আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে প্রাকৃতিক ঘরে বসে নিজের পেটের ব্যথা কমাবেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করে পেটে ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেননা আজকে আমি কিভাবে পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হয় এ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করব। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আমাদের সবার মাঝে পরিচিত এবং সাধারন একটি সমস্যা হচ্ছে পেটের ব্যাথা। পেটের ব্যাটারিটি শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের যারা আছেন সাধারণত প্রত্যেক ব্যক্তির হয়ে থাকে। যার কারণে হঠাৎ করে আমাদেরকে অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেমন কোথাও বেড়াতে গেছি কিংবা বাজারে গিয়েছি সেখানে যদি পেটের ব্যাথা শুরু হয়ে যায় তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। তাহলে আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন পেটের ব্যাথা কমানোর উপায় কি।
আরো পড়ুনঃ নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কাস্টমার কেয়ার নাম্বার।
তবে ভালো খবর এই যে পেটে ব্যথা হওয়া এমন কোনো মারাত্মক বিষয় না। তবে কোনো কোনো সময় এটা মারাত্মক হতেও পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা অনেক জরুরী। যদিও বা পেটের ব্যাথা কম হয় তবে আমাদের কে কিভাবে পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা পেটের ব্যাথা যদিও কোন কম হয় তবে সেটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত আমরা সকলেই জানি ব্যাথা নাশক যে সমস্ত ওষুধ ইত্যাদি রয়েছে সেগুলো শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক। আপনি যদি ব্যাথা নাশক ওষুধ বেশি সেবন করে থাকেন তাহলে এটা থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরী। কেননা ব্যথানাশক ওষুধ বেশি খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে মারাত্মক রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই পেটের ব্যাথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ গুলো রয়েছে সেগুলো সেবন করার চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে নিজের পেটের ব্যাথা কমানো যায় সেদিকে লক্ষ করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের কোন ক্ষতি ছাড়াই আপনার পেটের ব্যথার সমাধান করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় কি? দ্রুত চিকন হওয়ার উপায় | চিকন হওয়ার ঔষধ
তাই এখনি জেনে নিন কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে পেটের ব্যাথা কমানো যায়।
১. টোস্ট বিস্কুট
আপনি কি জানেন টোস্ট বিস্কুট খেলে এবং ওভারকুক করা রুটি হাসিনার পেটের ব্যাথা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। আমি বলব আপনি জানেন না বরং উলটো প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে আবার টোস্ট বিস্কুট পেটের ব্যথা কমাবে। হ্যাঁ এর উত্তর আমি বলব অবশ্যই কমাবে কেননা টোস্ট বিস্কুট কিংবা ওভারকুক করা রুটিতে কোন প্রকার তেল ইত্যাদি থাকে না। তাই যে সমস্ত জিনিসের তালিকা দি মিশ্রিত থাকে না সেগুলো খেলে পেটের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর। তাছাড়া আপনি যদি পোড়া রুটি বিস্কুট খান তাহলে আপনার সেটের বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
২. ভাত
আমরা সকলেই জানি আমরা তে কোন প্রকার মসলা লবণ দেওয়া হয় না। যেহেতু বাসের মধ্যে কোন প্রকার মসলা,তেল বা লবণ ইত্যাদি দেওয়া হয় নাই তাই আপনার পেটের ব্যাথা দূর করতে অত্যন্ত সহায়তা করবে। যদি আপনার পেটে ব্যথা হয় তাহলে আপনি বেশি মসলাজাতীয় খাবার ইত্যাদি না খেয়ে নরম ভাত খেতে পারে। আপনি যদি তার সাথে হালকা এবং পাতলা জাতীয় কিছু কেন তাহলে আরও সাহায্য করবে আপনার পেটের ব্যথা কমাতে।
৩. কলা
কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার হয়েছে যেগুলো কিনা পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি আপনার পেটের ব্যাথা খুব দ্রুত কমাতে চান তাহলে বেশি বেশি কলা খেতে পারেন। কালার মধ্যে আরো অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর। এছাড়া কলা বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া কমাতেও সাহায্য করবে।
৪. আপেল
আপনাদের সকলেই জানি আপেল কেমন একটা পুষ্টিকর ফল। এটিতে যেমন ভিটামিন ইত্যাদি রয়েছে তেমনি পেটের ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে কেননা কলার মত আপেল এর মধ্যেও রয়েছে অনেক বেশি ফাইবার। যেগুলো কিনা পেটে ব্যাথা কমানোর ঔষধ এর চেয়ে ভালো কাজ করতে পারে।
৫. আদা বা আদা চা। পেট ব্যাথা কমানোর উপায় ওষুধ
আপনি কি জানেন প্রাচীনকাল থেকেই বমি বমি ভাব কমাতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে আদা আধা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে anti-inflammatory এবং প্রদাহবিরোধী গুন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেগুলো কিনা আপনার পেটের ব্যাথা কমাতে অধিক পরিমাণে সাহায্য করবে। তাই আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এটির সমাধান কেঁদেছেন আদা বা আদা চা খেতে পারেন।
৬. পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা এমন একটি প্রাকৃতিক ওষুধ যেটা আপনার সেটের অনেক সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তাই আপনি যদি এখন থেকে আপনার পেটের নানা সমস্যা এমনকি পেটের ব্যাথা ও দূর করতে চান তাহলে পুদিনা পাতা চায়ের সঙ্গে চিবিয়ে বা শুধু শুধু পুদিনা পাতা খেতে পারেন। পুদিনা পাতা আপনার গ্যাস্ট্রিক আমাকে অনেক সাহায্য করবে।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর মধ্যে বিশেষ করে স্টার্চ থাকায় এটি পেটের মধ্যে নানা খাদ্য হজম করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যার কারণে আপনার পেটের ব্যাথা খুব দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করবে। এর জন্য আপনি 1 কাপ পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারে আসবে।
৭. হিডিং প্যাড
পেটের ব্যাথা নিয়ন্ত্রণ করতে আর একটা উপায় হচ্ছে পেট হালকা গরম রাখা তার জন্য আপনি হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার যেকোনো ধরনের ব্যাথা থেকে শুরু করে ক্রাম্পিং নিরাময়ে অনেক উপকার হবে। তাছাড়া আপনি যদি হিটিং প্যাড ব্যবহার করেন তাহলে বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করবে আপনাকে।
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরের রাজধানীর নাম কি | সিঙ্গাপুর যেতে কত বয়স লাগে |
এর জন্য আপনি হালকা গরম পানি কোন একটা ব্যাগে কিংবা কোন একটা বোতলে নিয়ে পেটের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেন। তবে একটি সর্তকতা অবলম্বন করবেন সেটি হচ্ছে যে গরম পানি গুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো পেটের মধ্যে অনেকক্ষণ রাখবেন না। কেননা আপনি যদি হিটিং প্যাড বেশি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের সমস্যা দেখা দিবে।