খারাপ হবে এসব বিষয় নিয়ে খুব ভালোভাবে জানার চেষ্টা করে থাকি। তো আমরা যদি বিকাশ সেভিং একাউন্ট খুলতে চাই এক্ষেত্রে অবশ্যই বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা কি এটা নিয়ে জানা উচিত। তাই আপনি যদি বিকাশ সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা জানতে চান তাহলে এখনি জেনে নিন।
- সেভিংস অ্যাকাউন্টের জন্য আপনি নতুন একটি সেভিংস একাউন্ট খোলার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
- আপনার সেভিংস একাউন্টে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং আপনার সেভিংস একাউন্ট এর যাবতীয় বিষয় সবকিছু দেখতে পারবেন
- আপনার সেভিংস একাউন্টে কয়টি ব্যাস আপনার সম্পূর্ণ হয়েছে অর্থাৎ কয় মাসে আপনি টাকা দিয়েছেন এবং আর কয় মাস বাকি আছে এটা দেখতে পারবেন।
- পরবর্তী মাসের কয় তারিখে আপনার গ্রহণ করা হবে বা টাকা জমা রাখা হবে এই বিষয়ে আগে থেকেই নোটিফিকেশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
- আপনি খুব সহজেই আপনার সেভিংস একাউন্ট এ বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন।
- লভ্যাংশ পাওয়ার সুবিধা। তবে লভ্যাংশ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে ইসলামী শরীয়ত সম্মত কিনা এটা যাচাই করতে হবে। আর যদি ইসলাম এটাকে না বলে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্য এক্ষেত্রে একজন ভালো দক্ষ মুফতির সাথে যোগাযোগ করে মাসআলা টা জেনে নিতে পারেন। এটা সম্পর্কে জেনে আপনার অত্যন্ত জরুরী।
- আপনার জমাকৃত টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পর অর্থাৎ আপনি কতদিন টাকা জমা রাখতে চেয়েছিলেন এটা শেষ হবার পর সরাসরি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন।
- বিকাশ সেভিংস একাউন্টের আরেকটা অন্যতম সুবিধা হচ্ছে আপনার জমাকৃত টাকা গুলো ক্যাশ আউট কিংবা উত্তোলন করার সময় কোন প্রকার চার্জ কাটা হবে না।
বিকাশ সেভিংস স্কিম কি?
বিকাশ সেভিংস স্কিম হচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে কোন একটা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে স্কিম তৈরি করে আর্থিক সঞ্চয় করা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা চলে কোন একটি নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ প্রতি মাসের জমা দেওয়ার মাধ্যমে লভ্যাংশের সহ মেয়াদ শেষে বুঝে নেওয়া।
বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা। বিকাশ সেভিংস লাভ
আপনি যেহেতু বিকাশ সেভিংস শুরু করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই জেনে নেবেন যে বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা কতটুকু। তাই আপনি যদি বিকাশে সেভিংস এর লাভ সম্পর্কে জানতে চান সেক্ষেত্রে এখনই জেনে নিতে পারেন।
বিকাশ সেভিংস এর মুনাফাঃ– যেহেতু বিকালে সেভিংস এর মুনাফা কতটুকু হবে এটা নির্ধারণ করা হয় অর্থাৎ বিকাশ ইন্টারেস্ট এর পরিমাণ নির্ধারণ থেকে শুরু করে সব গুলোর হিসাব আইডিএলসি কর্তৃক নির্ধারিত হয় তাই এ সম্পর্কে কোন প্রকার তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তাই আপনি যদি বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা সম্পর্কে জানতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইডিএলসির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আসমি বিস্তারিত জানার জন্য আইডিএলসির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আইডিএলসির যোগাযোগ নাম্বার।
আপনি যদি বিকাশ সেভিংস এর মুনাফা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইডিএলসির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আর আমরা সকলেই জানি কোন একটা কোম্পানির কিংবা কোনো এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হলে অবশ্যই কোনো এক পদ্ধতিতে যোগাযোগ করতে হয় যেমন মোবাইল নাম্বার, হোয়াটসঅ্যাপ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। তো এখন আমি আপনাদের সাথে আইডিএলসির সাথে যোগাযোগ করার নাম্বার শেয়ার করবো। তো আপনি যদি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার যে কোন সিম থেকে কল করতে পারেন 16409 এই নাম্বারে।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার ভিটামিন ক্যাপসুল । মোটা হওয়ার ঔষধের নাম ।
বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনেকে আছেন যারা কিনা গুগোল কিংবা ইউটিউবে অনেকবার সার্চ করে দেখেন বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য। কিন্তু আমাদের অনেকেই কোন জায়গায় গিয়ে ভালোভাবে পড়ে এবং শিখে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারব এটা জানি না। আবার অনেকে আছেন যারা অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়ার পরেও ভালোভাবে শিখতে পারেননি। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কেননা আজকেরে আর্টিকেলে আপনি বিস্তারিত এবং সুন্দর ভাবে জানতে পারবেন বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম বা পদ্ধতি সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
- আপনি যদি বিকাশ থেকে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যে বিকাশ অ্যাপটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। অর্থাৎ আপনার বিকাশ অ্যাপটিতে আপনার গোপনীয় পিনটি দিয়ে লগইন করতে হবে।
- তারপর আপনার সামনে বিকাশের হোম পেজ ওপেন হবে সেখানে একটি সেভিংস নামে অপশন দেখতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে এখন সেদিন আমি যে অপশনটি আছে সেটার উপর ক্লিক করতে হবে।
- সেভিংস বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার বিভিন্ন নিয়ম এবং শর্তাবলী দেওয়া হবে। তো আপনি উপরে দেওয়া সমস্ত শর্ত করার পর আপনি যদি সম্মতি হন তাহলে সম্মতি দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
- এখন আপনার সামনে একটা পেজ ওপেন হবে যেখানে বিকাশ নতুন সেভিংস স্কিম একাউন্ট খুলুন একটা অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর আপনাকে সময়কাল এবং জামার ধরন সিলেক্ট করতে হবে। সময়কাল বলতে আপনি কত বছর ধরে এই সার্ভিসটি অব্যাহত রাখবেন অর্থাৎ কতদিন বা কত বছর টাকা জমাবেন। সময়কাল বলতে আপনি বছরে কত মাসে টাকা জমাবেন বা কয় মাস পর পর আপনার একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ এই ধাপে আপনাকে সময় কাল 2/3/4 বছর থেকে কত বছর টাকা জমাতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে তারপর সময়কাল সিলেক্ট করতে হবে। এগুলো সম্পূর্ণ ফিলাপ করার পর একদম নিচে এগিয়ে যাওয়া বাটনে ক্লিক করুন ।
- তারপর আপনাকে আপনি প্রতি মাসে কত টাকা সেটিংস করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে যেমনঃ 500/1000/2000/3000 এই অংক গুলো থেকে আপনি যত টাকা প্রতি মাসে সেটিংস করতে চান সেটা চয়েজ করুন। অর্থাৎ এই পরিমাণ টাকা আপনার বিকাশ থেকে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কেটে নেয়া হবে। অবশ্যই সেগুলো মেয়াদ শেষে লভ্যাংশ সহ বিকাশ একাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। ফিলাপ করার পর নিজে এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
- তারপর আপনি সরকারি অনুমোদিত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্কিম করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করার পর একদম নিচে এগিয়ে যান বাটন এ ক্লিক করুন।
- এখন আপনাকে আপনার বিকাশ সেভিংস স্কিম এর জন্য একজন নমিনি দিতে হবে। এবং আপনার নমিনি দেওয়ার পর আপনার সেভিংস একাউন্ট খোলার উদ্দেশ্য কি অর্থাৎ কী জন্য আপনি তার কাছে বিন্স করতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করুন।
- এখন আপনাকে সেভিংস সামারি দেখে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান কিনা।
- তারপর আপনাকে এখন তাদের যাওয়ার সমস্ত শর্ত ভালোভাবে পড়ে এবং বুঝে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে এটা কি আপনার জন্য ভালো হবে নাকি খারাপ। এবং আপনার যদি ভাল মনে হয় এবং যদি সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সম্মতি দিন এ ক্লিক করতে হবে।
- এখন আপনাকে আপনার গোপনীয় বিকাশ পিনটি ট্যাপ করতে হবে। এবং আপনার সঠিক পিনটি দেওয়া সম্পন্ন হলে আপনাকে স্ক্রিনের নিচের অংশটা করে ধরে রাখতে হবে। এবং আপনার রিকোয়েস্ট তাদের কাছে চলে যাবে অর্থাৎ পিন এবং যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আপনার সেভিংস একাউন্ট খোলার রিকুয়েস্টটি তাদের কাছে চলে যাবে।
- আপনার রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর বিকাশ এবং আইডিএলসি থেকে কনফার্ম এসএমএস পাঠানো হবে। ব্যাস এখন আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টটি খুলা হয়ে গেল।