কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল
মক্কায় অবস্থিত কাবাঘর বা বায়তুল্লাহ হচ্ছে তাওহীদের কেন্দ্রভূমি। বাইতুল্লাহ সর্বপ্রথম হযরত আদম আলাইহিস সালাম নির্মাণ করেন অতঃপর হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম পুনরায় আল্লাহর নির্দেশে নির্মাণ করেন।(কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল)
আরো পড়ুনঃ রমজান কত তারিখে শুরু হবে 2022।
মক্কায় অবস্থিত পবিত্র স্থান কাবা ঘরকে হযরত মুহাম্মদ (সা:) মূর্তি, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্তি করার জন্য পবিত্র রমজান মাস কে উপযুক্ত হিসেবে বেছে নিলেন। তাই ২০ ই রমজান মদিনা থেকে মক্কায় হিজরত করেন পবিত্র কাবা ঘরকে মূর্তি অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্তি করার লক্ষ্যে। এবং দশ হাজার সাহাবা নিয়ে ২০ ই রমজান রক্তপাত হীন কাবাঘর বিজয় লাভ করেন।(কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল)
মদিনার সম্মানিত মুসলিম বাহিনী যখন মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে মক্কার কাছাকাছি চলে আসেন তখন নেতা আবু সুফিয়ান তাদেরকে লক্ষ্য করার জন্য মুসলিম বাহিনীর কাছে চলে আসেন। তখন নেতা আবু সুফিয়ান মুসলিম বাহিনীর কাছে আটক হয়ে যান।
নেতা আবু সুফিয়ান মুসলমান ও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর অনেক ক্ষতি করেছিলেন। এমনকি হযরত মুহাম্মদ সা. কে হত্যার ষড়যন্ত্রের মধ্যে জড়িত ছিলেন। যেহেতু নেতা আবু সুফিয়ান ইসলামের এক বড় দুশমন ছিল তাই তাকে দেখামাত্র হত্যা করার কথা ছিল। কিন্তু মুসলিম নেতারা তাকে হত্যা না করে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হস্তান্তর করেন।(কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল)
তখন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সঃ নেতা আবু সুফিয়ানকে করুণা করেন। তিনি তাকে কিছু না করে বলেন তুমি যাও আজকে তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হবে না। আল্লাহতালা তোমাকে ক্ষমা করে দিন,তিনি সমস্ত ক্ষমা প্রদর্শনকারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রদর্শনকারী।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ssc রেজাল্ট দেখবো। সকল বোর্ডের এসএসসি রেজাল্ট দেখার নিয়ম।
নেতা আবু সুফিয়ান হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এর এ আচরণ দেখে অত্যন্ত খুশি হলেন এবং তার মধ্যে সৃষ্টি হলো এক নতুন চিন্তা। তিনি আরো বুঝতে পারলেন যে মোহাম্মদ সাঃ এখানে কোন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করার জন্য আসেননি। নেতা আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ সাঃ এর এ আগমনে দখলদারিত্বের কোন ইঙ্গিত দেখতে পেলেন না। দেখতে পেলেন না মোহাম্মদ সাঃ এর মধ্যে কোন অহংকার ও স্পৃহা অন্যান্য দুনিয়ার রাজ-বাদশাহের মত।(কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল)
যে কারণে নেতা আবু সুফিয়ান তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পরেও চলে না গিয়ে তিনি সাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ করে ঈমান লাভ করলেন। শুধুমাত্র মুসলিম হন এটা নয় বরং তিনি সেই ইসলামী কাফেলার সাথে যোগদান করেন।
আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশের আগে খালেদ বিন ওলিদ কে বললেন তুমি পিছন দিক থেকে মক্কায় প্রবেশ করবে আর কোন প্রকার মক্কার অধিবাসীকে হতাহত করবে না। আর তোমাকে আঘাত করার জন্য যদি কেউ অস্ত্র দাঁড় করায় তাহলে শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য তুমি অস্ত্র দাঁড় করাবে। এবং এ আদেশ দেওয়ার পর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম সামনের দিক থেকে মক্কায় প্রবেশ করেন। এবং কোন প্রকার হতাহতি ছড়ায় মক্কায় প্রবেশ করেন।(কত রমজানে মক্কা বিজয় হয়েছিল)
আরো পড়ুনঃ কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়।জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম।
খালিদ ইবনে ওয়ালিদের কৈফিয়ত গ্রহণ।
যখন খালিদ বিন ওয়ালিদ পিছন দিক থেকে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন তখন কতিপয় কুরাইশ বংশের লোকেরা তার বাহিনীর উপর তীর বর্ষণ করে। যার কারণে মুসলিম বাহিনী থেকে তিনজন শাহাদত বরণ করেন। খালিদ বিন ওয়ালিদ কুরাইশ বংশের লোকদেরকে প্রতিহত করতে গেলে তাদের থেকে 13 জন নিহত হন এবং আর বাকিরা পালিয়ে যান।
এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালেদ বিন ওলিদ এর কাছে তিনজন শাহাদাতবরণ এবং 13 জন নিহত হওয়ার ঘটনা জানতে চাইলে খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু প্রকৃত ঘটনা বর্ণনা করেন। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহর ফায়সালা এরকমই ছিল।