আপনি কি চুলকানি নিয়ে ভুগছেন তাহলে আর চিন্তা নেই। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে চুলকানির চিকিৎসা করতে হয়। আমাদের বলতে গেলে প্রায় প্রত্যেকের কাছেই ছোট থেকে বড় চুলকানী হয়ে থাকে। তাই এটি একটি আমাদের জীবনের এক বিব্রতকর সমস্যা বললেই চলে।
হয়তো অনেকেই চুলকানি হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য কোন একটা হসপিটাল কিংবা কোন এক অভিজ্ঞ ডাক্তারের দোকানে চলে যান। কিন্তু আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো আপনি সরাসরি প্রথমদিকে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরের কিছু প্রাকৃতিক বিষয়ে লক্ষ্য করে আপনার চুলকানি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন আশা করি।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়।
চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
যখন আপনার প্রথম প্রথম চুলকানি শুরু হবে অর্থাৎ একদম শুরুর দিকে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে চুলকানি দূর করতে হয় সেটা লক্ষ রাখবেন। সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চুলকানী হয়ে থাকে শরীরের সাধারণ সমস্যা এবং সরল চর্মরোগ থেকে। তাই আপনার প্রথমে চুলকানি অনুভব হলে ঘরের কিছু টিপস্ এন্ড ট্রিকস্ অবলম্বন করতে পারেন। চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
তবে আপনাকে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সামান্য চুলকানি কোন একটা বড় রোগে পরিবর্তন হতে পারে যেমনঃ কিডনি রোগ,লিভারের রোগ ইত্যাদি আরো নানা ধরনের রোগ। তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার চুলকানি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভালো করার চেষ্টা করলে কোন একটা বড় রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে আপনার খুব দ্রুত বড় একটা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
আরো পড়ুনঃ গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার নাম্বার। গ্রামীণফোন হেল্পলাইন নাম্বার
১.নারিকেল তেল বা জলপাই তেল।
বলতে গেলে নারকেল তেল বা জলপাই তেল চুলকানির জন্য অত্যন্ত ভালো একটি কার্যকরী উপায়। কেরালা নারিকেল তেল এবং জলপাই তেল সবসময় আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। সাধারণত এই ছেলেগুলো ত্বকের হাইড্রেশন এর জন্য অনেক উপকারী এবং আশা করি এই তেলগুলো আপনার ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না। তাই আপনি ইচ্ছে করলে এবং আপনার উপকারের জন্য আপনার শরীরের যে কোন চুলকানির স্থানে। এদের কোন যদি আপনার শরীরের চুলকানির স্থানে মালিশ করেন তাহলে খুব দ্রুত আশা করা যায় আপনার চুলকানি ভালো হয়ে যাবে। চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
আরো পড়ুনঃ পেটে ব্যাথা কমানোর উপায়।
২. অ্যালোভেরা ব্যবহার।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন অ্যালোভেরা হচ্ছে পোড়া দাগ নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়। হয়তো আপনি জানেন না যে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে আপনার চুলকানি কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। অ্যালোভেরা হচ্ছে একটি প্রদাহরোধী ওষুধ তাই আপনি আপনার শরীরের যেকোনো চুলকানির জন্য এই এলোভেরা টি ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম এলোভেরা থেকে জেল বের করতে হবে এবং সেগুলো আপনার চুলকানির স্থানে লাগাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ চিকন হওয়ার উপায় কি? দ্রুত চিকন হওয়ার উপায় | চিকন হওয়ার ঔষধ
৩. লেবু। চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
আমরা সকলেই জানি লেবু হচ্ছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল এবং লেবুতে আছে ব্লিসিং অপাদান যেটা কিনা ত্বকের চুলকানি দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে। আপনার ত্বকের যে স্থানে চুলকানি লেবুর রস দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুলকানি চলে যাচ্ছে।
৪. পেট্রোলিয়াম জেলি।
আপনি যদি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হন অর্থাৎ আপনার ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়ে থাকে তাহলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারে। পেট্রোলিয়াম জেলির কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুঁজে পাবেন না। আপনার শরীরের বা ত্বকের কোন স্থানে যদি চুলকানী হয়ে থাকে তাহলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি সাধারণত প্রত্যেকের বাড়িতে থাকি তাই আপনি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ রোজা রেখে নখ কাটা যাবে কি | রোজা রেখে চুল কাটা যাবে কিনা | রোজা রেখে হস্তমৈথুন |
৫. বেকিং সোডা।
চুলকানি দূর করার আরেক নাম হচ্ছে বেকিং সোডা। তার জন্য আপনাকে হালকা পানি নিয়ে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণত এক অংশ পানির মধ্যে তিন অংশ বেকিং সোডা মেশানোর প্রয়োজন পড়ে। আপনি যখন বেকিং সোডা এবং পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করার পর আপনার চুলকানি স্থানে লাগাবেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখতে পাবেন আপনার চুলকানি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আপনার যদি খুব দ্রুত চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছে হয় তাহলে আপনি বেকিং সোডা দিয়ে যে পেস্ট তৈরি করেছেন সেগুলো দিয়ে গোসল করতে পারেন।চুলকানি দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
এজন্য আপনাকে বড় এক বালটি তে এক কিংবা দুইকাপ বেকিং সোডা মিশাতে হবে। তার জন্য আপনাকে বেকিং সোডা যে পানিতে মিশ্রণ করেছেন সেই পানিগুলো কমপক্ষে আপনার শরীরে 30 মিনিট ধরে রাখতে হবে। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন আপনার পুরো শরীর থেকে চুলকানি আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাচ্ছে।